Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকায় সিঙ্গাপুরের আমেজে জীবন!

প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান। বাংলাদেশে টাইলস শিল্পের অন্যতম পাইওনিয়ার। তার আরএকে কোম্পানির টাইলস দেশব্যাপী সমাদৃত। কোয়ালিটির বিচারে এক কথায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী। রীতিমতো মানুষের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে তা। সেই আরএকের কর্ণধার একরামুজ্জামান এবার ব্যবসার অন্য এক সেক্টর আবাসন শিল্পে যাত্রা শুরু করেছেন মানুষকে ভালো কিছু উপহার দেয়ার মানসিকতা নিয়ে। শুধু মুনাফা অর্জনই তার লক্ষ্য নয়, তার লক্ষ্য ব্যবসার পাশাপাশি এই সেক্টরেও অন্যের উদাহরণ হওয়া। বাজারে হরেক রকম টাইলস থাকা সত্ত্বেও মানুষ যেমন বাজারে গিয়ে আরএকের নাম নেন, তেমনি তিনি চান আবাসনেও যেন মানুষ আস্থার সঙ্গে আরএকের নতুন ক্ষেত্র ‘রাকিন’-এর নাম আস্থার সঙ্গে নেন।
একরামুজ্জামানের আরএকে ‘রাকিন’ দুবাই-মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক নির্মাণ কোম্পানি। রাকিন শব্দের অর্থ ‘স্তম্ভ ও বিশ্বস্ত’। রাকিন সৃষ্টি করেছে বিশ্বের সেরা সব বসতি, যা সব জায়গায় আস্থার এক নির্মাণ হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। রাকিনের অন্যতম একটি রিয়েলস্টেট প্রজেক্ট ‘বাব এল বাহার’ যেন আবুধাবির বুকে একটুকরো মুক্তা।
নামের অর্থের মতোই একরাম আবাসন খাতে ক্রেতাদের কাছে আস্থার প্রতীক হতে চান। মিরপুর ১৪ এলাকায় পুলিশ স্টাফ কলেজের পাশে ৫০ বিঘা জমিতে গড়ে উঠছে বিজয় রাকিন সিটি। তিনি এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গেল বছরে ব্যক্তিপর্যায়ে দেশের সর্বোচ্চ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বিশিষ্ট এ শিল্পপতির মতে, দেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে আবাসন শিল্প। সেই শিল্প, তার স্বপ্ন ও ভাবনা নিয়ে তিনি কথা বলেছেন দৈনিক ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার তারেক সালমানের সঙ্গে।
রাকিন বিজয় সিটিকে বাংলাদেশের একটা ইউনিক প্রকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেন একরামুজ্জামান। তিনি বলেন, সম্ভবত এ দেশে এমন কমিউনিটি প্রকল্প আগে কেউ গ্রহণ করেনি। মানুষের বসবাসের জন্য আধুনিক যত রকমের সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা শুধু তা-ই নয়, যা ভাবনাতেও আসে এই প্রকল্পে তার সবই থাকবে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশে আবাসন সেক্টরে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের যৌথ প্রজেক্টে কাজ করেছে সম্ভবত বিজয় রাকিন সিটিই প্রথম। এই কোম্পানির আন্তর্জাতিক কাজের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা আমাদের দেশে আধুনিক মানের একটি আবাসিক প্রকল্প তৈরিতে বিস্তর ভূমিকা রাখবে।
একরামুজ্জামান বলেন, এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, বিজয় রাকিন সিটির সব কন্সট্রাকশনের কাজ আমরা বিদেশী কন্ট্রাক্টরকে দিয়ে দিয়েছি। ওই বিদেশী ঠিকাদার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বড় বড় স্থাপনার কাজ করেছেন। আমাদের কন্সট্রাকশন মান অত্যন্ত হাই স্ট্যান্ডার্ড। স্ট্যান্ডার্ডের বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ সচেতন। গুণগত মান নিয়ন্ত্রণে আমরা যেকোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত। তিনি জানান, বিজয় রাকিন মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এটা মোস্ট ফাস্ট সেলিং প্রজেক্ট হিসেবে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে অবস্থান করে নিয়েছে। দেশের রিয়েল এস্টেটের যে দৈন্য চলছে, এ অবস্থায় আমার মনে হয় কোনো রিয়েল এস্টেট কোম্পানি বাংলাদেশে নেই যে, কনস্ট্রাকশনে প্রোগ্রেস করছে। আমরা পারছি, কারণ উই হ্যাভ কাস্টমার সাপোর্ট অলসো দেয়ার।
