পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে ৮৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা লাভ করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা। এই সময়ে অপারেটরটির কর পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) বৃদ্ধির হার ৮৫ দশমিক ৪ শতাংশ; ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বোচ্চ ৭৪ শতাংশ ডাটা ব্যবহারকারী বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল রোববার চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জুলাই-সেপ্টেম্বর এই প্রান্তিকে রবির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৩০ লাখ, যা দেশের মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর ২৯ দশমিক ৫ শতাংশ। ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ৩ কোটি ৯২ লাখ, যা রবি’র মোট গ্রাহকের ৭৪ শতাংশ। রাজস্ব আয় ২ হাজার ৮৫ কোটি টাকা যা গত প্রান্তিকের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ মার্জিনসহ ইবিআইটিডিএ ৮৬১ দশমিক ১ কোটি টাকা। মূলধনী বিনিয়োগ ৬৫০ দশমিক ৭ কোটি টাকা। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১ হাজার ১১৯ কোটি টাকা।
রবির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২ শতাংশ ন্যূনতম টার্নওভার কর না থাকলে, এর পরিমাণ হতো ১২৮ দশমিক ২ কোটি টাকা। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় রবি’র ফোরজি গ্রাহক সংখ্যা তৃতীয় প্রান্তিকে বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। প্রায় ২ কোটি ২৪ লাখ গ্রাহক ফোরজি সেবার আওতায় এসেছে। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর) রবি’র রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৭ কোটি টাকা।
তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.১৭ টাকা যা চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ছিল ০.০৯ টাকা এবং গত বছরের একই প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ০.০৮ টাকা। তবে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসের জন্য (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর, ২০২১) ইপিএস ছিল ০.৩২ টাকা।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ৬৫০ দশমিক ৭ কোটি টাকা মূলধন বিনিয়োগ করার মাধ্যমে বছরের প্রথম নয় মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) রবি’র মোট মূলধন বিনিয়োগ ১ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
কোম্পানির আর্থিক ফলাফল সম্পর্কে রবি’র অ্যাক্টিং সিইও অ্যান্ড সিএফও, এম রিয়াজ রশীদ বলেন, এই বছরের প্রতি প্রান্তিকেই আমাদের মুনাফা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। তবে, এটা খুবই হতাশাজনক যে প্রথম নয় মাসে আমাদের কর পরবর্তী মুনাফা (পিএটি) ১৬৭ দশমিক ৪ কোটি টাকার পরিবর্তে ২৮৯ দশমিক ৩ কোটি টাকা হতে পারত, যদি ২ শতাংশ ন্যূনতম টার্নওভার কর আমাদের উপর আরোপ করা না হতো। যার ফলে আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানিতে তাদের বিনিয়োগের প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এসএমপি বিধিমালাগুলোর অকার্যকর প্রয়োগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবিলম্বে এসএমপি বিধিমালাগুলোর বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে, এই ইন্ডাস্ট্রির দ্রুত বিকাশমান প্রকৃতির কারণে এসএমপি বিধিমালাগুলোর কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। এই অবস্থায়, ভবিষ্যতে মার্কেটে চার অপারেটর কতক্ষণ টিকে থাকতে পারবে তা একটি উদ্বেগের বিষয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।