Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০৪১ সালে নবায়নযোগ্য জ্বালানি

সকলের জন্য বিদ্যুৎ এবছরই : তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এ বছরের শেষ নাগাদ দেশের শত ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসছে। সেই সাথে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৪০% নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব। গতকাল বুধবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্কটল্যান্ডের স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কপ২৬ এর বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিদেশী বিনিয়োগ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ আশা প্রকাশ করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় সংসদের ক্লাইমেট চেঞ্জ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য তানভীর শাকিল জয় এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানী কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

গ্লাসগোতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগদানরত ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতে বিষ্ময়কর উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ২০০৯ সালে দেশে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিয়ে সরকার দেশ পরিচালনা শুরু করে গত ১২ বছরে তা বেড়ে বর্তমানে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। এর ফলে দেশের উন্নয়ন, মানুষের মাথাপিছু আয় ও গড় আয়ু বেড়েছে। জীবনমানের উন্নতি হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাওয়ায় মানুষের আয়ও বেড়েছে। শুধু তাই নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। এখন মাথাপিছু জিডিপি ২ হাজার ২৫০ ডলার।

তিনি বলেন, করোনাকালে জিডিপিসহ দেশের মানুষের জীবনরক্ষা ও জীবিকার চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজই মূলত। অর্থনীতির সকল সূচকে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাাসিনার সরকারের ধারাবাহিকতা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি তথা সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্য পূরণে উন্নয়ন সহযোগীরা আধুনিক প্রযুক্তি ও অর্থ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের সিটি কর্পোরেশন গুলোর ময়লা আবর্জনাকে নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে পরিণত করা এবং স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করে সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ানো গেলে একদিকে পরিবেশ রক্ষা পাবে অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে দেশ লাভবান হবে।

পাশাপাশি সবুজ প্রযুক্তি, জলবায়ু অভিযোজনে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা বিকল্প নেই। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর অব্যাহত কার্বন নিঃসরণের কারণে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের নিষ্পাপ শিকার। অথচ এজন্য আমরা মোটেও দায়ী নই, দায়ী উন্নত বিশ্ব। অথচ তারা এজন্য কোন ক্ষতিপূরণ বা প্রযুক্তিগত সহয়তাও দিচ্ছে না।

অনুষ্ঠানে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং পিকেএসএফর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদিক, ইডকলের জ্বালানি বিষয়ক প্রকৌশলী এনামুল কবীর পাভেলসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