পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের মোল্লার হাট ব্রিজের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। দৈনিক ইনকিলাবে ‘ব্রিজের নির্মাণ কাজে গতি নেই’ মর্মে একটি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে কাজের গতি দ্রুত বেড়েছে। নির্ধারিত মেয়াদে ব্রিজের কাজ শেষ না হওয়ায় দুই বছর বাড়িয়ে আগামী বছরের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত পুনরায় নির্মাণ কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে নদীর দুই পাড়ের লাখ লাখ মানুষের তীব্র ক্ষোভ থাকলেও কাজের গতি বাড়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নদীর দুই পাড়ের মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই নিত্যদিন খেয়া নৌকা পারাপারের মাধ্যমে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়ন ও তত্ত্বাবধানে ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান, টুঙ্গীবাড়ি, লৌহজং উপজেলা ও মুন্সীগঞ্জ সদর এলাকার মানুষ যাতে কেরানীগঞ্জ হয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ করতে পারে সে জন্য কোন্ডা ইউনিয়নের মোল্লার হাট এলাকায় ধলেশ্বরী শাখা নদীর উপর ২০১৮ সালের ১০ জুন ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। ২৫২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ মিটার প্রস্থের এই ব্রিজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৪২ হাজার ২৮৪ টাকা। সুরমা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার মেয়াদ ছিল চলতি বছরের ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু ধলেশ্বরী শাখা নদীর দুইপাড়ে কিছু ইটভাটা স্থানান্তর ও অন্যান্য জটিলতার কারণে ব্রিজের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় আগামী বছরের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত পুনরায় নির্মাণ কাজের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মোল্লার হাট এলাকায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের একটি অফিস রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত লোকদের খোঁজ করা হলে কর্মরত শ্রমিকরা প্রতিষ্ঠানের সাইট ইনচার্জ আনিসুর রহমানের নাম বললেও তাকেও সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে শ্রমিকদের দাবি খুব দ্রত গতিতে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। ব্রিজের ৮টি পিয়ারের মধ্যে ৬টি পিয়ারের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। নদীর মাঝখানে দুইট পিয়ারের কাজ এখনো পুরাপুরি শেষ হয়নি। নদীর পানি একটু কমলে পিয়ার দুইটির কাজ শুরু করা হবে। নদীর দক্ষিণ পাড়ে কয়েকটি পিয়ারে গার্ডারের কাজ শুরু হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা জানান, এ পর্যন্ত ৪/৫ বার ব্রিজের ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে। ব্রিজের দুই পাড়ের জমি অধিগ্রহণ নিয়েও জটিলতা দেখা দেয়ায় নির্মাণ কাজের গতি কমে যায়। এছাড়া চাহিদা মোতাবেক অর্থ বরাদ্ধ না থাকায় ব্রিজের নির্মাণ কাজ প্রায় মুখ থুবরে পড়ে।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাজাহান আলী বলেন, করোনাকালীন সময় ও বর্ষার কারণে ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকে। তাছাড়া স্রোতের কারণে নদীর ভেতর একটি পিয়ারের সমস্যা হওয়ায় সাময়িকভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ব্রিজ নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জটিলতার কারণে নির্ধারিত সময়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় আগামী বছরের ১৭ নভেম্বর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি এখন দ্রুত গতিতে নির্মাণ এগিয়ে যাবে।
প্রকল্প পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মজিবুর রহমান (ঢাকা জেলা) বলেন, বিভিন্ন জটিলতা ও করোনা মহামারীর কারণে ব্রিজের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। এখন দ্রুত গতিতে নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি বর্ধিত সময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ব্রিজটি নির্মিত হলে এটি কেরানীগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। বর্তমান সরকারের দেশব্যাপী উন্নয়নের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই ব্রিজটি। ব্রিজটি নির্মিত হলে উভয়পাড়ে গড়ে উঠবে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। এতে অনেক লোকের কর্মসংস্থান হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।