পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে ধরনের ওয়াকিটকি ব্যবহার করে, তার মতো হুবহু সেট তৈরি করে তা অপরাধীদের কাছে বিক্রি করছে সংঘবদ্ধ চক্র। এ চক্রের সদস্যরা গত এক বছরে ১ হাজার ১৫০টি অবৈধ ওয়াকিটকি সেট বিক্রি করেছে। তবে ওই চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩১৭টি অবৈধ ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়। এছাড়াও রাজধানীর রাজারবাগ এলাকায় অবৈধ ওয়াকিটকি সেট তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১০-এর অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান।
র্যাব জানায়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের অনুমতি ছাড়াই ওয়াকিটকি বিক্রি ও ভাড়া দিচ্ছিল একটি সিন্ডিকেট। এতে সরকার তরঙ্গ ফি বাবদ বিপুল অর্থ বা রাজস্ব হারাচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গত শনিবার থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত রাজধানীর রাজারবাগ, সায়েদাবাদ, মণিপুরীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মেহেদী হাসান, সাদিক হাসান, তালিবুর রহমান, মো. ফয়সাল ও ফারুক হাসান নামের পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে অবৈধ ওয়াকিটকি ছাড়া ১১৬টি মুঠোফোন ও ৫ হাজার ২৪৪টি বিভিন্ন প্রকার সরঞ্জামও জব্দ করা হয়। যার বাজারমূল্য ৫০ লাখ টাকা। কালো রঙের ওয়াকিটকি সেট বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া আমদানি করা নিষিদ্ধ। এসব সেট শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু একটি অপরাধী চক্র বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া অবৈধভাবে অন্য পণ্যের আড়ালে বিভিন্ন রকমের সরঞ্জাম আমদানি করছে। পরবর্তীকালে এসব সরঞ্জাম দিয়ে তারা অবৈধ ওয়াকিটকি সেট তৈরি করছে।
র্যাব-১০-এর অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান বলেন, দেশের প্রচলিত আইন অমান্য করে এই চক্র অবৈধভাবে কালো রঙের ওয়াকিটকি সেট তৈরি ও বিক্রি করেছে, যা সার্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। এক প্রশ্নের তিনি বলেন, এ ধরনের অবৈধ ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার করে অপরাধী চক্র ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, প্রতারণাসহ নানান অপরাধকর্ম করছে। বিভিন্ন সময় ভুয়া র্যাব বা পুলিশ আটকের পর এ ধরনের ওয়াকিটকি সেট জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ওয়াকিটকি ব্যবহারের জন্য কোনো লাইসেন্স বা তরঙ্গ গ্রহণ করেননি। এছাড়া একই আইনের ৫৭(৩) ধারা অনুযায়ী ওয়াকিটকি আমদানি করার আগে বিটিআরসি থেকে অনাপত্তিপত্র গ্রহণের বিধান থাকলেও গ্রেফতারকৃতরা তা ভঙ্গ করে অবৈধভাবে ওয়াকিটকিগুলো আমদানি এবং বিক্রি করছিল। সিন্ডিকেটটি চট্টগ্রামের কতিপয় ব্যক্তির মাধ্যমে বিদেশ থেকে দীর্ঘ এক বছর ধরে লাইসেন্স ছাড়া ওয়াকিটকি সেট ও সরঞ্জমাদি অবৈধ পথে সংগ্রহ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, গ্রেফতারকৃতরা এ পর্যন্ত আনুমানিক ১১৫০টি ওয়াকিটকি সেট অবৈধ পন্থায় ক্রয়-বিক্রয় ও ইজারা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।