পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাস্তা-ব্রিজ-কালভার্টসহ সকল ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে কাজের গুণগত মান ঠিক না রাখলে জড়িতদের কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
গোপালগঞ্জ জেলা সফরে এসে গতকাল টুঙ্গীপাড়া এবং কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উপজেলার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান।
মন্ত্রী জানান, কাজের গুণগত মান ঠিক না রাখলে এর সাথে যারাই যুক্ত থাকুক না কেন তাদের পরিণতি ভালো হবে না। নিম্নমানের কাজের সঙ্গে প্রকৌশলী, ঠিকাদার বা অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে টেকসই উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি), জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, গণপূর্তসহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সকল চলমান কার্যক্রম অবশ্যই টেকসই এবং গুণগত মানসম্পন্ন হতে হবে।
তিনি বলেন, কাজের মান ঠিক আছে কিনা, সময়মত শেষ হচ্ছে কিনা তা পরিদর্শন ও মনিটরিং করার দায়িত্ব প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের। ঠিকাদার কাজে গাফিলতি করলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাবে না এই কথা ঠিক না। যারা ঠিকমতো কাজ করবে না, কাজের গুণগত মান ঠিক রাখবে না, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করবে না তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাস্তা ও ব্রিজসহ কোনো ধরনের অপ্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেখানে যা প্রয়োজন সেখানে সেটা করতে হবে। রাস্তা পাকাকরণের পর পাঁচ বছরে যেন সংস্কার করতে না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। কম টাকা দিয়ে রাস্তা-ব্রিজ বা অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করার চেয়ে গুণগত ও টেকসই করার জন্য খরচ বেশি করে করা ভালো বলেও মন্তব্য করেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে উদ্দেশ্য ও স্বপ্ন নিয়ে এ দেশ স্বাধীন করেছেন সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ও কৃষক-শ্রমিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে একত্রে কাজ করার আহবান জানান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। এছাড়া, জেলা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি দফতর/ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালিপাড়ায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন এবং নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে সকল সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন মন্ত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।