পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মধুপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : পরিবেশ আইন, বন সংরক্ষণ আইন, ইটভাটা ও ইট প্রস্তুত আইন কোন আইন মানছে না ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুরের মালিকরা। নিজেদের ইচ্ছে মত পুরনো চিমনি ও পৌর এলাকার ভাটা মালিকরা ইট প্রস্তুতের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুসারে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে আধুনিক প্রযুক্তির জিগজ্যাগ কিল্ন, হাইব্রিড হফম্যান কিল্ন, ভারটিক্যাল স্যাফট ব্রিককিল্ন বা অনুরূপ উন্নতর কোন প্রযুক্তির ইটভাটা স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে। সংশোধিত ২০১৩ আইনটি ১ জুলাই ২০১৪ থেকে কার্যকর হয় বলে প্রজ্ঞাপন জারি করে পরিবেশ অধিদপ্তর। ধনবাড়ী উপজেলায় ইটভাটা রয়েছে ১৩টি। এর মধ্যে জিগজ্যাগ ৯টি বাকি ৪টি ১২০ ফুট পুরনো চিমনির। পুরনো চিমনির ২টি পৌরসভার ভিতরে। মোঃ ছোহরাব আলী মালিকানাধীন একতা ব্রিক ও শফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন মালঞ্চ ব্রিক। পৌরসভার বাইরে ২টি ধোপাখালী ইউনিয়নের জাহিদুল হক মিলনের মালিকানাধীন এম.এস.বি ব্রিক ও আমিনুল ইসলামের মালিকানাধীন এস.এ ব্রিক। মধুপুর উপজেলায় ভাটা রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে ২টি জিগজ্যাগ বাকি ৮টি ১২০ ফুট পুরনো চিমনির। মধুপুর পৌরসভার ভিতরে পুরনোর চিমনির ৩টি। খন্দকার মোতালিব হোসেনের মালিকানাধীন এম.বি ব্রিক, মোঃ আনোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন আশা ব্রিক, খন্দাকার হানিফের মালিকানাধীন এস.আর.বি ব্রিক। বাকি ৫টি পৌরসভার বাইরে রতনের মালিকানাধীন প্রগতি ব্রিক, রাশেদুল-এর মালিকানাধীন পলাশ পুলক ব্রিক, মহিউদ্দিনের মালিকানাধীন মধুপুর ব্রিক, আব্দুল জলিলের মালিকানাধীন জনতা এ ব্রিক, নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন এস কে ব্রিক। এছাড়া গোপালপুরেও পৌরসভার ভিতরে ১২০ ফুট পুরনো চিমনির ৫টি ভাটা রয়েছে বলে জানা গেছে। জিগজ্যাগ ভাটার মালিকরা আইন-কানুন মানলেও সাধারণ পদ্ধতির ভাটার মালিকরা কোন আইনের তোয়াক্কা না করে গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারও ইট প্রস্তুতের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুরো দমে। ১ জুলাই ২০১৪ সাল থেকে আইন কার্যকর হওয়ার কথা। পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে বারবার চিঠি দেয়ার পরও তারা তা মানছে না। আইন অমান্য করে জেলা উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় ভাটা মালিকরা ইট প্রস্তুতির প্রস্তুতি নিলেও সেদিকে নজর নেই তাদের।
ভাটা মালিকরা বলাবলি করে বেড়াচ্ছে এবারও প্রশাসনকে ম্যানেজ করা হচ্ছে। ১২০ ফুট উচ্চতার চিমনি সম্বলিত ভাটাকে এর আগে অনুমোদন দেয়া হলেও এইগুলো পরিবেশবান্ধব নয়। এসব ভাটার কারণে ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষি জমিতে। ইটভাটা এলাকার কৃষকরা জানায়, ইটভাটা থেকে কালো ধোঁয়া নির্গত হওয়ায় জমির উর্বরা শক্তি কমে যাচ্ছে। ফল গাছগুলোতে আগের মত ফল ধরছে না, ফল হচ্ছে আকারে ছোট। শাকসবজি আবাদ করা যাচ্ছে না। শাকসবজি যাও হচ্ছে খাবার অযোগ্য। ভাটা এলাকার জমির মালিকদের লোভ দেখিয়ে জমির টপসয়েল কেটে ইটভাটায় নেয়া হচ্ছে। যা আইনত অপরাধ। ইট প্রস্তুত, ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ মোতাবেক আইন অমান্যকারীকে ১০ বছরের জেল ও ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও এর কোন প্রয়োগ নেই। ছাড়পত্র ছাড়া ইট পোড়ানো নিষেধ থাকলেও এবারও এ অঞ্চলের প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের ম্যানেজ করেই ছাড়পত্র ছাড়াই ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুরের ইটভাটাগুলোতে ইট বানানোর প্রস্তুতি চলছে। এ অঞ্চলের ভুক্তভোগীরা ইটভাটা মালিকদের এরূপ প্রস্তুতিতে শঙ্কিত। তারা পৌর এলাকার ভিতরে ও ১২০ ফুট চিমনির ব্যবহার করে ইট প্রস্তুতের নিষেধের দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।