পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাসান সোহেল : অর্থনৈতিকভাবে দেশ এগিয়ে যাবে- ১৬ কোটি মানুষের এ স্বপ্ন বহু দিনের। সেই সত্তর দশকের প্রথমার্ধে কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র অপবাদ ঘুচিয়ে দেশের অর্থনীতি এখন অনেক স্বাবলম্বী। জনশক্তি ও গার্মেন্ট খাতের চোখ ধাঁধানো সাফল্যের পর ওষুধ শিল্পে সাফল্য এসেছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বাংলাদেশ এখন নি¤œ মধ্যম আয়ের দেশ। সরকারের লক্ষ্য ২০২১ সালেই দেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে যাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার যখন নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে; তখন স্বপ্ন হিসেবে এগিয়ে এসেছে মহাচীন। মহাচীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরে উন্নয়ন ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর হয়েছে। অর্থের হিসেবে যা ২৫ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া চীনের ব্যবসায়ীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের ১৫টি চুক্তি ও সমঝোতা হয়েছে। সব মিলিয়ে চীনের বিনিয়োগ হবে প্রায় ৪০ বিলিয়ন। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ হলে পাল্টে যাবে দেশের অর্থনীতির চালচিত্র। চীনের এই অর্থ বিনিয়োগ হলে দেশকে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ও এডিবি’র মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। যেমন থাকতে হয়নি পদ্মা সেতু নির্মাণে। চীনের এই বিনিয়োগে দেশ এগিয়ে যাবে সাফল্যের শীর্ষে। দেড় বছর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরে মাত্র ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ হয়েছে। সে তুলনায় চীনের বিনিয়োগ ২০ গুণ বেশি। শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরে দুই দেশের উন্নয়নের অংশিদারিত্বের প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির বাস্তবায়ন দেশের অর্থনীতিকে ঊর্ধ্বগগনে নিয়ে যাবে। দেশের অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরা এমনটাই মনে করছেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের বাংলাদেশে সফর ঘিরে শুরু থেকেই ছিল উচ্চাশা। এ সফর সে আশা পূরণ করেছে বলেই আপাতদৃষ্টিতে মনে করা হচ্ছে। সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ‘কৌশলগত’ ২৭টি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি চীনা প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি এসেছে বড় প্রকল্পে সহায়তা বাড়ানোর। জিনপিংয়ের এ সফরের ফলে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব বিনিয়োগচুক্তি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে কর্মসংস্থানসহ দু’দেশের প্রযুক্তি ও দক্ষতা বিনিময়ের সুযোগ হিসেবেও দেখছেন তারা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব বিনিয়োগে কমে আসবে বাংলাদেশ-চীনের বাণিজ্য ঘাটতিও। অর্থনীতিবিদদের মতে, চীন থেকে বিনিয়োগ আনতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশি লাভবান হবে। তাই বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ বৃদ্ধির দিকেই আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। তবে, যে সব প্রকল্পের চুক্তি হয়েছে তা যেন কোনো জটিলতায় বিলম্ব না হয় সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ তাদের। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই সফরের ফলে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ আরও বাড়বে। তাছাড়া বিশাল জনসংখ্যার দেশ চীনের বাজার অনেক বড়। এ ক্ষেত্রে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের সংখ্যা বাড়াতে পারলে চীনে রপ্তানিও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের একটি বড় প্রতিনিধিদলের সদস্যরাও বাংলাদেশে এসেছেন। তাঁরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা মনে করছেন, এর ফলে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এফটিএ কার্যকর হলে আগামী চার থেকে পাঁচ বছরে চীনে রপ্তানি আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ সময় বিনিয়োগের এ ধারা অব্যাহত রাখার কথা জানান তিনি।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, চীন বাংলাদেশকে সবচেয়ে বিনিয়োগযোগ্য দেশ হিসেবে মনে করছে। চীনা প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হিসেবে চীনা বিনিয়োগকারীদের ঢল নেমেছে। এতে অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশে আসবে। এটা বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট সাফল্য বলে মনে করেন তিনি।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিস্তারিত না জানলে তা নিয়ে মন্তব্য করা কঠিন। তবে যেসব প্রকল্প আলোচনায় ছিল এবং পত্রপত্রিকায় উঠে এসেছে, সেসব প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে অর্থায়ন কীভাবে হচ্ছে এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ‘বেস্ট ডিল’ হচ্ছে কিনা, সেটা বিবেচ্য বিষয়।
চীনা বিনিয়োগ সম্পর্কে জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ খুব কম। চীনা বিনিয়োগ এলে তা ভালো। বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে চীনা বিনিয়োগ এনে ঝুঁকি ভাগাভাগি করা গেলে তা ইতিবাচক। তিনি এ দেশের রপ্তানিমুখী শিল্পের সহযোগী শিল্প স্থাপনে চীনা বিনিয়োগের তাগিদ দিয়ে বলেন, এতে পণ্য রপ্তানিতে সময় কমবে। বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাবে।
সূত্র মতে, উপকূলীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়ন ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