একরাম বলেন, মানুষ আগ্রহের সঙ্গে আমাদের গ্রহণ করছে। এ প্রজেক্ট সম্পর্কে আগ্রহী হচ্ছে। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলো এ রকম Ñ যদি সেল না হয়, তাহলে আপনি পারবেন না। কত নিজের পকেট থেকে বিনিয়োগ করবেন। যারা বায়ার পে ফর দেয়ার ফ্যাট অ্যান্ড দেন অনলি দ্য প্রজেক্ট গ্রোথ।
বিজয় রাকিন সম্পর্কে মানুষের আগ্রহের উদাহরণ হিসেবে একরাম বলেন, গত রিহ্যাব মেলায় টোটাল সেল কত ছিল? এবারের মেলায়, প্রকাশিত হিসাবে দেখা যায়, টোটাল রিহ্যাব সর্বমোট ফ্ল্যাট বিক্রি করেছে ১০১টি। আর গত ডিসেম্বর মাসে বিজয় রাকিন সিটি একাই বিক্রি করেছে ৯৭টি ফ্ল্যাট। অর্থাৎ রিহ্যাবের মেলায় যে পরিমাণ ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে তার প্রায় সমপরিমাণ আমরা একাই করেছি শুধু ডিসেম্বর মাসে। এতে বোঝা যায় কাস্টমারের ট্রাস্ট অ্যান্ড কনফিডেন্স ইন দিস প্রজেক্ট।
তিনি বলেন, এখানে আমাদের ফ্ল্যাট হচ্ছে মোট ১৯৫০টি। সেখানে থাকবে সর্বাধুনিক শপিংমল, অফিস ব্লক, আধুনিক ১২ তলা বিশিষ্ট কমিউনিটি ক্লাব। এছাড়াও এখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকবে। যাতে নার্সারি থেকে ইন্টারমিডিয়েট লেবেল পর্যন্ত ক্লাস থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকে পর্যাপ্ত সিটি ক্যামেরার ব্যবস্থা। তিনি আরও বলেন, বিজয় রাকিন সিটির জায়গাটা হল যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার কল্যাণ সমিতির। এখানে জমির পরিমাণ ৫০ বিঘা। এতে আমরা ৬০ শতাংশ জায়গা ফাঁকা রাখছি। সবধরনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পরও ৪০ শতাংশ জায়গা আমাদের ফাঁকা থাকবে। আমরা খোলামেলা পরিবেশের কথা বলি, অনেকেই প্রশ্ন করেন, এটা কি আবার জাপান গার্ডেন সিটি হয়ে যাবে কি না, এটা হবে কি না ওটা হবে কি না। আমরা বলছি-ওসব হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। বিকজ দিস ইজ অ্যাপ্রুভড প্রজেক্ট বাই দ্য রাজউক। রাজউক জায়গা ছাড়ার জন্য ম্যাক্সিমাম চাপ দেয় প্রকল্পের ৪০ শতাংশ। কিন্তু আমরা সেখানে ছাড়ছি ৬০ শতাংশ।
তিনি বলেন, আমরা ভার্টিক্যালি ওপরের দিকে গেছি। রাজউকের একটা প্ল্যান আছে, এতগুলো পরিবার এই এলাকার ভেতরে বসবাস করতে পারবে। আমরা যদি ১০তলা করতাম তাহলে হয়তো আমরা ৪০ শতাংশ জায়গা ছাড়তাম। ৬০ শতাংশ পার্সেন্ট ব্যবহার করতাম। আমরা ওপরের দিকে যাওয়ার কারণে নিচের বেশি জায়গা ছাড়তে পারছি। আমাদের সবগুলো বিল্ডিং হবে ১৫তলা করে। এ কারণেই আমরা নিচের জায়গাটা বেশি ছাড়তে পারছি। ওপেন স্পেস, ওয়ানগ্রাউন্ড সুইমিংপুল, উই ক্যান গিভ পে-গ্রাউন্ড ফর চিলড্রেন। আমরা দিচ্ছি বাস্কেটবল কোর্ট, ভলিবল কোর্ট, টেনিস কোর্ট, সব ধরনের ফ্যাসিলিটিস। কারণ আমাদের ৫০ একর জায়গার প্রায় ৩০ একর খালি।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে না পাইতে পাইতে ভালো কিছু পাওয়ার আশা করতেও আমরা ভয় পাই। কিন্তু এই প্রজেক্ট হবে সব থেকে আলাদা। এটা হবে ওয়ান অব দ্য ফাইনেস্ট রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং সলিউশন ইন বাংলাদেশ। এই প্রজেক্টের উদাহরণ এটাই হবে। আগে বাংলাদেশে এ রকম কোনো প্রজেক্ট হয়নি। শুধু বাংলাদেশের কথা বলব না, হাউজিং কমফোর্ট যা মানুষ ওয়াশিংটনে পান, সিঙ্গাপুরে পান, দুবাইতে পান; বসবাসের জন্য সেই সব অবশ্যই এখানে পাবেন। আমাদের কোয়ালিটি, সিকিউরিটি, পরিচ্ছন্নতা, ইকুপমেন্ট উই আর ইউজিং দ্য প্রজেক্ট, সব কিছু হবে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে। ইট ইজ ইন মিরপুর, আমরা বলি যে, আমাদের মিরপুর প্রজেক্টে বসবাস করে মানুষ টেস্ট পাবে সিঙ্গাপুরের। আওয়ার প্রজেক্ট মে বি সিচুয়েটেড ইন মিরপুর বাট ইউ উইল টেস্ট অব সিঙ্গাপুর ইন হিয়ার।
