পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গঙ্গাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : কৃষকের ক্ষেত থেকে পাইকারি বাজার, পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে সবজির দামের আকাশ পাতাল ব্যবধান। কৃষক পর্যায় থেকে প্রায় দ্বিগুণ দামে পাইকারি বাজারে সবজি বেচাকেনা হচ্ছে। পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে দাম বেড়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এ ব্যবধান প্রায় তিনগুণ। ফলে একদিকে যেমন গঙ্গাচড়া উপজেলার ভোক্তাদের মাত্রাতিরিক্ত দামে সবজি কিনতে হচ্ছে, অন্যদিকে এই চড়া দামের সামান্য অংশ পাচ্ছে উৎপাদনকারী কৃষক। পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না যুগ-যুগ ধরে এই অবস্থা চলে এক্ষেত্রে কৃষকদের ভাগ্যের কোনো উন্নতি হচ্ছে না। তবে শীত বা গ্রীষ্মকালীন আগাম সবজির ক্ষেত্রে কৃষক কিছুটা বাড়তি মূল্য পেয়ে থাকেন। তবে খুচরা পর্যায়ে এসব পণ্যের যে মূল্য শোধ করে তার ভাগের এক ভাগও পান না কৃষক।
উপজেলার চেংমারী চরাঞ্চলের কৃষকদের সাথে কথা বলে তথ্য পাওয়া গেছে। গঙ্গাচড়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক প্রামানিক এ প্রতিনিধিকে জানান, আসলে মধ্য-স্বত্বভোগী আর বার বার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও হরতালের কারণে এই খুচরা বাজারে সবজির দাম বেড়ে যায়। কারণ খুচরা বিক্রেতাদের দোকান ভাড়া থেকে শুরু করে অনেক খরচ মেটাতে হয়। কৃষক যদি সরাসরি খুচরা বাজারে পণ্য সরবরাহ করতে পারত তা হলে কিছুটা হলেও লাভ করতে পারতেন। হাত বদল কমলে কৃষক বাঁচবে। সরকারকে এ উদ্যোগ নিতে হবে। অনুসন্ধানে দেখা যায়, কৃষক ও খুচরা ভোক্তাদের মধ্যকার পণ্য মূল্য ব্যবধান দুই থেকে তিনগুণ। এ ব্যবধানের ফলভোগী মধ্যস্বত্বভোগীরা। ফলে ভোক্তারা চড়া দামে পণ্য কিনলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কৃষক উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় না। মধ্যস্বত্বভোগীদের এই বৃত্ত ভাঙ্গার জন্য বিভিন্ন সময়ে উদ্যোগ নেয়া হলেও সফল হয়নি। পণ্যমূল্য বাড়ার আরও একটি উপসর্গ হয়ে দেখা দিয়েছে অতিরিক্ত টোল আদায়।
প্রতিবছর শীতে আগাম সবজির দাম একটু বেশি থাকলেও এবার অনেক বেশি। শীতে আগাম সবজির মধ্যে বেগুন বাজারে এসেছে। কৃষক আমিনুর ইসলাম জানান, প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি করছে ২০ টাকা। গঙ্গাচড়া বাজারে ৪০ টাকা। কৃষক যে দামে বেগুন বিক্রি করছেন তা দ্বিগুণ দামে উপজেলার ভোক্তারা কিনছেন।
এছাড়াও বিক্রেতারা ওজনে কম দিচ্ছে। এদিকে খুচরা বিক্রেতারা জানান, পাইকারি বাজার থেকে কম দাম পড়লেও গাড়িভাড়াসহ অন্যান্য খরচ ও পরে সবজি নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে। তাই দাম একটু বেশি রাখতে হয় অনেক সময় সবজি পচেও যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।