পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের (এমবিএল) ১৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গতকাল মঙ্গলবার র্যাডিসন বøু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এমবিএল হচ্ছে শীর্ষস্থানীয় এফএমসিজি ও এমএনসি কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। বর্তমানে বাংলাদেশে রূপচর্চা, বিউটি ও ওয়েলনেস পণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে এমবিএল একটি অত্যন্ত বিশ্বস্ত নাম। ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের বার্ষিক সাধারণ সভায় কোম্পানির পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান সৌগত গুপ্ত সভাপতিত্ব করেন। সভায় ম্যারিকো বাংলাদেশের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নবীন পান্ডে, পরিচালনা পরিষদের সদস্য সঞ্জয় মিশ্রা ও স্বতন্ত্র পরিচালক রোকিয়া আফজাল রহমান, মাসুদ খান ও আশরাফুল হাদিসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এজিএম থেকে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৫ টাকা করে) অনুমোদন করা হয়েছে। এর আগে কোম্পানির বিগত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন ৪০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ৪০ টাকা) ঘোষণা ও বিতরণ করা হয়েছে। ফলে চলতি ২০১৬ সালের ৩১ মার্চে সমাপ্ত অর্থ-বছরে ম্যারিকো বাংলাদেশের অনুমোদিত মোট লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫০ শতাংশ (প্রতি শেয়ারে ৪৫ টাকা)। সৌগত গুপ্ত কোম্পানির কার্যক্রমের সফলতা তুলে ধরে বলেন, আমরা আমাদের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও উত্তোরণের কৌশলগত এজেন্ডা নিয়ে এগিয়ে চলেছি। আমরা আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি। ফলে আমাদের স্টেকহোল্ডার বা অংশীজনদের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা অন্যদের চেয়ে পার্থক্য তৈরিতে সক্ষম হয়েছি। তিনি জানান, আলোচ্য অর্থ-বছরে ম্যারিকো বাংলাদেশ কর-পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে ১৪১ কোটি টাকা। আর মোট আয় হয়েছিল ৭৩৪ কোটি টাকা। আলোচ্য বছরে ম্যারিকো বাংলাদেশের শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএসের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।