বিদেশী কোম্পানির সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগের কারণ সম্পর্কে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, আমি দীর্ঘ দিন দুবাইয়ে, মধ্যপ্রাচ্যে ছিলাম। আপনারা জানেন, দুবাইয়ে হাব অব কনস্ট্রাকশন। বিল্ডিং করার জন্য সারা পৃথিবীতে টোটাল টাওয়ার ক্রেণ যেটা ব্যবহার করা হয় তার ২৫ শতাংশ টাওয়ার ক্রেন ওয়াজ এনগেজড ইন দুবাই অনলি। দুবাইয়ে এত কনস্ট্রাকশন হয়েছে, আই ওয়াজ অলসো ইনভলব বিজনেস ইন দুবাই। আই হ্যাড এ রিয়েল এস্টেট কোম্পানি। ওখানে আমি বাইং অ্যান্ড সেলিং করতাম। তখন আমার মনে হলো আমরা ওই ধরনের কোম্পানিকে বাংলাদেশে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি না কেন? এছাড়া আপনারা জানেন, আর এ কে সিরামিকস, ওটাও ইউইএ-বাংলাদেশ জয়েন্ট ভেঞ্চার। ওটাও ২০০০ সালের দিকে বাংলাদেশে এনেছিলাম। আরএকে সিরামিকস ইজ দ্য লার্জেস্ট সিরামিকস কোম্পানি ইন দ্য ওয়ার্ল্ড। নাম্বার ওয়ান কোয়ালিটি, কোয়ানটিটি। সব দিক থেকে।
আরএকে সিরামিকস যখন বাংলাদেশে এনেছিলাম তখন আমার মানসিক যে চাহিদাটা ছিল, তা হলোÑ বাংলাদেশে নতুন একটা ব্র্যান্ড পরিচয় করাব। আজকে আরএকে সিরামিকস আসার পরে অনেক সিরামিকস ফ্যাক্টরি বাংলাদেশে হয়েছে। একটা বিপ্লব কিন্তু বাংলাদেশের সিরামিকস কোম্পানিতে এসেছে। আমরা আগে হাজার হাজার কোটি টাকার সিরামিকস ইমপোর্ট করতাম। সেখানে আজ আমরা নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে আমরা এক্সপোর্ট করছি। ওটার কথা চিন্তা করেই...। দেশের বাইরে দীর্ঘদিন ছিলাম। যখন আপনি বাইরে ঘোরাফিরা করেন, সুন্দর একটা খাবার দেখেন, ভালো কিছু দেখেন কি করেন? ইউ ডু, আপনি আপনার পরিবারের জন্য তা নিতে চেষ্টা করেন। আপনার প্যারেন্ট, ওয়াইফ, চিলড্রেন তাদের জন্য নিয়ে যান। আমি দেশের বাইরে যখন ছিলাম, ভালো কিছু যখনই চোখে পড়ত দেশের জন্য নিয়ে আসার চেষ্টা করতাম। রিয়েল এস্টেটের ক্ষেত্রেও আমি তাই চেষ্টা করেছি। আমি রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে যুক্ত হই ১৯৯৫ সালের দিকে। আমার আরেকটা কোম্পানি আছে। আরএকে টাওয়ার। যারা তৈরি করেছে পল্লী প্রপার্টিজ। ওটা করার পরে আমি চিন্তা করলাম, বাংলাদেশে ট্র্যাডিশন ওয়েতে যে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপ হয়, একটা প্লট ৫ কাঠা, ১০ কাঠা, ২০ কাঠা, নিয়ে হয়তো ফিফটি ফিফটি তৈরি করল, একজনের ১০টা-২০টা। আমি চিন্তা করলাম আমাদের দেশের আল্টিমেট গোল এটা নয়। যদি আমরা সাধারণ মানুষকে হাউজিং সলিউশন দিতে চাই তবে আমাদের প্রফেশনাল ওয়েতে যেতে হবে। যারা ছোট ছোট প্লট নিয়ে করছেন আমি তাদের আনপ্রফেশনাল বলছি না। তবে এটা আমাদের ফাইনাল গোলও নয়। আমাদের গোল হচ্ছে, বাংলাদেশে একটা কিছু ইন্ট্রোডিউজ করা। যা থেকে আমি, আমার দেশের মানুষ এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী যারা আছেন তারাও যাতে ট্রেড সেট করতে পারে একটা। মানুষ যাতে এটাকে ফলো করে এগোতে পারে। যেমন, আরএকে সিরামিকসকে অনেকেই ফলো করে। ঠিক উই ওয়ান্ট টু সেট আপ সামথিং। যেটা আমাদের দেশের মানুষের জন্য একটা বড় উদাহরণ হবে। সুড বি দ্য কাইন্ড অব লিভিং সলিউশন। এই প্রজেক্টটা অনেকটা অব দ্যাট কাইন্ড।
