পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশ ও সরকারকে অস্থিতিশীল করতে অশুভ শক্তি নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেছেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সুশীলন-এর ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। সুশীলনের চেয়ারম্যান আ জ ম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ুাল অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য উত্থাপন করেন সুশীলনের নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, এস এম জগলুল হায়দার ও মো. আক্তারুজ্জামান বাবু, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে. এম. তারিকুল ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন করিব, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল ভদ্র, উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মণ্ডল, উন্নয়নকর্মী সেলিনা সাঈদ প্রমূখ। মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নত বিশ্বের কাতারে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী অশুভ শক্তি মাঝে মাঝে দেশকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করে। যে কারণে কিছু দিন আগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে।
অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়তে সকলকে ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষি নির্ভর গ্রামীণ অর্থনীতির বাংলাদেশে কৃষকের ফসলের নায্যমূল্য ও প্রান্তিক মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বিবেচনা করে খাদ্য নিরাপত্তা আরো বাস্তবমুখী ও শক্তিশালী করতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ভিশন ২০৪১ ও ডেল্টা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চল ও চরাঞ্চলসমূহের জন্য পৃথক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় ও চরাঞ্চলের মানুষকে উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে।
সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা প্রচারের আহ্বান জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে অভিযোজনের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষদের উন্নয়ন অংশীদার করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অবদান যুক্ত হবে। যা উন্নয়নকে টেকসই করবে। তিনি আরো বলেন, দেশে লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এটা এক সুবর্ণ সুযোগ। এ জাতের ধানের চাষাবাদ সম্পর্কে স্থানীয়দের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। অনাবাদী জমিতে লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধান আবাদের প্রসার ঘটিয়ে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাকে টেকসই করার আহবান জানান তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন সংগঠন সুশীলন নারী ও যুব নেতৃত্বের বিকাশ, দূর্যোগ ব্যবন্থাপনা, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, সুপেয় পানি সরবরাহ, বনায়ন এবং স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ আয়োজন করে থাকে। যা প্রশংসার দাবী রাখে। এসময় তিনি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য গ্রহণ সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করতে সুশীলন কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ‘সুশীলন’ ১৯৯১ সাল থেকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করছে। গত ৩০ বছরে সুশীলন ৬৪টি জেলায় ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় ৩৯৬টি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি পরিবারকে সহযোগীতা করেছে। যার মধ্যে ১০ লক্ষ পরিবারকে দুর্যোগকালীণ সহযোগিতা দিয়েছে। বর্তমানে সুশীলন প্রতিবছর প্রায় ১৫০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করে। সবার পিছে ও সবার নিচে পড়ে থাকা মানুষের উন্নয়নে সুশীলনের প্রায় ২০০০ হাজার কর্মী কাজ করে যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।