Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের বন্ধুত্বের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক অর্জন

ঢাকা ছাড়লেন শি জিনপিং

প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৫ এএম, ১৬ অক্টোবর, ২০১৬

আহমদ আতিক : বাংলাদেশের হৃদয় জয় করে দু’দিনের সফর শেষে ঢাকা থেকে গোয়া গেলেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার এই সফর বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে কৌশলগত মাত্রায় উন্নীত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়ার ঘোষণাও দিয়েছে বাংলাদেশ, যা ছিল শি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের মনোযোগের কেন্দ্র। সিল্ক রোড ইকোনোমিক বেল্ট এবং একুশ শতকের মেরিটাইম সিল্ক রোডকে সংযুক্ত করে নেয়া এই উদ্যোগের আওতায় এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলোকে একটি বাণিজ্য ও অবকাঠামো নেটওয়ার্কে সম্পৃক্ত করতে চাইছে চীন, যার মধ্য দিয়ে কার্যত প্রাচীন সিল্ক রোড রুটকে পুনরায় ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা। অন্যদিকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তবে চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ককে নিতান্তই বাণিজ্যিক এবং কৌশলগত বলা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকেও। এ নিয়ে ভারতের দুশ্চিন্তারও কোন কারণ নেই বলে বলা হচ্ছে।
গতকাল সকালে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুলের তোড়া দিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান। প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল চীনা প্রেসিডেন্টকে সামরিক কায়দায় বিদায়ী অভিবাদন জানায়। এরপর লাল লালিচার উপর দিয়ে চীনা প্রেসিডেন্টকে উড়োজাহাজ পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে বিদায় জানান শেখ হাসিনা। গতকাল সকাল ১০টা ২০ মিনিটে চীনের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ওড়ার আগে বিমান বাহিনীর চারটি বিমান বিমানবন্দর থেকে ওড়ে। এগুলো বাংলাদেশের আকাশসীমা পর্যন্ত চীনা প্রেসিডেন্টকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়। এসময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক প্রমুখ।
এর আগে ঢাকা সফরের শেষ দিন গতকাল শনিবার সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যান সাভারে জাতীয় স্মৃতি সৌধে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান, সেনাবাহিনীর নয় পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রমুখ। এসময় বিউগলে বেজে উঠে করুণ সুর। তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে প্রেসিডেন্ট দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান চীনের প্রেসিডেন্ট। এর পর পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর শেষে স্মৃতিসৌধের আঙ্গিনায় উদয় পদ্ম ফুলের চারা রোপণ করে তিনি স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করেন।
গত শুক্রবার সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে নমপেন থেকে বিশেষ বিমানে ঢাকা আসেন চীনা প্রেসিডেন্ট। বিমানবন্দরে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেন প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ। ঐদিন বিকেলেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। বিকেলে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং রাতে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক করেন শি জিন পিং। পরে যোগ দেন রাষ্ট্রীয় ভোজসভায়।
চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক চুক্তিতে ঝুঁকি নেই বরং একে লাভজনক হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, চীন কখনও রাজনীতি ও অর্থনীতিকে গুলিয়ে ফেলে না। চীনা প্রেসিডেন্টের সফরকে দু’ দেশের জন্যই ‘লাভজনক’ মন্তব্য করে তারা বলেছেন, বড় অঙ্কের চীনা বরাদ্দের বেশিরভাগই উন্নয়ন খাতে রাখতে পারা সরকারের ‘কূটনৈতিক সাফল্য’। তবে আলোচনার তালিকায় গভীর সমুদ্রবন্দর না থাকায় হতাশাও আছে তাদের। ঘোষিত চীনা সহযোগিতার বেশিরভাগই এসেছে বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতের জন্য। একে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, কাজে লাগাতে পারলে এ থেকে অনেক প্রাপ্তির সুযোগ আছে।
চীনের সঙ্গে ‘দেয়া-নেয়া’র খেলাটা বাংলাদেশ ভালো খেলছে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনীতির টপ-লিডারদের ভালোই সামাল দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন প্রয়োজন উন্নয়ন কার্যক্রম ঠিক পথে পরিচালনা।
আস্থা এবং সমর্থনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ঢাকা সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ একমত হয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। আগামী বছরকে ঘোষণা দিয়েছেন ‘বিনিময় ও বন্ধুতা’র বছর হিসেবে। তার এই বন্ধুত্বের বার্তাকে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন কুটনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেউ কেউ একে দেখছেন ‘কূটনৈতিক অর্জন’ হিসেবে।
বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. হুমায়ুন কবির বলছেন, দুই দেশের এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের মূলে রয়েছে বিনিয়োগের সম্ভাবনা। আমি মনে করি, নতুন এই অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে আমরা আসলে বড় প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতির বিচার করতে যাচ্ছি, যেখানে দুই পক্ষ দীর্ঘমেয়াদী সুফল পাওয়ার জন্য পরস্পরের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। আর এই দীর্ঘমেয়াদী লাভের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ যেমন থাকতে পারে, সামরিক সম্পর্কের বিষয়ও সেখানে আসতে পারে বলে হুমায়ুন কবির মনে করেন।  