তিনি আরও বলেন, আমরা সুন্দর সুন্দর ছবি দেখতে অভ্যস্ত। বাস্তব অর্থে আমাদের প্রজেক্টগুলো কিন্তু এই ছবির মতো হয় না। এখানে পার্থক্য হবে, এই ছবি থেকে আমার প্রজেক্ট অবশ্যই বেটার। মাই ফিনিশ প্রোডাক্ট উইল বি মাচ বেটার দ্যান দ্য পিকচার। দিস ইস দ্য ডিফারেন্স... হোয়াট হ্যাপেন আই হ্যাভ সিন ইন দুবাই। ছবি দেখে আমরা প্রপার্টি বিক্রি করতাম, কিনতাম। কিন্তু আলটিমেট ডেলিভার্ড প্রোডাক্ট ইজ মাচ বেটার দেন দ্যাট। দিস ইজ উই ওয়েন্ট এ সেট এ ট্রেন্ড ইন বাংলাদেশ। মানুষ যাতে নির্দ্বিধায় ইনভেস্ট করতে পারেন। আমাদের বহুলাংশ প্রজেক্ট যদি এ রকম হয় তাহলে মানুষ আমাদের দেশে ইনভেস্ট করতে আর ভাববে না। যেমন রিহ্যাব ফেয়ারের পর একটা খবর দেখেছিলাম, একজন কর্মকর্তা বলছেন, আপনারা বুঝেশুনে ফ্ল্যাট কিনুন। আসলে দেখার বা শোনার প্রশ্নটা যখন আসে তখনই কিন্তু তারা আতঙ্কিত হয়ে যায়, কই দেখব, কী করব।
‘বিজয় রাকিন’ সিটি সম্পর্কে একরামুজ্জামান বলেন, এই প্রজেক্টে যে কমিউনিটি ক্লাবটা হবে, এখানে যারা ডুয়েলার্স থাকবে অল অব দেম অটোমেটিক্যালি মেম্বার অব দ্যাট কমিউনিটি ক্লাব। এবং ওই কমিউনিটি ক্লাবের মধ্যে থাকবে অডিটোরিয়াম। কোনো ফাংশন যে করবে, যারা আসবে; যেমন ঢাকা ক্লাব, গুলশান ক্লাব, কিংবা উত্তরা ক্লাবÑ এসব ক্লাবের চেয়ে এটা অবশ্যই আরও ভাল ক্লাব। যেমন আমি ঢাকা ক্লাবের সদস্য। ৫ বছরেও সেখানে একবার যেতে পারি না। কারণ আমি যদি চিন্তা করি বনানী কিংবা উত্তরা থেকে আমি ঢাকা ক্লাবে যাব। আমার কাছে মনে হয় এন্ড অব দ্য ওয়ার্ল্ড। আমার অবসর সময় বলতে কিছু নেই। আমি ঘরের মধ্যে বসেই থাকি। এখানে যারা থাকবে দে ক্যান ইউজ দ্য ক্লাব। তাদের কোনো গাড়ির প্রয়োজন হবে না। নিজের ঘর থেকে বের হয়ে হেঁটেই তারা ক্লাবে যেতে পারবেন। ক্লাব মানে কী, সাবসিডাইস রেটে অর্থাৎ প্রফিট মেক খাওয়া না। যেমন বাইরে আমরা একটা জিনিস খেতে লাগে ১০ টাকা, ঢাকা ক্লাবে ওটা খেতে লাগে ৫ টাকা। কারণ, ঢাকা ক্লাব ওটা থেকে কোনো লাভ নেয় না। দ্যাট ইজ দ্য রিজন আপনার ঘরের খরচার মতোই আপনার কস্ট আসে। কারও বাসায় ১০জন গেস্ট এলো, তাকে যে আপনার বাসায় আনতেই হবে নট নেসেসারি। আপনি ওদের আপ্যায়নটা ক্লাবেই করতে পারেন। ক্লাবের মধ্যে জিম থাকবে, ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা থাকবে। জরুরি সেবাদানের জন্য ক্লিনিকও থাকবে। ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্সও থাকবে।
সিকিউরিটি সিসটেম থাকবে। সব কিছু হবে আন্তর্জাতিক মানের। আমি তো আগেই বলেছি সিংঙ্গাপুর, ফ্রাঙ্কফুর্ট, ওয়াশিংটন, মালয়েশিয়া, দুবাইয়ে যে সুবিধা পাওয়া যাবে এখানে তার সবই থাকবে। প্রকল্প শুরুর আগে এ রকম সুবিধার কথা অনেক শোনা গেলেও পরে তা ভোক্তারা পায় না Ñ এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে একরামুজ্জামান বলেন, এটা ঠিক, এই জিনিসগুলো সবাই মেইনটেইন করতে পারে না। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আমার একজন ফরেন গেস্ট ছিল। ওই গেস্টকে নিয়ে আমি গেলাম ক্যান্টনমেন্টে সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে। সঙ্গে ছিল আরও চার-পাঁচজন। প্রবেশের পরই ওরা বলছে, দিস ইজ ডিফারেন্স প্লেস ইট সিমস। হোয়াই ইটস ডিফারেন্স দেন আদার এরিয়া? আমি বললাম, দিস ইজ ক্যান্টনমেন্ট। এ কারণেই ডিসিপ্লিন আছে। তখন ওই লোক (বিদেশী) বলল, দ্যাট মিনস ইউ পিপল ইফ ওয়ান্ট ইউ ক্যান। আমার কথা হলো, ‘ইফ ইউ ওয়ান্ট, উই ক্যান; দ্যাট ইজ ওয়ান্ট, উই ওয়ান্ট টু সেট ইন হিয়ার। আমরা এখানে এমন একটা পরিবেশ ইনশা আল্লাহ তৈরি করব। এখানে কোনো কর্নার কাটিং নেই যে, এখান থেকে পয়সা বাঁচানো, ওখান থেকে পয়সা বাঁচানো যাবে। এই প্রজেক্টের পরে উই আর টেকিং আপ এনাদার প্রজেক্ট ইন কাঁচপুর। ইউ হ্যাভ ওয়ান হানড্রেট ফিফটি বিঘা এরিয়া দেয়ার। ওখানে আমরা প্রায় পাঁচ হাজার ফ্ল্যাট তৈরি করছি। ওটা অ্যাপ্রোভাল স্টেজে আছে। এখন রাজউকের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছি। ওটার নাম হবে রাকিন কাঁচপুর সিটি।
