পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : সমাজের অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের জন্য সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকৃত কার্ডধারীদের চাল না দিয়ে খোলাবাজারে বিক্রি, ওজনে কম দেয়া, সচ্ছলদের নাম অন্তর্ভুক্তি, ডিলার নিয়োগে অনিয়মসহ নানা অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
গরীবের চালে ধনীদের ভাগ, নির্বিকার প্রশাসন
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : চরম দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে জেলার ৬৭টি ইউনিয়নে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের দুস্থ সাজিয়ে হাজার হাজার ভুয়া কার্ড দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে খোদ সরকারী দলের মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। ইউপি মেম্বরদের বাদ দিয়ে দলীয় চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তালিকা করায় ১০ টাকা কেজির চাল যাদের পাওয়ার কথা সেই হতদরিদ্রদের ভাগ্যে জোটেনি। প্রশাসনিক ভাবে কোন যাচাই বাছাই ছাড়াই কার্ড অনুমোদন দিয়েছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ হাসান মিয়া। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন এমন হাজারো পাহাড়ের মধ্যে নির্বিকার। কোন পদক্ষেপ নেই। ফলে পরিবেশ আরো জটিল হয়ে উঠছে। ১০ টাকা কেজির কার্ড নিয়ে গ্রামে গ্রামে হাসাহাসি ও সমালোচনার খোরাক যোগাচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলায় ৪৩ হাজার ৬৭৯টি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচে বেশি হতদরিদ্র দেখানো হয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়। সদরে কার্ড বরাদ্দ হয়েছে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ১৯৭ জনের। এ ছাড়া হরিণাকুন্ডুতে ৪ হাজার ৬২৯টি, কোটচাঁদপুরে ২ হাজার ৪৩১টি, মহেশপুরে ৬ হাজার ৫২৫টি, কালীগঞ্জে ৫ হাজার ৭৫৮টি ও শৈলকুপায় ৮ হাজার ৩৯ জনকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজির চাল বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন ও ধনীদের পকেটে উঠছে। এ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধিদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, চাকর-বাকর, চেয়ারম্যানের বডিগার্ড, প্রভাবশালী মাতুব্বর, সচ্ছল কর্মক্ষম ব্যক্তি। এমনকি তালিকায় আছে সরকারি বেসরকারী চাকুরেরা। আবার তালিকায় অনেক নাম আছে যাদের বাস্তবে অস্তিত্ব নেই। সেসব নামের বিপরীতে চাল তুলে তা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। অনেক অসচ্ছল ব্যক্তি ১০ টাকা কেজি চালের একটি কার্ড পাওয়ার আশায় দিনের পর দিন ঘুরে বেড়িয়েছেন এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যানদের দ্বারে দ্বারে, কিন্তু পাননি। সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের ইমদাদুল ইসলামের ছেলে নাসির অভিযোগ করেন, তার মা ৩/৪ বছর ধরে প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় শুয়ে আছেন। নিজের জমি জায়গা নেই। অথচ তাকে কার্ড না দিয়ে দলীয় ভাবে চাল দেওয়া হচ্ছে। গান্না ইউনিয়নের কাশিমপুর গ্রামের খালেক মাস্টারের ছেলে আঃ আলিম, রাজা জোয়ার্দারের ছেলে বাদশা, ভাদু সর্দারের ছেলে আলম ডাক্তার ও সাদুল্যর ছেলে মোস্তফা কার্ড পেলেও পায়নি ভিক্ষুক সোবাহান মোল্লা, অচল প্রতিবন্ধী আব্দুর রশিদ ও দিন মজুর তাজুর মত লোকজন। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সিরাজ মালিথা অভিযোগ করেন, এক সময় ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড এই ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবির কারণ হবে। তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াত পরিবারকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে চেয়ারম্যান নাসির মালিথা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তালিকা যাচাই বাছাই করে সচ্ছল পরিবার বাদ দেওয়া হচ্ছে। অসচ্ছল ব্যক্তি যেই হোক দল বেদল বুঝি না, সবাই কার্ড পাবে।
তানোরে চাল কালোবাজারে বিক্রি
তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রাজশাহীর তানোরে ‘ফেয়ার প্রাইস’ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়ন, বিতরণ ও ডিলার নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এদিকে রাজনৈতিক বিবেচনা ও আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে সমাজের হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে বিত্তশীলদের নামে তালিকা প্রণয়ন করায় তারা ডিলারের কাছ থেকে এসব চাল উত্তোলন করে সেখানেই মজুদদারদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে একদিকে হতদরিদ্রদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সরেজমিন গতকাল ১৫ অক্টোবর শনিবার দুপুরে কামারগা ইউপির মাদারীপুর বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ডিলার রেজাউল ইসলামের কাছ থেকে কার্ডধারীরা চাল উত্তোলন করে সেখানেই ডিলারের মনোনীত ব্যক্তির কাছে প্রতি কেজি ২৫ টাকা দরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। অথচ এসব চালের বাজার দর প্রতি কেজি ৩৬ টাকা। এদিকে চাল বিক্রির সময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলেই চাল রেখেই ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই ভোঁ-দৌড় দিয়ে পালিয়েছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত হতদরিদ্ররা সাংবাদিকদের ঘিরে ধরে ডিলারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন। তারা বলেন, যারা চাল বিক্রি করছে তাদের নামে কি উদেশ্যে কার্ড দেয়া হয়েছে সেটা তাদের কাছে বোধগম্য নয়। জনৈক নজরুল ইসলাম (৫৫) ও মজিবর রহমান (৫১) অভিযোগ করে বলেন, ডিলার রেজাউল ইসলাম তার মনোনীত ব্যক্তিদের দিয়ে এসব চাল কিনে তিনি আবার বেশি মূল্যে খোলাবাজারে বিক্রি করছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে ডিলার রেজাউল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্ব^ীকার করে বলেন, কার্ডধারীরা চাল উত্তোলনের পরে বিক্রি করে দিলে সেই দায় তার নয়।
নলছিটিতে দু’জনের ডিলারশীপ বাতিল
নলছিটি (ঝালকাঠি) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠির নলছিটিতে হতদরিদ্রদের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে দুইজনের ডিলারশীপ বাতিল করা হয়েছে। এরা হল নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের ডিলার মো. রেজাউল করিম, সুবিদপুর ইউনিয়নের তালতলা বাজারের ডিলার সাইদুল ইসলাম। ওই ডিলারদের জামানত বাজেয়াপ্ত করে সরকারের কোষাগারে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার দপদপিয়া ও সুবিদপুর ইউনিয়নে চাল বিক্রির কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে অনিয়ম দেখতে পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. কামরুল হুদা এ নির্দেশ দেন। খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. মেজবাহ উদ্দিন রুবেল নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে ডিলারদের চিঠি দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, হতদরিদ্রদের চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ শুনে দুইটি এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় দপদপিয়া ইউনিয়নের ডিলার মো. রেজাউল করিম তার ভায়রা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মহসিন হাওলাদারের বাড়িতে বসে চাল বিক্রি করতে দেখা যায়। তিনি জনপ্রতি ৩০ কেজির স্থলে ২৫ থেকে ২৭ কেজি করে চাল দিচ্ছেন হতদরিদ্রদের। কখনো আবার নিজের স্বজন ও পছন্দের লোকদের ওজনে বেশি ৩২ কেজিও চাল দিতে দেখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ওজনে কম দেয়ার একই অবস্থা দেখতে পান উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়নের তালতলা বাজারের ডিলার সাইদুল ইসলামকে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক এই দুইজনের ডিলারশীপ বাতিল করে জামানত বাজেয়াপ্ত করে সরকারের কোষাগারে জমা রাখার নির্দেশ দেন।
চরফ্যাশনে তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম
চরফ্যাশন উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ১০ টাকা মূল্যে চাউল বিতরণের তালিকা প্রণয়নে চরফ্যাশনে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তালিকায় মৃত ব্যক্তি, সরকারি স্কুলের শিক্ষক, ইউপির সদস্য, ডিলার, নিকাহ রেজিষ্ট্রার (কাজী) শ্রমিকলীগের সভাপতি ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদেরকেও নামের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে। এই ব্যাপারে নীলকমল ইউপির সদস্য শাহাবুদ্দিনসহ ১০জন একত্রিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ ও অনুমোদিত তালিকা সূত্রে জানা গেছে, নীলকমল ৩নং ওয়ার্ডের সিরিয়াল নং ৪২২ আছমত আলী, ৩৭৯ নং আবুল কাশেম মৃত হয়েও নামের