তবে আমি বলব, বাংলাদেশের জন্য এটা হবে নতুন মাত্রার এক সম্পর্ক, যেখানে অর্থনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টিই গুরুত্ব পাবে। হুমায়ুন কবিরের যুক্তি, চীন বড় বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত, আর বাংলাদেশেরও বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন। সুতরাং দুই পক্ষই পরস্পরের চাহিদা মেটাতে পারে। জ্বালানি ও বিনিয়োগে বাংলাদেশের সহযোগিতা প্রয়োজন। চীন সে দিক দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। আমরা পরস্পরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, চীন যদি বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন করে বা রাস্তা করে দেয় তবে সেটি ভারতও ব্যবহার করতে পারে। তাই আমি মনে করি না যে, বাংলাদেশ-চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক কারও মাথাব্যথার কারণ হবে।
পরাষ্ট্রসচিব এম শহীদুল হক জানান, চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। অন্যদিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, আমরা আমাদের সম্পর্ককে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে আরো এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছি। চুক্তি সইয়ের পর এক ব্রিফিংয়ে শহীদুল হক আরো বলেন, দুই পক্ষের আলোচনার মধ্য দিয়ে পারষ্পারিক সম্পর্কে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক এখন কৌশলগত সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। এখন দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীর হবে এবং এর ব্যাপ্তি বাড়বে। কৌশলগত সম্পর্কে উত্তীর্ণ হওয়ার ফলে বাংলাদেশ ও চীনের আর্থ-সামাজিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়াদির ব্যাপ্তি আরও বাড়বে।
এদিকে গোড়া থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতসহ বৃহৎ শক্তিগুলো চীনের প্রেসিডেন্টের এই সফরকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। বিশেষ করে ভারত এই সফরকে কিভাবে নেবে তা নিয়ে ইতিমধ্যে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। আর এর ফলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিমানবন্দরে চীনের প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানানোর পর সাংবাদিকদের বলেন, চীনের প্রেসিডেন্টের সফর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে শুধু অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কই জোরদার করবে না, আন্তঃদেশীয় যোগাযোগও বাড়াবে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক ভালো, ভারতের সঙ্গেও ভালো। সবার সঙ্গেই আমরা ভালো সম্পর্ক রাখতে চাই। চীনের সঙ্গে আমাদের শুধু ব্যবসা নয়, সংস্কৃতি, কৃষি, নিরাপত্তাসহ আরো অনেক কিছু জড়িত। এখানে চীনকে নিয়ে আতংকের কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে চীন বারবার আসে কেন? আমাদের জন্যই আমাদের কাছে আসবে, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমার মনে হয়, ভারত এটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছে। আর ভারতওতো চীনের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াচ্ছে। তিনি বলেন, এই সফরে যা হচ্ছে তা হলো, কানেটিভিটি, ব্যবসা-বাণিজ্য, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সহযোগিতামূলক চুক্তি। এখানে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো বিষয় আসছে না। তাই ভারতের আপত্তির তেমন কোনো জায়গা নেই।
অধ্যাপক ইমতিয়াজ আরো বলেন, আরেকটি বিষয় হলো, চীন বাংলাদেশকে অকাঠামো, প্রযুক্তি, বাণিজ্য, ঋণের ক্ষেত্রে যতটা সহায়তা করতে পারবে ততটা আর কেউ পারবে না। আর এতে বাংলাদেশের মানুষের অবস্থার যদি উন্নতি হয়, তাদের ভোগ এবং ক্রয় ক্ষমতা যদি বাড়ে, তাতে ভারতেরও লাভ। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের যে সম্পর্ক তাতে আস্থার জায়গা বেশ দৃঢ়। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ যেসব চুক্তি করছে তা ভারতের কাছে গোপন করবে না বাংলাদেশ।
ভারতের এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকা সফরে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই করেন। এটা এ পর্যন্ত বাংলাদেশের পাওয়া সর্বোচ্চ বিদেশি ঋণ। এ ঋণের টাকা বাংলাদেশ জ্বালানি প্ল্যান্ট, সমুদ্র বন্দর এবং রেলওয়ে নির্মাণে ব্যয় করবে।
এনডিটিভির ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনালের সাউথ এশিয়া স্ট্যাডিজের পরিচালক জাও গানচেং বলেন, ভারত ও চীন উভয় দেশই বাংলাদেশের উন্নয়ন চায়, যা অন্য কেউ চাইতো না বা চাচ্ছে না। আমি মনে করি না যে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও চীন কোনও খেলায় মেতেছে। কারণ বাংলাদেশ চীন ও ভারতের বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়েছে।
বেইজিং এর সাথে ঢাকার কৌশলগত সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) চেয়ারম্যান এবং চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফায়েজ আহমেদ বলেন, কৌশলগত শব্দটি শুনলেই অনেকে সামরিক বা নিরাপত্তার বিষয় বলে মনে করেন। কিন্তু এখানে ‘কৌশলগত’ শব্দটি আসলে অর্থনৈতিক সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হবে দুই দেশের সরকার। ফলে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপ্তি ও গভীরতা বাড়বে এবং দূরবর্তী সময়কে বিবেচনা করে দুই দেশ কর্মপন্থা ঠিক করবে। তাছাড়া বাংলাদেশ-চীনের দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক আঞ্চলিক ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।



 

Show all comments
  • Abir ১৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১১:১৯ এএম says : 0
    She is the successful PM of BD.
    Total Reply(0) Reply
  • Rasel ১৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:৫৫ পিএম says : 0
    akdom thik kotha
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীনের বন্ধুত্বের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর কূটনৈতিক অর্জন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