বিজয় রাকিন সিটি শুধুমাত্র উচ্চবিত্তদের কথা চিন্তা করে করা হচ্ছে কি না Ñ ইনকিলাবের এমন জিজ্ঞাসার জবাবে বিশিষ্ট এ শিল্পপতি বলেন, এখানে উচ্চবিত্ত বা মধ্যবিত্তের বিতর্কে না গিয়ে আমরা এ প্রজেক্ট যাদের উদ্দেশে করছি, তাদের আমরা দেখছি মোডারেট মিডল ক্লাস হিসেবে। এ প্রজেক্টটা একটু আপার লেভেলের। এখানে আমাদের ফ্ল্যাটের রেট সিক্স থাউজেন্ড প্লাস (প্রতি স্কয়ার ফুট)। যারা পরিশ্রম করে উপার্জন শেষে একটি ভাল পরিবেশে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনটা উপভোগ করতে চান। এছাড়া, যারা এখানে ফ্ল্যাট কিনবেন তারা যদি ব্যাংকের সহযোগীতা চান, পেতে পারেন। ফ্ল্যাটের মূল্যর মাত্র ২০ শতাংশ জমা করলেই মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ সহনীয় সুদে ক্রেতারা ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। আমাদের রাকিন সিটির ১৫৫৩ স্কয়ার ফিট ও ১৮৭২ স্কয়ার ফিটের প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই ব্র্যাক ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ব্যাংক ও ডিবিএইচের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করেছি। তিনি জানান, বিজয় রাকিন সিটির কাজ দিন-রাত বিদেশী ঠিকাদার ও আমাদের তদারকিতে চলছে। ইতোমধ্যেই ওখানে ৪০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৭ সালের শেষ নাগাদ প্রজেক্টের কাজ শেষ করেই আমরা তা গ্রাহকের কাছে হস্তান্তর করব।
মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাদের জন্য আলাদা কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা জানতে চাইলে রাকিনের এমডি বলেন, আমরা মডারেট মিডল ক্লাসের জন্য কাঁচপুর প্রজেক্ট করছি। কাঁচপুরে আমরা বিক্রি করব সাড়ে ৩ হাজার করে (প্রতি স্কয়ার ফুট)। রাকিন সিটির প্রায় অর্ধেক দাম। প্রশ্ন আসতে পারে, এত কম দামে কেন আমরা সেটা করতে পারব? কারণ ওই জমি আমরা নিজেরা কিনেছি। কিন্তু মিরপুরে আমাদের ল্যান্ডওনারকে ৫০ শতাংশ দিয়ে দিচ্ছি। আরেকটা প্রজেক্ট পল্লী প্রপার্টিজ। সেটি গাজীপুরে। ওখানেও আমরা ৯০০ ফ্ল্যাটের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। অনুমোদন নেয়া হয়েছে। উত্তরা থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে ওই জায়গায় যাওয়া যাবে। ওখান থেকে যেকোনো লোক ঢাকায় এসে অফিস করতে পারবে খুব সহজে। সেখানেও আমাদের ফ্ল্যাটের দাম হবে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে। বড় প্রজেক্ট ছাড়া এটা কোনো সময়ই করা যাবে না।
এই প্রজেক্টে ফ্ল্যাটের সাইজ সম্পর্কে তিনি জানান, কাঁচপুর প্রজেক্টে ৮০০, ১২০০ ও ১৫০০ স্কয়ার ফুটের ফ্ল্যাট পাওয়া যাবে। ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার মধ্যে কাঁচপুরের ফ্ল্যাটগুলো বিক্রি হবে।
গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে রাকিন সিটির এমডি বলেন, বিদ্যুৎ নিয়ে এখন আর আলাদাভাবে চিন্তা করার কিছু নেই। এটা পাওয়া যাবেই। কারণ বাংলাদেশ আগামী এক বছরের মধ্যে নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমেই দেশের চাহিদা মেটাতে পারবে। কোনো ঘাটতিই থাকবে না। আর গ্যাসের বিষয়টি নির্ভর করে সরকারের পরিকল্পনার ওপর। সরকার যদি মনে করে আর পাইপে গ্যাস সরবরাহ করবে না। এভরি বডি ইউজ গ্যাস সিলিন্ডার। এখন সরকারিভাবে গ্যাস সংযোগ বন্ধ। এটা নিয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। গ্যাস হবে না বলে তো আর প্রপার্টি ডেভেলপ বন্ধ থাকবে না। পৃথিবীর খুব কম দেশেই পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। সারা পৃথিবী এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করছে। উই উইল ডু দ্য সেম।
