পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গতকাল শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রবেশপথে অ্যাম্বুলেন্সের চাপায় তিনজন নিহত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনের গেটে অ্যাম্বুলেন্সের চাপায় গর্ভের সন্তান মারা যাওয়ার পর এবার চলে গেলেন মা আমেনা বেগমও। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি।
আইসিইউর চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম এ কথা জানান। আমেনার আরেক সন্তান সজীবও (৮) আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এর আগে শনিবার সকাল নয়টার দিকে ঘটা এই দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। তাঁরা হলেন গোলিনুর বেগম (২৫) ও তাঁর ছেলে সাকিব (৭); নিহত আরেক ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি, তাঁর বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। দুর্ঘটনার পর অ্যাম্বুলেন্সের চালক সোহেলকে আটক করে শাহবাগ থানায় নেয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সটিও জব্দ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যান সাকিব ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। এরপর বেলা তিনটায় সাকিবের মা গোলেনুর বেগমও মারা যান। আহত আমেনা বেগমের গর্ভের সন্তানটি মারা গেলেও তিনি আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আমেনার স্বামী জাকির হোসেন একজন ট্রাক চালক। গত ২৫ আগস্ট চট্টগ্রামে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনার পর তিনি এখন দিশেহারা। জাকির হোসেন বলেন, তার স্ত্রী আমেনা বেগম ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। হাসপাতালে স্ত্রীই তাকে দেখাশোনা করছিলেন। ছেলে ছোট হওয়ায় সেও হাসপাতালে মা-বাবার সঙ্গে থাকত। গতকাল সকালে আমেনা ছেলে সজীবকে নিয়ে তার জন্য নাশতা কিনে আনতে হাসপাতালের প্রবেশপথে গিয়েছিলেন। সে সময় তারা অ্যাম্বুলেন্সের নিচে চাপা পড়েন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহত অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা আমেনা বেগমকে প্রথমে অস্ত্রোপচার কক্ষে নেয়া হয়। সে সময় তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না। পরে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।