পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : অবৈধ ভবন নিয়ে কঠোর অবস্থানে রাজউক। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এলাকার অনুমোদনহীন ভবন ‘কোনো ধরনের নোটিশ না দিয়েই’ ভেঙ্গে ফেলতে বলেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন। সচিবালয়ে গতকাল রোববার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ সংক্রান্ত এক সভায় মন্ত্রীর এই নির্দেশনা দেন।
সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে রাজউক কর্মকর্তাদের মোশাররফ হোসেন বলেন, যে ভবনগুলো নিয়মমাফিক হয়নি, সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে কোনো ভবন ভাঙার আগে সেটি নির্মাণে সরকারি অনুমোদন ছিল কি না- তা ভালো করে দেখার পরামর্শ তিনি।
মন্ত্রী বলেন, যারা ১০ তলার অনুমোদন নিয়ে ১৫ তলা করেছে, সাহস দেখিয়ে পাঁচ তলা ভেঙে দেন। উইদাউট গিভিং এনি নোটিশ। করবেন বৃহস্পতিবারে আর শেষ করবেন শনিবার। লেবার যা লাগে আমরা দেব। তারপরে কোর্টে যাক। যদি এ রকম কিছু কাজ করতে পারেন তাহলে মানুষের টনক নড়বে এবং তখন সবাই একটা নিয়মে আসবে।
জনবল সঙ্কটের দাবি জানিয়ে আসা রাজউক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আমি লক্ষ্য করলাম যথেষ্ঠ পরিমাণে লোক আপনাদের আছে। যখন একটি বিল্ডিং পাস হয় যখন লেআউট দেই তখন তো আপনাদের লোক থাকতে পারে। এ সময় রাজউক কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে জানান, সেই নিয়ম আছে।
মোশাররফ বলেন, তাহলে কেন ফুটপাত থেকে কোনো বিল্ডিং সাত ফুট দূরে নির্মাণ করাতে পারব না? কোনো বিল্ডিংই তো (ফুটপাতের) সাত ফুট ভেতরে দেখাতে পারবেন না। তাহলে তো এটা আমাদের গাফিলতি, আমরা দেখেও দেখি না। কাজেই এ রকম বিল্ডিং থাকলে আপনার অথরাইজড অফিসারের কাছে ব্যাখ্যা চান। যেখানে আবাসিক এলাকা, সেখানে আবাসিক এলাকা থাকবে। যা হয়ে গেছে তা হয়ে গেছে; আর যেন না হয়, এটা খেয়াল রাখবেন।
মন্ত্রী বলেন, আপনাদের যে অথরাইজড অফিসার আছে, যে অথরিটি আছে সে তো কাজে আসল না। রাজউককে থোরাই কেয়ার করে আমি বিল্ডিং করে ফেললাম তাহলে কিছু হল? একটি হোটেল রেস্তোরাঁ বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নির্মাণে যে সময় লাগে ওই সময়ের মধ্যে রাজউকের ১০টি জোনের অথরাইজড অফিসাররা কেন যেতে পারবেন না- সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
রাজউক একটা প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠানের অনেক দুর্নাম থাকলেও আমরাই একমাত্র প্রতিষ্ঠান যারা পরিকল্পনা অনুযায়ী আবাসিক এলাকাগুলো করতে সক্ষম হচ্ছি। ঢাকার আশপাশে এখনও যেসব ফাঁকা জায়গা রয়েছে, রাজউকের মাধ্যমেই তার উন্নয়ন ঘটানো উচিত বলে মত দেন পূর্তমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমরা ইকোফ্রেন্ডলি সবকিছু রেখেই এরিয়া ডেভেলপ করছি। হয়ত আমাদের বদনাম আছে, এদিক-ওদিক। লেট হলেও একটা এরিয়া প্রোপার প্ল্যান অনুযায়ী আমরা করছি, এই সুনামটা আমাদের আছে। এই সুনামটা ধরে রাখার জন্য আমার মনে হয় আমিসহ যারা আছি, যদি একযোগে ও আন্তরিকভাবে কাজ করি, সুনাম সমুন্নত রাখতে পারব।
মন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে যারা জলাশয় ভরাট করছে, তাদের বিরুদ্ধে জলাধার আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। আদালত স্থগিত করে দিলে আইনি লড়াই চালাতে হবে। কিছু কিছু জলাধার ইতোমধ্যে ভরাট হয়ে গেছে। অথরাইজড অফিসার যারা আছেন, তারা দেখবেন। শর্ট টাইমে এর রিপোর্ট রাজউককে দিতে হবে। নদীর পাড়ে নতুন যেসব ভবন হচ্ছে সেগুলোর অনুমোদন আছে কি না- আগামী সাতদিনের মধ্যে তা জরিপ করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। অনুমোদন না নিয়ে কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় ভবন করে থাকে, সেগুলো দ্রুত বন্ধ করে দেবেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, পূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন) মো. আব্দুর রহমান এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।