পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোলকাতা থেকে কালীপদ দাস : শেষ লড়াইয়ে হেরে গেলেন ভারতের বীর সেনানী ল্যান্স নায়েক হনুমান থাপ্পা। জীবন মৃত্যু যে লড়াই গত কয়েকদিন ধরে তিনি করছিলেন তাতে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন এই সেনানী। তবে হেরে গিয়েও তিনি বিস্ময়ের যে নজীর তিনি রেখে গেলেন বিশ্ববাসী তা অনেক দিন মনে রাখবেন। দিল্লির সেনা হাসপাতালে গতকাল ভারতীয় সময় বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে তার চিকিৎসকরা জানান সিয়াচিনের সাহসী জওয়ান হনুমানথাপ্পা আর ইহজগতে নেই। বিশ্বের বিস্ময় এই জওয়ান সিয়াচিনে মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি হিমাঙ্কে ৬ দিন প্রায় ৩৫ ফুট তুষারের নিচে চাপা থাকার পরও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হন। তারপর ২ দিন কোমায় থাকার পর তার কিডনী ও লিভারের কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এ খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর এক মহিলা ও সিআইএসএফ-এর এক অবসরপ্রাপ্ত হেড কনস্টেবল এই বীর সেনানীকে তাদের কিডনী দান করার জন্য উদ্যোগী হন। কিন্তু সে সুযোগ আর তিনি পেলেন না। জীবন-মৃত্যুর এক অসম লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি হেরেই গেলেন।
বুধবারই জানা গিয়েছিল তার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। দেশজুড়ে সবাই তখন তার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করছিলেন। পরে সিটি স্ক্যানে জানা যায়, তার মস্তিষ্কে অক্সিজেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। হনুমানথাপ্পার শারীরিক অবস্থার তখন থেকেই দ্রুত অবনতি হতে থাকে। পরিণামত তাতে শরীরের অধিকাংশ অঙ্গই কাজ বন্ধ করে দেয়।
বুধবার তার স্ত্রী মহাদেবী তাদের ৩ বছরের শিশু কন্যাকে নিয়ে দিল্লির সেনা হাসপাতালে দেখা করতে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা তাকে দূর থেকে তার স্বামীকে দেখার অনুমতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দেখাই শেষ দেখা। তারপর বৃহস্পতিবার দুপুরেই হনুমানথাপ্পা চিরদিনের মতো ইহজগত ছেড়ে চলে যান। তবে তিনি চলে গেলেও একটা মানুষ মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি হিমাঙ্কে কীভাবে ৩৫ ফুট বরফের নিচে ৬ দিন জীবিত অবস্থায় ছিলেন সেই বিস্ময় বিশ্ববাসীর কাছে রেখে গেলেন। পাশাপাশি সেই বিস্ময়ের রহস্যও হয়তো চিরকাল অমীমাংসিতই থেকে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।