আপনাদের প্রকল্প পুঁজিবাজারে আসবে কিনা Ñ এমন জিজ্ঞাসার জবাবে একরাম বলেন, আমরা অলরেডি পাবলিক কোম্পানি। আইপিওতে আমরা যাওয়ার চিন্তা করছি। জাস্ট এই প্রজেক্ট হ্যান্ডওভার করার পরে। ২০১৭ সালে আমরা এই প্রজেক্ট হ্যান্ডওভার করব। তখন আমরা আইপিওতে যাব। আইপিওতে যাওয়ার জন্য ইউ মাস্ট শো প্রফিট। আমাদের রিয়েল এস্টেট প্রজেক্ট হ্যান্ডওভার না হওয়া পর্যন্ত আপনি এটা ব্যালান্সশিটে আনতে পারবেন না। আমরা হ্যান্ডওভার করলেই এটা আমরা দেখাতে পারি, ডিল ইজ ডান। এ জন্য আমরাও অপেক্ষা করছি। যত দ্রুত সম্ভব এই প্রজেক্ট হ্যান্ডওভার করে আমরা আইপিওতে যাব।
আমাদের দেশের আবাসন খাতে ক্রেতাদের একটি অভিযোগ হলো চুক্তির পর হস্তান্তরের আগে কোম্পানিগুলো নানা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির নামে নতুন করে টাকা চায় এবং নির্দিষ্ট সময়ের অনেক পরে ফ্যাট হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে আপনাদের ভূমিকা কি হবে?
এ বিষয়ে আমি মনে করি, উই উইল ফিনিশড দিস প্রজেক্ট উইথ জিরো কমপ্লেইন। এটি একটি কালচারের ব্যাপার। যে বিষয়টি আমি আগে ক্যান্টনমেন্ট দিয়ে বোঝালাম। আমরা যদি চাই আমরাও করতে পারি। রাকিনকে যদি জিজ্ঞেস করেন, হাউ মাচ মানি রাকিন উইল মেইক ইন দিস প্রজেক্ট? হয়তো আমরা বলব রাকিন উইল নট মেইক মাচ মানি। বাট রাকিন উইল সেট এ ট্রেন্ড। যুগ যুগ ধরে এই দেশের মানুষ অবশ্যই রাকিনকে মনে রাখবে। আমাদের সার্থকতা ওখানেই আসবে। আজ থেকে পাঁচ বছর পরে মানুষ যদি বলে আমরা রাকিনের মতো করে করব। এটিই আমাদের সার্থকতা। যেমন মনে করেন, আজ টাইলস ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ যখন টাইলস বিক্রি করে, বলে আমার টাইলস কিন্তু আরএকের চেয়ে কোনো অংশে খারাপ নয়। উই এনজয় দ্যাট রেফারেন্স। আজকে এখানে যারা কাজ করেন সবাই এটিকে স্বপ্ন মনে করে। আমি আমার এক্সিকিউটিভদের বলি তোমরা এমনভাবে কাজ করো, যাতে মানুষ বলে দেখি রাকিন থেকে একজন লোক আনতে পারি কি না। এটা আমাদের স্বপ্নের প্রজেক্ট। প্রতিটি কাজের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করি। আমাদের মোট ফ্ল্যাট ১৯৫০টি। জমির মালিকদের (মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ পরিবার) ৪৩ শতাংশ দিয়ে আমরা বিক্রি করতে পারব ১০৮০টি ফ্ল্যাট। এর মধ্যে আমাদের ৪০০ ফ্ল্যাট অলরেডি বিক্রি হয়ে গেছে। নির্দিষ্ট সময়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তর নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে একটি সংশয় থাকে। এ বিষয়ে আপনাদের উদ্যোগ কতটা-এমন জিজ্ঞাসার জবাবে রাকিন সিটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর একরামুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, আমরা শতভাগ আশাবাদী, উই উইল হানড্রেট ওভার ডিউ টাইম। আমাদের এই প্রজেক্ট অলরেডি এক-দেড় বছর পিছিয়ে গেছে। পেছানোর কারণ হলো ড্রয়িং, ডিজাইন এগুলো পেতে দেরি হচ্ছে। এটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল না। তা ছাড়া দেশের অস্থির সময়, যা গত কয়েক বছর গেছে। ওই অস্থির অবস্থা হয়তো বাংলাদেশে আর কোনো দিন আসবে না। উই আর ইন এ স্টেবল সিচুয়েশন। কয়েক দিন আগের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেখে মনে হয়েছে একটা রাজনৈতিক সুবাতাস দেশের মধ্যে আসছে। এখন শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা বলা যেতে পারে। আপনি কিন্তু এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। যা হোক নির্দিষ্ট সময়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তরের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী।
কেন নির্দিষ্ট সময়েই ক্রেতারা ফ্ল্যাট গ্রহণ করতে পারেন না ?
