পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের উন্নয়নের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে চীনের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক রাখার কথা বলেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, অবকাঠামোসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে চীনের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে।
চীনের প্রেসিডেন্টের এ সফরে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যেমন চীনের সঙ্গে কাজ করছি, আবার আমরা ভারতের সঙ্গেও কাজ করছি। আমাদের সবার সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে হবে। একা আমাদের পক্ষে কোনো কিছুই সম্ভব নয়। গতকাল শনিবার হযরত শাহ জালাল (রা.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বিদায় জানানো শেষে সাংবাদিকদেরদের প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা যেমন চীনের সঙ্গে কাজ করছি, আবার আমরা ভারতের সঙ্গেও কাজ করছি। আমাদের সবার সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে হবে। একা আমাদের পক্ষে কোনো কিছুই সম্ভব নয়।
আশরাফ বলেন, চীন এখন সুপার পাওয়ার। এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত দেখছি, তারা গঠনমূলক। এখানে চীনকে নিয়ে আতংকের কোনো কারণ নেই। বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁড়ে নিঃশ্বাস ফেলা চীন নিজেদের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আঞ্চলিক উন্নয়নেও সহযোগিতা করতে চায় বলে মনে করেন তিনি।
চীনের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে গত পাঁচ-সাত বছর ধরে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। পশ্চিমা বিশ্ব বলে, কিন্তু বাস্তবায়নে খুবই কম। কিন্তু, চীন বাস্তবায়নে খুব তৎপর। কোনো সময়েই ফাঁকি দেয় না।
চীনের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরকে সফল দাবি করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, কত টাকা দিল, কত চাল দিল, কত ডাল দিল; এটা কোন বিষয় নয়, বিষয়টা হলো কানেকটিভিটি। চীন আমাদের সঙ্গে আছে। এটাই একটা পরিপূর্ণ বিষয়।
মিয়ানমারের সঙ্গে বিরাজমান সমস্যাগুলো চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে কি না- জানতে চাইলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, মিয়ানমার আর বাংলাদেশ এক না। আমরা হলাম ভারতবংশীয় অরিজিন।
বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব তুলে ধরে আশরাফ বলেন, আমাদের এই ভূখন্ড মিয়ানমারের চেয়ে অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই সাব-কন্টিনেন্টকে কেউ অবহেলা করতে পারবে না। আমাদের এখানে চীন বারবার আসে কেন? আমাদের জন্যই আমাদের কাছে আসবে।
কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে জনপ্রশাসনমন্ত্রী আশরাফ বলেন, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শিল্প-সাহিত্য-নিরাপত্তা, সব কিছু জড়িত। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য নয়। চীনের সঙ্গে আমাদের অনেক কিছু আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, আমাদের এই অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা। এটা আমাদের অগ্রাধিকার।
দীর্ঘদিন পর কমিউনিস্ট চীনের কোনো প্রেসিডেন্টের সফর বাংলাদেশের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে- এই প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, তারা এক সিস্টেমে চলে, আমরা এক সিস্টেমে চলি। আমরাও তাদের সিস্টেম নিয়ে সমালোচনা করি না। তারাও আমাদের সিস্টেম নিয়ে সমালোচনা করে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।