পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গেটওয়েতে পেমেন্ট আটকে থাকা ই-কমার্স গ্রাহকের পৃথক ৩টি রিটের শুনানির পরবর্তী তারিখ ১৬ নভেম্বর। এ তথ্য জানিয়েছেন রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ওইদিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পলিসি কী তাও জানাতে হবে আদালতকে। এছাড়া আদালত ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গঠিত ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে তা আদালতকে লিখিতভাবে জানাতে হবে। ওইদিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি হবে। গতকাল রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শিশির মনির। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার শুনানিতে অংশ নেন। এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ই-কমার্সের গ্রাহকদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষায় জাতীয় ডিজিটাল কমার্স পলিসির ম্যান্ডেট অনুসারে একটি স্বাধীন ‘ই-কমার্স নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. আনোয়ারুল ইসলাম।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর ই-অরেঞ্জে কোটি কোটি টাকা আটকে থাকা ৩৩ জন গ্রহক ডিজিটাল বা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তৈরির জন্য অর্থনীতিবিদ, তথ্য-প্রযুক্তিবিদ, ব্যবসায়ী ও অন্য অংশীজনদের নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন এবং ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিট করেন। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, ইভ্যালি ও ই-অরেঞ্জের দু’জন গ্রাহকের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব আরেকটি রিট করেন।
রিটে কোনো ব্যক্তি বা সরকারি কর্তৃপক্ষের অবহেলা বা ব্যর্থত
ায় ইভ্যালি, আলিশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা, দারাজ, কিউকম, আলাদিনের প্রদীপ ও দালাল প্লাসের মতো পরিচিত বাজার থেকে পণ্যের জন্য লাখ লাখ গ্রাহকের ক্ষতি ও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা নির্ণয়ে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতির নেতৃত্বে এক সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
ওই তিন রিট একত্রে শুনানি নিয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পলিসি কী তাও জানতে চেয়েছিলেন আদালত।
এছাড়া আদালত ই-কমার্স খাতের স্বার্থে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের করা ১৬ সদস্যের কারিগরি কমিটির কার্যপরিধি কী তাও জানতে চেয়েছেন। গতকাল ৮ নভেম্বরের মধ্যে তা আদালতকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছিল। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী গতকাল বিষয়টি হাইকোর্টে ওঠে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিবেদন না আসায় আদালত উষ্মা প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন ১৬ নভেম্বর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।