পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজের ৩০ শিক্ষার্থীর মাঝে উদ্যোক্তা মানসিকতা গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বিয়ন্ড গ্রেডের যাত্রা শুরু হয় গত জুলাই মাসে। রূপান্তরমূলক মানসিকতা, নেতৃত্ব এবং উদ্যোক্তা বিষয়ে মোট ২২টি ক্লাস সম্পন্নের সময় শিক্ষার্থীদের ১৭টি ইউএন এসডিজির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
৫ সদস্যের ৬টি দল গঠন করে প্রত্যেকে ১টি এসডিজি নির্বাচন করে এসম্পর্কিত সমস্যার সৃজনশীল সম্ভব্য সমাধান তুলে ধরেছিল। ৬টি দলের মধ্যে ২টি দল বিজয়ী ও রানার্সআপ নির্বাচিত হয়। বিজয়ী দলের ধারণা ছিল ঋতুস্রাব সম্পর্কে সামাজিক নিষেধাজ্ঞা দূর করা এবং সবার মধ্যে মাসিক স্বাস্থ্যবিধি প্রচার করা। রানার্সআপ দল যুবকদের বেকারত্ব দূর করার একটি পদ্ধতি উপস্থাপন করে। তারা ধারণা করছে যুবকদের আগ্রহের উপর ভিত্তি করে অল্প বয়স থেকে দক্ষতা শেখানোর মাধ্যমে এবং আরও ভাল যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন কোম্পানি ও যুবকদের মধ্যে একটি সহজ সম্পর্ক তৈরি করতে পারলে অনেকাংশেই বেকারত্ব দূর করা সম্ভব হবে। গত ২৭ অক্টোবর ইএমকে সেন্টারে সেলিব্রেটিং লাইফ বিয়ন্ডগ্রেডস শিরোনামে বিয়ন্ড গ্রেড-এর সমাপনী অনুষ্ঠান থেকে এসব কথা বলা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার শন ম্যাকইনটোশ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজের প্রিন্সিপাল লে. কর্নেল হাফেজ মো. জোনায়েদ আহমেদ, ইএমকে সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, আসিফ উদ্দিন আহমেদ, অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এ টু আই) এর হেড অফ সোশ্যাল ইনোভেশন ক্লাস্টার, মানিক মাহমুদ, ইউল্যাবের প্রফেসর ইমরান রহমান।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার শন ম্যাকইনটোশ বলেন, ছাত্রদের তাদের পথ বেছে নেয়ার এবং একাডেমিক এর বাইরে চিন্তা করার স্বাধীনতা দেয়া উচিত। যাতে রূপান্তরমূলক মানসিকতা, নেতৃত্ব এবং উদ্যোক্তা বৃদ্ধি পাবে ব্যপক হারে। তাছাড়া প্রতিযোগিতার এই যুগে টিকে থাকতে হলে একটি নির্দিষ্ট গোন্ডির মাঝে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না বরং নতুনত্বের সন্ধানে সর্বদাই সচেষ্ট থাকতে হবে। সবশেষে তিনি শিক্ষার্থীদের মন্তব্যগুলিকে সমর্থনের পাশাপাশি পাবলিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য এমন একটি বিপ্লবী প্রোগ্রাম তৈরি করায় বিয়ন্ড গ্রেডকে ধন্যবাদ জানান।
ইএমকে সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, আসিফ উদ্দিন আহমেদ কেন ইএমকে সেন্টার এই প্রোগ্রামটি আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিল তার কারণগুলি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন, কোভিড ১৯ আমাদেরকে ব্যবহারিক শিক্ষার গুরুত্ব বুঝিয়েছে এবং এটি শিশু ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমি খুবই গর্বিত যে ইএমকে সেন্টার বাচ্চাদের জন্য এমন একটি প্রোগ্রাম তৈরি করেছে। অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (এ টু আই) এর হেড অফ সোশ্যাল ইনোভেশন ক্লাস্টার, মানিক মাহমুদ বলেন, এ টু আই বিয়ন্ড গ্রেডকে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে যাতে তারা কার্যক্রম আরো বেগবান হয় এবং তাদের মাধ্যমে আরও বেশি মানুষ প্রভাবিত হয়ে আত্মজীবনে এসকল অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে।
প্রোগ্রাম লিড এবং ফ্যাসিলিটেটর ওয়াহিদ হোসেন বলেন, আমরা স্কুলের বাচ্চাদের আশ্চর্যজনক প্রতিভা বিকাশ উদযাপন করছি এবং এই প্রকল্পটি অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে হাজার হাজার নতুন সামাজিক পরিবর্তনকারী তৈরি করবে। ইউল্যাবের প্রফেসর ইমরান রহমান বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজ পরিদর্শন করেছি কিন্তুআমি বাচ্চাদের মাঝে লক্ষ করলাম এসডিজির মাধ্যমে বিয়ন্ডগ্রেডসের সাথে তাদের পথচলাকে ভাগ করে নিয়েছে, তা থেকে বোঝা যায় যে তাদের মধ্যে কি রূপান্তরমূলক পরিবর্তন ঘটেছে। বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ কলেজের একজন ছাত্রী, মোমো বলেন, প্রতিটি ক্লাসে প্রেজেন্টেশন দেয়ার ফলে ধীরে ধীরে আমার প্রেজেন্টেশনের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এটি আমার আত্মবিশ্বাসকেও বাড়িয়ে তুলেছে। তাই আমি এখানে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে যে বক্তৃতা দিচ্ছি তার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব বিয়ন্ডগ্রেডসের। অনুষ্ঠানের সমাপ্তিলগ্নে বিয়ন্ডগ্রেডসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফাতেমা মেহরিন কুইন বলেন, বিয়ন্ডগ্রেডসের যাত্রা এখানেই শেষ নয়, আগামী ডিসেম্বরে একটি নতুন স্কুলের নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে এর ধারা অব্যাহত থাকবে। বিয়ন্ডগ্রেডস এর বর্তমান লক্ষ্য ১০টি ভিন্ন ভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১০টি প্রগ্রামের মাধ্যমে ভবিষ্যত উদ্যোক্তা তৈরি করা করা, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে এবং ৩০০ জন শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষিত করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।