না পারার পেছনে মূল কারণ হচ্ছে, কিছু কিছু ডেভেলপার আছে, সাম আর কন্ট্রাকটার, সাম আর বিজনেসম্যান, বাট উই আর এ ইনস্টিটিউশন। উই আর নট অব দ্যাট কাইন্ড। কনস্ট্রাকশনের কাজ কী। কনস্ট্রাকশন বলে, ভাই দেরি হচ্ছে। দেরি হচ্ছে কেন? পয়সা নেই। যত রকমের কনস্ট্রাকশন আছে সবগুলোর দেরি হওয়ার কারণ হলো, শর্ট অব মানি। আপনি যদি সিমেন্টের পয়সা না দিতে পারেন, রডের পয়সা না দিতে পারেন, লেবারের পয়সা না দিতে পারেনÑ ইউ ক্যান নট বিল্ড। উই হ্যাব নট শর্টেজ অব মানি। আমাদের কোনো ফান্ড শর্টেজ নেই।
তিনি জানান, রাকিন সিটির কাজটা আমরা একটা ফরেন কন্ট্রাকটরকে দিয়ে দিয়েছি। আমরা শুধু সুপারভাইজ করছি, কাজটা ঠিকভাবে হচ্ছে কি না। ওই কন্ট্রাকটরের ৫০০ লোক দিন-রাত এখানে কাজ করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নাগরিক জীবনে সবচেয়ে আতঙ্কেও বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে ভূমিকম্প। ভূমিকম্প যেকোনো সময় আঘাত হেনে মানুষের সাজানো-গোছানো জীবনকে দুমড়ে-মুচড়ে দিতে পারে। আপনাদের বিশালাকার ও ব্যাপক ইনভেস্টমেন্টের বিজয় রাকিন সিটিসহ অন্যান্য প্রকল্পে কি ভূমিকম্প সহনীয় নির্মাণ কোড মানা হচ্ছে? একরামুজ্জামান বলেন, আমরা বলতে পারি আমাদের রাকিনের চেয়ে ওবামার বাড়ি হোয়াইট হাউজও সম্ভবত বেটার নয়। এক্ষেত্রে আমরা হাইয়েস্ট স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেন্সে করছি। তিনি বলেন, আমাদের এখানে (বাংলাদেশে) যখন কোনো একটি দুর্ঘটনা ঘটে বা কিছু হয়ে যায়, সবার আগে এমডিকে ধরে জেলে নিয়ে যায়। কন্সট্রাকশন খারাপ হওয়ার জন্য আমি জেলে যেতে চাই না। সেই দায়িত্ব নিয়েই আমি কাজ করছি। আমি চাই সব সময় আমার নামটা ব্র্যান্ড হয়ে থাকুক সবার কাছে। কথা আছে, শুধু টাকা দিয়ে ব্যবসা হয় না। ব্যবসার সঙ্গে সোশ্যাল কমিটমেন্ট থেকে শুরু করে, নেইম-ফেইম সবকিছু যুক্ত থাকে।
তিনি বলেন, এদেশে অনেক কোম্পানির টাকার কোনো অভাব নেই। আই অ্যাম নট রিচম্যান। বাট আই অ্যাম হাইয়েস্ট ট্যাক্স পেয়ার ইন বাংলাদেশ (ব্যক্তিগতভাবে)। মানে কি, রিচও না, হায়েস্ট ট্যাক্স কীভাবে পে করেন? এটা হলো উই আর ক্লিন পিপল। এই ক্লিন ইমেজটাকে সাম টাইম আই সেল মাইসেলফ। সেলসম্যান প্রথম কী করে। তাকে নিজেকে বিক্রি করেন। একজন সেলসম্যান যখন কাস্টমারের কাছে যাবেন, ওই সেলসম্যানের ব্যক্তিগত অ্যাপ্রোচটা প্রথম দেখেন। এখানে ভালো উপস্থাপনার কথা বলা হয়নি। দেখে যে লোকটা কী? আমাদের এখানে যখন গ্রাহকেরা আসেন, প্রথমে আমাদের গুড ইমেজটাই দেখবে। আর এটাই আমাদের একমাত্র প্রজেক্ট নয়।
গ্রাহকদের জন্য রাকিন সিটিতে কি কি সুবিধা নির্দিষ্ট থাকবে?
