পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ই-কমার্সকে সঠিক পথে আনতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গঠিত কমিটি তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে। আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রতিবেদনটি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন এই কমিটির সভাপতি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে বহুপক্ষীয় এই কমিটির তৃতীয় ও শেষ বৈঠক শেষে তিনি বলেন, কেবিনেটে ই-কমার্স নিয়ে যে কাজগুলো করতে বলেছিল, বৈঠকে সেই কাজগুলো চূড়ান্ত করলাম। আগামীকাল (আজ) কেবিনেটে রিপোর্ট পাঠাব।
গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, ১ জুলাইয়ের পর ২১৪ কোটি টাকা এসক্রো সিস্টেমে আটকা পড়েছে। এসব টাকার মধ্যে কিছু লেনদেনের ঘটনা বিভিন্ন মামলায় বিচারাধীন। মামলার বাইরে যে টাকাগুলো আছে, তা অচিররেই ফেরত দেওয়া হবে। টাকা চলে যাবে গ্রাহকের সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টে। কিছু টাকার বিপরীতে থাকা অর্ডারগুলোর পণ্য ডেলিভারি হয়ে গেছে। সেই টাকাগুলো গ্রাহকের কাছে না গিয়ে কোম্পানির একাউন্টে যাবে। তবে টাকা ফেরত দিতে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ দরকার বলে মনে করেন তিনি।
সফিকুজ্জামান বলেন, প্রচুর টাকা আটাকা আছে। টাকাটা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে জননিরাপত্তা বিভাগ ও সিআইডিকে চিঠি দিয়েছিলাম। টাকার মধ্যে একটা অংশ মামলার মধ্যে আছে। সেটার জন্য আইনি পরামর্শ দরকার। লেজিসলেটিভ ডিভিশনের কাছে অপিনিয়ন চেয়েছি। দু’এক দিনের মধ্যে অপিনিয়ন পেলে ফেরত দেওয়া শুরু হবে। এর মধ্যে অনেক ভোক্তা আছেন যারা সার্ভিস পেয়েছেন। সেই ক্ষেত্রে টাকাগুলো যাবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর কাছে।
কয়টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ ১৯টা বলেছেন, কেউ ১৭টা বলেছেন আবার কেউ ১৩টা বলেছেন। এখানে ৮টা আছে একেবারেই কমন। সব মিলিয়ে কয়টা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে আপানারা বুঝে নেন।
গ্রাহকের সঙ্গে কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের প্রতারণা চিহ্নিত করতে ও সমস্যাগুলোর সমাধানে বেশ কয়েকটি কমিটি কাজ করছে। এরই মধ্যে গত মাসের ১২ তারিখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি বহুপক্ষীয় কমিটি গঠন করে দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তর ও সংস্থাগুলোকে একই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানিগুলোকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় নিয়ে আসা, স¤প্রতি অভিযোগ ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক লেনদেনের তথ্য এবং মালিকানাধীন সম্পদের বিবরণ, ব্যাংক হিসাবের স্থিতির হালনাগদ তথ্য যোগাড় করা, গ্রাহকের খোয়া যাওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের পদ্ধতি নির্ধারণে সুপারিশ প্রস্তুত করতে বলা হয়েছিল এই কমিটিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।