পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আত্মসাৎ ও অবৈধভাবে লেনদেনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক ফাইন্যান্সিয়াল স্ক্যামার চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিট (সিটিটিসি)। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. জিয়াউল হক ও মো. সাজিদ হাসান সেতু। গত মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। চক্রটি এ পর্যন্ত অসংখ্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে হাজার হাজার মার্কিন ডলার প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে।
কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আন্তজাতিক প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত। এ চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ ও গ্রেফতারে কাজ করছে সিটিটিসি। এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম বিভাগের ডিসি আ ফ ম আল-কিবরিয়া জানান, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে একটি বিদেশি বিনিয়োগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আত্মসাৎ ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর্থিক প্রতারণার শিকার বিনিয়োগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটিতে অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ব্যক্তিগত তথ্য দেয়ার পাশাপাশি ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে হয়। প্রতিষ্ঠানটি অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের অংশ হিসেবে প্রতিটি নতুন রেজিস্ট্রেশন করা অ্যাকাউন্টের বিপরীতে অনধিক এক ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সংযুক্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাময়িকভাবে দিয়ে থাকে। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে এ অর্থ দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে রিটার্ন করে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির এ অ্যাকাউন্ট অথেন্টিকেশন প্রক্রিয়ার সুযোগ নিতো। তারা প্রথমে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশি-বিদেশি প্রতারকচক্রের কাছ থেকে পারফেক্ট মানি, ওয়েব মানি, পাইয়োনিয়ার অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে ভুয়া নাম-ঠিকানা সম্বলিত স্যোসাল সিকিউরিটি নাম্বার ও বিদেশি ব্যাংকের বেনামে তৈরি করা অ্যাকাউন্ট কিনতো।
ডিসি বলেন, অনলাইন থেকে কেনা এসব তথ্য কাজে লাগিয়ে চক্রটি প্রতিটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ওই বিনিয়োগ পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটির ৩০০/৪০০টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করতো। এভাবে এ বিপুল সংখ্যক অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য একসঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ জমা হলে চক্রটি ওই অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফেরত যাওয়ার আগেই অন্য একটি ব্যংক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নিতো।
এ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে প্রতারকচক্রটি মূলত জি টু ব্যাংক, সেইম ব্যাংক ইত্যাদি আন্তর্জাতিক মোবাইল ব্যাংকিং প্লাটফর্ম ব্যবহার করতো। চক্রটি এ পর্যন্ত অসংখ্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরি করে হাজার হাজার মার্কিন ডলার প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। আল-কিবরিয়া জানান, নতুন ধরনের প্রতারণার এ প্রক্রিয়াটির নাম নিউ অ্যাকাউন্ট ফ্্রড। গ্রেফতারকৃতদের রমনা মডেল থানার দায়েরকৃত মামলায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।