Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নৌ-শুমারিতে সাড়ে ৪৪ কোটি টাকার প্রকল্প

নিবন্ধনের আওতায় আসবে সকল নৌযান

প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজস্ব বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার দেশের সকল নৌযানকে নিবন্ধনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য ৪৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে নৌ-শুমারির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যা আগামী ২০১৯ সালের জুলাই মাসে শেষ হবে।
গতকাল রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
কমিটি সূত্র জানায়, ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ সারাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌযানের তথ্য সংগ্রহ করতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ‘ন্যাশনাল শিপস অ্যান্ড মোকানাইজড বোটস ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’ শীর্ষক ওই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো- নৌযানের সকল প্রকার সাধারণ ও কারিগরী তথ্য সম্বলিত ডাটাবেজ তৈরী করা, নৌযানগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় এনে রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা। একই সঙ্গে নৌ খাতকে শক্তিশালী ও আধুনিক মনিটরিং-এর ব্যবস্থায় আনা। বর্তমানে সারাদেশে ১০ হাজারেরও বেশী নৌযান চলাচল করছে বলে মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য রয়েছে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় নৌ-শুমারির কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে সেটা চলমান আছে। এছাড়া বৈঠকে বন্দরে অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে সকল স্থল বন্দরে স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র স্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, বৈঠকে অতিসম্প্রতি বেনাপোল স্থল বন্দরের গুদামে অগ্নিকান্ড নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কমিটি স্থল বন্দরগুলোতে স্বয়ংক্রিয় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র স্থাপনের সুপারিশ করেছে। এছাড়া ঝিনাইদহ স্থল বন্দর কার্যকর করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাধীন বিভিন্ন স্থল বন্দরের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন জমির পরিমান ২৬১ দশমিক ৭৩ একর। আর স্থল বন্দরের সংখ্যা ২৩টি।
জিএমডিএসএস প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিশ্চয়তা
এদিকে সমুদ্র উপকূলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ নৌ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের (ডিজি শিপিং) অধীনে দীর্ঘদিন পর ‘গ্লোবাল মেরিন ডিস্ট্রেস্ড এন্ড সেফটি সিস্টেম (জিএমডিএসএস) নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হলেও এখনো কাজ শুরু করা যায়নি। অথচ প্রায় ৩৭১ কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ আগামী ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। বর্তমানে ওই প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটিকে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, দক্ষিণ কোরিয়া ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে জিএমডিএসএস প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এই প্রকল্পের টেন্ডার বিডিং শেষ হয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র পাওয়া গেছে। দরপত্র মূল্যায়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের (বীর উত্তম) এমপির সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটি সদস্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, মো. আব্দুল হাই এমপি, এম. আব্দুল লতিফ এমপি, রণজিৎ কুমার রায় এমপি, মো. আনোয়ারুল আজীম (আনার) এমপি ও মমতাজ বেগম এমপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নৌ-শুমারিতে সাড়ে ৪৪ কোটি টাকার প্রকল্প
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