পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বেসরকারিখাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৬ ক্যাটাগরিতে ১৯টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে প্রেসিডেন্টের শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার দিচ্ছে সরকার। ২০১৯ সালের জন্য এসব প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেবে শিল্প মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পুরস্কার দেয়া হবে। প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এ তথ্য জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।
শিল্পমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের শিল্পায়ন অভিযাত্রী একসূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তানে শিল্পায়নের ধারা বেগবান করার লক্ষ্যে পূর্ব পাকিস্তান ক্ষুদ্র শিল্প করপোরেশন (ইপ্সিক) প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতার পর থেকে এটি বিসিক নামে সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে শিল্পায়ন প্রক্রিয়া জোরদারে কাজ করে যাচ্ছে। বিসিকের প্রচেষ্টায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপক হারে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠেছে।
জানা যায়, দেশে বর্তমানে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার ক্ষুদ্র শিল্প এবং প্রায় সাড়ে আট লাখ কুটির শিল্প রয়েছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি দেশে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লাখ এসএমই প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসব এসএমই শিল্প প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তা জিডিপিতে শতকরা ২৩ শতাংশ এবং মোট শিল্প কর্মসংস্থানে শতকরা ৮০ শতাংশ অবদান রাখছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ছয় ক্যাটাগরির শিল্পের জন্য ৩টি করে মােট ১৮টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেয়া হয়। এ বছর দুটি ক্যাটাগরির ২টি পজিশনে যৌথভাবে দু›টি করে প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় এবং ১টি ক্যাটাগরিতে মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হওয়ায় মােট ১৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার-২০১৯’ দেয়া হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে চারটি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে চারটি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে দুইটি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে তিনটি। পুরস্কার প্রাপ্ত প্রত্যেককে একটি করে ক্রেস্ট এবং সম্মাননাপত্র দেয়া হবে।
যেসব প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেয়া হবে-বৃহৎ শিল্প : বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার যৌথভাবে পাচ্ছে বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, একই ক্যাটাগরিতে দ্বিতীয় পুরস্কার পাচ্ছে মীর সিরামিক লিমিটেড এবং তৃতীয় জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স লিমিটেড।
মাঝারি শিল্প : মাঝারি শিল্পে প্রথম পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছে বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিমিটেড, দ্বিতীয় নোমান টেরি টাওয়েল মিলস এবং যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পাবে আকো-টেক্স লিমিটেড এবং ক্রীমসন রোসেলা সি ফুড। ক্ষুদ্র শিল্প : ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছে প্রমি অ্যাগ্রো ফুডস, দ্বিতীয় হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে মাধবদী ডাইং ফিনিশিং মিলস এবং এপিএস হোল্ডিংস পাচ্ছে তৃতীয় পুরস্কার।
মাইক্রো শিল্প : মাইক্রো শিল্পে প্রথম পুরস্কারে নির্বাচিত হয়েছে মসকো ডেইরি এন্টারপ্রাইজ, দ্বিতীয় খান বেকেলাইট প্রোডাক্টস এবং তৃতীয় র্যাভেন অ্যাগ্রো কেমিক্যালস লিমিটেড। কুটির শিল্প : কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাবে দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে প্রথম- কোর-দি জুট ওয়ার্কস এবং দ্বিতীয় সামসুন্নাহার টেক্সটাইল মিলস। হাইটেক শিল্প : হাইটেক শিল্পে পুরস্কারের জন্য মনোমীত হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইনফরমেশন টেকনোলজি কনসালটেন্টস লিমিটেড এবং সামিট কমিউনিকেশনস লিমিটেড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।