পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিশ বছরেও পুরনো মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে পারেনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ। এ অবস্থায় ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নতুন করে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সবশেষ মাস্টার প্ল্যানের ৫ শতাংশও বাস্তবায়ন হয়নি। গত ২০ বছরে সিটি কর্পোরেশনসহ কোন সংস্থাই এটাকে গ্রহণও করেনি। বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই পুরনো মাস্টার প্ল্যানের মেয়ার শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে নতুন করে মাস্টার প্ল্যান তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। নতুন মাস্টার প্ল্যান প্রজেক্ট প্রোফাইল এখন গণপূর্ত মন্ত্রণালয় হয়ে, পরিকল্পনা কমিশনের বিবেচনায় রয়েছে। নগর বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, সমন্বয় ছাড়া আগের মাস্টার প্ল্যানটি তৈরি হওয়ায় অকার্যকর হয় এটি।
সিডিএ’র কর্মকর্তা বলছেন, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মহানগরী বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য নতুন মাস্টার প্ল্যান জরুরী হয়ে পড়েছে। এ কারণে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। সরকারের নিজস্ব অর্থায়ণেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চান সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম। তিনি জানান, প্রকল্পের সঙ্গে অর্থের বিষয়টি জড়িত জন্যে তারা সরকারি অর্থে তা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এছাড়া মাস্টার প্ল্যানকে গণমুখী করতে ৪১টি কমিটি গঠনের কথাও জানান তিনি। তবে প্রশ্ন উঠেছে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন নিয়ে। সর্বশেষ ১৯৯৫ সালে ইউএনডিপি’র আর্থিক সহায়তায় প্রণয়ন করা মাস্টার প্ল্যানের উল্লেখযোগ্য কোনো প্রকল্পই বাস্তবায়ন হয়নি। মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন কমিটি সদস্য প্রকৌশলী আলী আশরাফ জানান, রেল লাইনের উপর দিয়ে ওভার পাস হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। এছাড়া কিছু জায়গায় প্যারালাল রাস্তাসহ উত্তর দক্ষিণে রাস্তার প্রস্তাবনা ছিল সেগুলি একটাও করা হয়নি।
তবে সিডিএ চেয়ারম্যানের দাবি, তারা মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করলেও, ড্রেনেজ ও স্যুয়েরেজ প্রকল্প ওয়াসা’র এবং পানিবদ্ধতা নিরসনের প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের। তিনি আরো জানান, এগুলো বাদে বাকিগুলোর দায়িত্ব সিডিএর। পুরাতন মাস্টার প্ল্যানে মহানগরীতে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এর কোনটিই বাস্তবায়ন হয়নি। মাস্টার প্ল্যানে থাকা নির্দেশনা অমান্য করে যত্রতত্র ভবন তৈরি হয়েছে। সিডিএ’র অনুমোদন ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ ভবন গড়ে উঠেছে। এর ফলে মহানগরীতে তীব্র যানজট হচ্ছে। পরিকল্পিত নগরায়নের সুবিধা সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সাগর এবং নদীর তীর ঘেঁষে পাহাড় ঘেরা ৬০ বর্গমাইলের বন্দরনগরীতে ৬০ লাখ লোকের বাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।