পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বার্ষিক পরীক্ষার মেধাক্রমের ভিত্তিতে আগে যে রোল নম্বর দেওয়া হত, তার বদলে শিক্ষার্থীদের এবার ইউনিক আইডি নম্বর দেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, “রোল নম্বর নিয়ে একটা সমস্যা হয়। প্রত্যেক শ্রেণিতে যে রোল নম্বর থাকে, আমাদের রোল নম্বরের যে প্রথা রয়েছে, তার কারণে একটা অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা হয় এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক সময় যে সহযোগিতার মনোভাব, যেটি থাকার দরকার, অনেক সময় সেটির অভাব ঘটে রোল নম্বরের কারণে, সামনে আসতে চায় সবাই।
“আমরা চেষ্টা করছি ২০২১ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থীদের শ্রেণির রোল নম্বরের এই বিষয়ের পরিবর্তে আইডি নম্বর প্রদান করতে, এতে পুরানো রোল নম্বর প্রথার বিলুপ্তি হবে এবং অনভিপ্রেত প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটা সৎ প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হবে বলে আশা করছি।”
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক থেকে সব শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডি দেওয়া হবে। পুরো শিক্ষা জীবনে সে ওই আইডি নম্বর নিয়ে থাকবে, তাতে তাকে ‘ট্র্যাক’ করা যাবে, সে ঝরে পড়ছে কি না।
জানা গেছে, ২০২২ সালে সারা দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৩ কোটি শিক্ষার্থীকে ইউনিক আইডি কার্ড দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি নম্বরগুলো জাতীয় সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে এবং শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পরে সেই ইউনিক আইডি নম্বরগুলো জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বরে রূপান্তরিত হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে পরস্পরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক মানসিকতা সৃষ্টি করতে চাই এবং এই ইউনিক আইডি নম্বরগুলো এক্ষেত্রে সাহায্য করবে।”
এর আগে পুরানো রোল নম্বর সিস্টেমের মাধ্যমে সৃষ্ট অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা শেষ করার লক্ষ্যে ২০১০ সালে সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস (সিআরভিএস) ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২০১৮ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ১৬৪ কোটি টাকার প্রোফাইল প্রকল্প এবং ৩১৩ কোটি টাকার সমন্বিত শিক্ষাগত তথ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম (আইইআইএমএস) নামের দুটি পৃথক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বাস্তবায়িত প্রোফাইল প্রকল্পের কাজ এ বছরই শেষ হওয়ার কথা ছিল। অন্যদিকে, ২০২২ সালের জুনের মধ্যেই বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বাস্তবায়িত আইইআইএমএস প্রকল্পটি সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, এই পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্রের সঙ্গে অন্য আরেকজন শিক্ষার্থীর পরিচয়পত্র মিলে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিক আইডির জন্য প্রোফাইল ফর প্রাইমারি স্কুল স্টুডেন্টস প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রোফাইল প্রকল্প পরিচালক মঞ্জুরুল আলম প্রধান জানান, ২ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিক আইডি তৈরি করতে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডি তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তথ্য লিপিবদ্ধের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং ডিসেম্বরের মধ্যেই ৮০টি স্কুলের জন্য ইউনিক আইডি সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ শিক্ষাগত তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি থেকে প্রকল্পের আওতায় মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ শিক্ষার্থী ইউনিক আইডি পাবে।
আইইআইএমএসের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক শামসুল আলম জানান, ইউনিক আইডি ফর্ম পূরণের প্রক্রিয়া এ বছরের ৩০ নভেম্বর শেষ হবে।
তিনি আরও জানান, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের কিছু কারিগরি ত্রুটি ও অসঙ্গতির কারণে এ বছর সবার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা সম্ভব হচ্ছে না।
দ্রুততর সময়ে কারিগরি ত্রুটির সমাধান করা গেলে ডিসেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র দেওয়া সম্ভব হতো বলেও জানান তিনি।
যেসব শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল উপায়ে জন্ম নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করেছে তাদের নিবন্ধনের জন্য শুধুমাত্র বাবা-মায়ের এনআইডি দিতে হবে। অন্যদিকে, যেসব শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল উপায়ে জন্ম নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করেনি তাদের ক্ষেত্রে এনআইডি এবং জন্ম নিবন্ধন তথ্য দুটোরই প্রয়োজন হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।