Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বর্ষসেরা টেলিকম টাওয়ার কোম্পানির পুরস্কার জিতেছে ইডটকো

প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বর্ষসেরা টেলিকম টাওয়ার কোম্পানির স্বীকৃতি পেয়েছে ইডটকো গ্রæপ। গত ১৩ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের কনরাড সেন্টেনিয়াল হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইডটকোকে ‘২০১৬ সাউথইস্ট এশিয়া টেলিকম টাওয়ার কোম্পানি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভান। ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভান পুরস্কার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেস্ট প্র্যাকটিসেস অ্যাওয়ার্ড। ২০১৫ সালে বিভিন্ন কোম্পানির ব্যবসায় উৎকর্ষ সাধন ও শিল্প বিকাশে প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে পুরস্কারটি প্রদান করা হয়। গতকাল (সোমবার) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজার দক্ষতার বিভিন্ন নির্দেশক বিশ্লেষণ করে ‘সাউথইস্ট এশিয়া টেলিকমস টাওয়ার কোম্পানি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’-এর প্রতিযোগীদের মূল্যায়ন করা হয়েছিল। এই নির্দেশকগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ রাজস্ব প্রবৃদ্ধি, বাজারে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি, পণ্য উদ্ভাবনে নেতৃত্ব, পণ্য প্রসার ও সমাধান, বড় ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো এবং ব্যবসা ও বিপণন কৌশল। ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভানের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩০ জন শীর্ষ বিশ্লেষক এবং পরামর্শক এ পুরস্কার বিজয়ীদের মনোনীত করেন। ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভান পুরস্কার প্রদানের জন্য বিশ্লেষক ও পরামর্শকরা বৈশ্বিক মানদÐ বজায় রেখে প্রতিযোগীদের সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি, মূল্যায়ন এবং গবেষণা প্রক্রিয়ার কাজ শেষ করেন।
ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভানের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন) অ্যান্ড্রু মিলরয় বলেন, ‘টেলিযোগাযোগ শিল্পে অভূতপূর্ব পরিবর্তন চলছে। এই শিল্পে ইডটকো নেতৃত্বস্থানীয় ও অগ্রগামী। কোম্পানিটি বাজার নেতৃত্ব ও প্রবৃদ্ধি প্রদর্শনের পাশাপাশি উদ্ভাবনী পণ্যের প্রসারের মাধ্যমে তার ভৌগোলিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে।
টেলিকম শিল্পে ইডটকোর অবদান অসামান্য।’ ২০১৫ সাল ইডটকোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বছর। এ বছরে ইডটকো বাংলাদেশে জ্বালানি সমাধান এবং সক্রিয় অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ (ওঅ্যান্ডএম) সেবা সফলভাবে চালু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি মালয়েশিয়ায় উদ্ভাবনী মবিলিটি সল্যুশন (বিটিএস হোটেল) প্রবর্তন করেছে এবং এর সেবা ৯৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ পর্যন্ত উন্নীত করেছে। মিয়ানমার টাওয়ার কোম্পানির (এমটিসি) বেশিরভাগ লাভ করে সেখানেও ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে ইডটকো। এ অঞ্চলে মিয়ানমারের বাজারকে সর্বশেষ গ্রিনফিল্ড টেলিকম মার্কেট এবং টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর দ্রæত বর্ধনশীল বাজার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইডটকো গ্রæপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুরেশ সিধু বলেন, ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভানের কাছ থেকে ‘সাউথইস্ট এশিয়া টেলিকমস টাওয়ার কোম্পানি অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পেয়ে আমরা সম্মানিত ও গর্বিত।
ইডটকোতে আমরা প্রতিটি টেলিযোগাযোগ বাজারের বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয়তা খুঁজে বের করি। আর মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, সরকার, নিয়ন্ত্রক, প্রান্তিক ব্যবহারকারী ও কমিউনিটির গোটা চাহিদা অনুযায়ী উদ্ভাবনী সমাধান বের করা হয়।
সুরেশ বলেন, ‘উদ্ভাবনমূলক টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর সমাধানের মাধ্যমে এ অঞ্চলে সংযোগ তৈরিতে ইডটকোর নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার স্বীকৃতি এই পুরস্কার। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাশ্রয়ী মূল্যে গ্রাহকদের জন্য প্রতিযোগিতামূলক বাজারে উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই পুরস্কার ইডটকোর নিবেদিত কর্মী, বিনিয়োগকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ গ্রাহকদের প্রতি উৎসর্গ করছি।’
ইডটকো বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবা প্রদান করছে। ইডটকোর সেবা আওতার মধ্যে রয়েছে টাওয়ার লিজিং, কো-লোকেশনস, বিল্ড টু স্যুট, জ্বালানি, ট্রান্সমিশন, অপরেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ (ওঅ্যান্ডএম)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বর্ষসেরা টেলিকম টাওয়ার কোম্পানির পুরস্কার জিতেছে ইডটকো
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