তালিকাভুক্তি হয়েছে। ৫নং ওয়ার্ডের ইউপির সদস্য নুরমোহাম্মদ সিরিয়াল নং ২৬২ তার স্ত্রী সিরিয়াল নং ২৫৪ সাহিদা বেগম। ২নং ওয়ার্ডের ইউনাইটেড কলেজের শিক্ষক মাকসুদুর রহমান সিরিয়াল নং ২৭৬, মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ৩নং ওয়ার্ডের সিরিয়াল নং ২৩১ হুমায়ুন কবির, হামেলা খাতুন মহিলা মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ও নিকাহ রেজিষ্ট্রার আলহাজ্জ আবু ইকবাল ইলিয়াছ কাজী, তার স্ত্রী একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকা হয়েও হতদরিদ্রদের ১০ টাকা মূল্যের চাউলের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হয়েছেন। নীলকমল শ্রমিকলীগের সভাপতি ৩৩৩ সিরিয়ালে রফিক মিকার, জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম নেই ঢাকায় থাকেন ৪নং ওয়ার্ডের আবুল কালাম, চরকুকরী-মুকরীর মৎস্য আড়ৎদার ৫নং ওয়ার্ডের ২০৯ সিরিয়ালের শাহে আলমসহ তার ছেলেসহ পরিবারের ৩জনই কার্ড পেয়েছে। এ ছাড়াও যিনি চাউল বিতরণ করবেন সামছুদ্দিন ডিলার ও তার ভাই শাহবুদ্দিন ৯নং ওয়ার্ড নামের তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হয়েছে। ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপির সদস্য সিরিয়াল নং ১২৫ আবদুল বারেক মুসল্লির পরিবারের ৬জনের তালিকায় নাম রয়েছে। তারা হলেন, ভাই সিরিয়াল নং ১২৭ জয়নাল আবেদীন, ১২৮ ছেলে ফারুক, ১২৯ ভাতিজা রফিক, ১২৪ কমলা বিবি, ১৩৩ ছেলে নাসিম।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, এই নামের তালিকাগুলো চেয়ারম্যানকে ঠিক করে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হবে।
ঈশ^রগঞ্জে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ
ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের ঈশ^রগঞ্জে ১০ টাকার চাল বিক্রিতে বিস্তর অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার ও শুক্রবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে চোখে পড়ে অনিয়মের চিত্র। কোনো কোনো এলাকায় গিয়ে ডিলার পাওয়া যায়নি, অধিকাংশ স্থানেই নেই তদারকি কর্মকর্তা, আবার কোথাও স্থান পরিবর্তন করে লুকোচুরি করে চলছে চাল বেচাকেনা।
গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, কাগজপত্রে মরিচারচর এলাকায় শফিকুল ইসলামের দোকানটি থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ১৫ কিলোমিটার দূরে উচাখিলা বাজারে। উপস্থিত ছিলেন না তদারক কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার)। রাজীবপুর ইউনিয়নের শাহগঞ্জ বাজারে গিয়ে ডিলার আবদুল মালেকের দোকান বন্ধ পাওয়া যায়। একই ইউনিয়নের চরপাড়া বাজারে গিয়ে বোরহান উদ্দিনের দোকান খোলা পাওয়া গেলেও তদারক কর্মকর্তা ছিলেন না। পাশেই মো. অলি উল্লাহ চঞ্চলের দোকানটি বন্ধ পাওয়া যায়। ডিলার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া অলি উল্লাহ চঞ্চল রাজীবপুর আফতাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষক। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হতদরিদ্রের ডিলার হতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ইউএনও রাজীব কুমার সরকার। বড়হিত ইউনিয়নের কাঁঠাল বাজারে গিয়ে ডিলার জাহিদুল ইসলামের দোকান খোলা পাওয়া গেলেও ছিলেন না তদারক কর্মকর্তা। গতকাল শনিবার উপজেলার সোহাগী ইউনিয়নে সোহাগী বাজারে ডিলার আবদুল মোতালেবের দোকানে কোনো প্রকার তালিকা ছাড়ায় চাল বিক্রি করতে দেখা যায়। কার্ডধারীদের আধাকেজি করে চাল ওজনে কম দেন তিনি। এর কারণ হিসেবে খাদ্য গুদাম থেকে কম দেওয়া ও সিস্টেম লসকে দায়ি করেন ডিলার। সোহাগী বাজারে দোকান কাগজপত্রে থাকলেও নিজ বাড়ি থেকে চাল বিক্রি করছেন মাহবুব হাসান রানা নামের এক ডিলার, তখন সাংবাদিকরা বাড়িতে চাল বিক্রির কথা বললে সে বলে এতটুকু না করতে পারলে দল করে কি লাভ। আঠারবাড়ী ইউনিয়নের আঠারবাড়ী বাজারে ডিলার মোস্তাফিজুর রহমানের দোকানে কাগজপত্রের চেয়ে ৩শ’ কেজি চাল কম পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আলাউদ্দিন বলেন, কিছু কিছু জায়গায় অনিয়ম হয়েছে বলে শুনেছি এজন্য ডিলার ও তদারক কর্মকর্তাদের নিয়ে রোববার আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। আলোচনা সভায় সবাইকে সতর্ক করে দেওয়া হবে। তার পর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, কোনো কোনো বস্তায় সর্বোচ্চ আধাকেজি চাল কম হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।