এর মধ্যে ১২টি ঋণ ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং দুই দেশের সরকারের মধ্যে ১৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক ছিল বলে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান। গত শুক্রবার চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি শেষে শি জিনপিং বলেন, আমরা চীন বাংলাদেশ সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের জায়গা থেকে কৌশলগত সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছি। তিনি বলেন, পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থার সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমরা প্রস্তুত। দুই দেশের সহযোগিতার সম্পর্ককে আমরা আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে চাই, বলেন শি। তার সঙ্গে ঢাকায় এসেছে ১৩ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি, যে দলে ক্ষমতানীন কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ছাড়াও কয়েকজন মন্ত্রী রয়েছেন। এছাড়া চীনা ব্যবসায়ীদের ৮৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও ঢাকায় এসেছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের রাষ্ট্রপ্রধানের এ সফরকে সম্পর্কের ‘নতুন যুগের সূচনা’ বলেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর ঢাকা পৌঁছানোর পর এক বিবৃতিতে শি জিনপিং বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চেলের ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ বলে মনে করে। এদিকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান গত শুক্রবার রাতে জিনপিংয়ের সম্মানে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের নৈশভোজ শেষে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের ২৫ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার চুক্তি হয়েছে।
বিনিয়োগ ও উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা চুক্তির আওতায় ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পে ২১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি সাহায্যের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আট কোটি ৩০ লাখ ডলার অনুদানের জন্য অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা চুক্তি, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে ৭০ কোটি ডলারের ঋণ চুক্তি, দাশেরকান্দি পয়ঃনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রকল্পের জন্য ২৮ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি এবং ছয়টি জাহাজ সম্পর্কিত মোট চারটি ঋণচুক্তি।
জানা যায়, কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ ও দাশেরকান্দিতে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণে দুটি কাঠামো চুক্তি হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। এছাড়া চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ উদ্যোগে সহযোগিতা, মেরিটাইম কো-অপারেশন, মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল গঠনের সম্ভাব্যতা যাচাই, আইসিটিতে নতুন ফ্রেমওয়ার্ক, সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা, ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ও তথ্য আদান-প্রদান, জলবায়ু পরিবতর্নের ঝুঁকি মোকাবিলা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক হয়েছে। যদিও ঋণ চুক্তির সুনির্দিষ্ট আর্থিক পরিমাণ জানতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।
এছাড়া ২২ ঘন্টার সফরে ছয়টি প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। এগুলো হলোÑ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মাল্টিলেইন টানেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট, গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ ফোর টায়ার ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার, ফেঞ্চুগঞ্জে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড, পটুয়াখালীর পায়রায় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
সূত্র মতে, ‘ওয়ান-বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতি ধরে এগিয়ে যাওয়া চীনের সহযোগিতা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে শি জিনপিংয়ের এই ঢাকা সফর। ১৯৮৬ সালে লি শিয়ানইয়ানের পর বাংলাদেশে আসা প্রথম চীনা রাষ্ট্রপ্রধান তিনি। যদিও এর আগে ২০১০ সালে চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।
এদিকে হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের বৈঠকে ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের ১৯টি চুক্তি হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের ১৫টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এসব চুক্তি সই করে ১৫টি চীনা প্রতিষ্ঠান। জ্বালানি, বস্ত্র, চামড়া ও প্রযুক্তিসহ বেশকিছু খাতে ছিল বিলিয়ন ডলার চীনা বিনিয়োগের পুর্বাভাস। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চীনের বাণিজ্য সম্প্রসারণ কাউন্সিল সিসিপিআইটির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসছিলেন দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, চীন করিডর বাস্তবায়নের সম্ভাবনা জোরালো হলো বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা।
জ্বালানি, বস্ত্র, চামড়া, বন্দও, যোগাযোগ ও প্রযুক্তিসহ বেশকিছু খাতে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে চীনা ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বিভিন্ন খাতে নেয়া এসব প্রকল্পের আওতায় একক ও যৌথ অংশীদারিত্বে হবে শিল্প প্রতিষ্ঠান। এতে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি উৎসাহিত হবে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ। কেটে যাবে জঙ্গিবাদ প্রশ্নে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি। একই সঙ্গে এই বিশাল বিনিয়োগ অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআই উৎসাহিত করবে মনে করছেন দেশের ব্যবসায়ী নেতারা। তাই এসব বিনিয়োগ অল্প সময়ে দৃশ্যমান করতে উদারনীতি গ্রহণের পরামর্শ তাদের। অবশ্য চীনের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রযুক্তি ও মানব সম্পদ ব্যবহারের সুযোগ চেয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, দুদেশের মধ্যে উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এফটিএ কার্যকর হলে আগামী চার থেকে পাঁচ বছরে চীনে রপ্তানি আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এ সময় বিনিয়োগের এ ধারা অব্যাহত রাখার কথা জানান তিনি। ব্যবসায়ী নেতারা জানিয়েছেন শিগগিরই দৃশ্যমান হবে এসব বিনিয়োগ। এই চুক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ জানিয়েছেন।
এদিকে চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফর শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই লাভবান করেনি। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করেছে। আরও স্পষ্ট হয়েছে বাংলাদেশে নিরাপত্তার কোনো হুমকি নেই। রাজনীতিকদের মতে শুধু অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিকভাবেও লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। এদিকে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে চীনের প্রেসিডেন্টের সফর ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাজনীতিকদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।