গ্রাহকেরা জীবনযাত্রায় বিশ্বমানের সেবা পাবেন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাবেন, জগিং করার জন্য বাইরে যাওয়ার কোনো চিন্তা করতে হবে না। একটা রাউন্ড দিলে হবে ১.৬৯ কিলোমিটার। আর ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ৩০ পার্সেন্ট পে করার পর যে কেউ লোন সুবিধা পাবেন। ব্র্যাক ব্যাংক, ডিবিএইচ ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক আমাদের প্রকল্পে ঋণ দিয়ে থাকে।
আবাসন সেক্টরে আপনার আসার পেছনে কোন কারণ বেশি ভূমিকা রেখেছে ?
বাড়ি বানানোর অভিজ্ঞতা সবার জন্যই কমন। আমার ক্ষেত্রে প্রধান ইচ্ছে কাজ করেছে বাইরের দেশের অভিজ্ঞতা থেকে। উত্তরা, গুলশান, বনানীতে একটা ফ্ল্যাট নিলাম, একটা অ্যাপার্টমেন্ট করে চলে এলাম। ওটা থেকে আমি বের হতে চেয়েছি। এটার পেছনে আমি মনে করি সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটিই মূল ভূমিকা কাজ করেছে।
আর কোন কোন খাতে আপনাদের ব্যবসা যেতে পারে?
জীবনে আমি অনেক দিকে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছি। তবে আমার মনে হয়, একসাথে একাধিক দিকে সম্পৃক্ত হওয়া ভালো নয়। যেমন আমি ফার্মাসিউটিক্যাল করেছি। টেবিল ওয়্যার সিরামিক্স করছি। পেইন্ট করেছি। কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি করেছি। আরও বেশ কিছু করেছি। এত কিছু না করে যদি একটা-দুইটা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে থাকতাম, আরও বেশি সময় ও মনোযোগ দিতাম; তাহলে আমার মনে হয় আরও বেশি ভালো করতে পারতাম। আরএকে সিরামিকসের এক্সপানশন প্লান এখন চলছে। মার্চ-এপ্রিল থেকে আমরা প্রায় দেড় লাখ স্কয়ার ফুট টাইলস ডেইলি যোগ করতে পারব। এর বাইরে ঢাকা সিলেট রোডে স্টার সিরামিক্স করেছি। ওটাও বড় একটা ইন্ডাস্ট্রি।
সর্বশেষ প্রশ্নটা হচ্ছে Ñ সরকারি বা বেসরকারি প্রতিটি আবাসিক প্রজেক্টে দেখা যায় পরিকল্পনা ও নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও পুরো আবাসিক প্রকল্প তার নিচের চেহারা ও চরিত্র হারিয়ে ফেলে। আবাসিক প্রকল্প হয়ে পড়ে রীতিমতো বাণিজ্যিক জোনে। আপনাদের রাকিন কি তার আবাসিক চরিত্র ও চেহারা ধরে রাখতে পারবে?
বিজয় রাকিনের এমডি সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে ক্রেতাদের, রাকিন সিটির বাসিন্দাদের শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে কোনো দিনই রাকিন তার আবাসিক চেহারা ও চরিত্র হারিয়ে ফেলবে না। এটা হওয়ার কোনো সুযোগই নেই। কারণ রাকিন পুরোপুরি সীমানা দ্বারা, গেট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। নিজস্ব সিকিউরিটি সিস্টেম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। তাই সেখানে কোনো বাণিজ্যক রূপ দেয়ার কোনো সুযোগই নেই। তাছাড়া বাণিজ্যর প্রয়োজনে সেখানেতো সর্বাধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে একটি আধুনিক শপিংমলই থাকছে। যেখানে চুল কাটার সেলুন থেকে শুরু করে সবই থাকবে। তাই আবাসিক এলাকাকে বাণিজ্যিক রূপ দেয়ার কোনো কারণই নেই।
আমাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় দেয়ার জন্য আপনাকে আন্তুরিক ধন্যবাদ।
একরামুজ্জামান : আপনাকে, ইনকিলাবকেও এবং ইনকিলাবের অগণিত পাঠকদেরও আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকায় সিঙ্গাপুরের আমেজে জীবন!

১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