পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চীন একটি নতুন স্থল সীমানা আইন পাস করেছে। রোববার ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে চীনের সংসদ সদস্যরা এই আইন অনুমোদন করেন। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বুধবার ভারত বলেছে, নতুন এই আইন দুটি দেশের দীর্ঘ-চলমান সীমান্ত বিরোধকে প্রভাবিত করতে পারে বলে। এদিকে, বুধবার নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ‘অগ্নি-৫’ এর পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত।
বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন, ভারত আশা করে যে চীন নতুন আইনের অধীনে এমন পদক্ষেপ নেয়া এড়াবে যা একতরফাভাবে ভারত-চীন সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারে। তিনি বলেন, ‘ভারত আঞ্চলিক অখন্ডতা এবং স্থল সীমানা রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব এবং স্থল সীমানাকেক্ষুণ্ন করে এমন যেকোনো কাজ প্রতিহত ও প্রয়োজনে লড়াই করবে।’ বাগচি বলেন, ভারত ও চীন আগে তাদের সীমান্ত বিরোধের ন্যায্য ও পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধানের জন্য সম্মত হয়েছিল। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আইনটি সীমানা বিরোধে উভয় পক্ষের দ্বারা আগে পৌঁছানো ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করবে না বা সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতিকে হুমকির মুখে ফেলবে না। লাদাখ ও অরুণাচলসহ কয়েকটি জায়গায় সীমান্ত নিয়ে চীন-ভারতের বিরোধ রয়েছে। কয়েক দফায় সীমান্ত সংঘাতের জড়িয়েছে দেশ দুটি। ভারতীয় এবং চীনা সেনা কমান্ডারদের মধ্যে তাদের সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য আলোচনা এই মাসের শুরুতে একটি অচলাবস্থায় শেষ হয়েছিল। দেশ দুইটি ১৭ মাসের স্থবিরতা সহজ করতে ব্যর্থ হয়েছে যা কখনও কখনও মারাত্মক সংঘর্ষের দিকে নিয়ে গেছে।
চীনের সংসদে গত শনিবার নতুন একটি স্থলসীমান্ত আইন পাস করা হয়েছে। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন এই আইনের উদ্দেশ্য স্থলসীমান্তের সুরক্ষা। এই আইন অনুযায়ী, চীনের সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা সীমান্ত এলাকায় অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি শত্রæর মোকাবিলায় স্থানীয় অসামরিক বাসিন্দাদের প্রথম ঢাল হিসেবে উপযুক্তভাবে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারবে। সেই লক্ষ্যে এসব অঞ্চলে আরও অনেক সীমান্ত শহর গড়ে তোলা যাবে। ভারত এতে আপত্তি জানিয়েছে। দেশটি মনে করছে, দুই দেশের সীমান্তের বহু অঞ্চল এখনো বিতর্কিত ও অমিমাংসিত। এই অবস্থায় নতুন আইন অনুযায়ী কিছু করলে তা সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় ব্যাঘাত ঘটাবে। সীমান্তে অবকাঠামো তৈরিসহ অন্যান্য কাজ হাতে নিলে একতরফাভাবে সীমান্ত পরিস্থিতি বদলে যাবে। শুধু তিব্বতেই চীন ইতিমধ্যে ৬০০-র বেশি সীমান্ত শহর তৈরি করেছে বলে ভারতের দাবি।
এদিকে, সীমান্ত ইস্যুতে চীনের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্বের মাঝেই পরমাণু বোমা বহণে সক্ষম নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ‘অগ্নি-৫’ এর পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। ভ‚মি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। এটির সফল পরীক্ষাকে চীনের বিরুদ্ধে ভারতের একটি কড়া বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে ওড়িশা উপক‚লের এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি একটি আইসিবিএম বা আন্তমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটিতে তিন স্তরের ইঞ্জিন রয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি পাঁচ হাজার কিলোমিটারের বেশি দূরের লক্ষ্যবস্তুতে সুনিপুণভাবে আঘাত হানতে পারে। এমনকি চীনের মূল ভূখন্ডের আঘাত হানতে সক্ষম এটি। তবে আক্রান্ত না হলে আগে ক্ষেপণাস্ত্রটির ব্যবহার করা হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে ভারত সরকার।
পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ দেশ ভারতের কাছে অগ্নি-১ থেকে ৫ সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। দেশটির ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশনের (ডিআরডিও) তৈরি করা এসব ক্ষেপণাস্ত্র ৭০০ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজারের বেশি কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে পারে। অগ্নি সিরিজের ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক পারমাণবিক শক্তিসমৃদ্ধ অগ্নি প্রাইম ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। গত জুনে ওড়িশার উপক‚লে এই ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা চালিয়েছিল ভারত। সূত্র : ডন, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।