Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শূন্যপদে নিয়োগে নতুন নির্দেশনা

সরকারের বিভিন্ন অফিস ও মন্ত্রণালয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

সরকারের বিভিন্ন অফিস ও মন্ত্রণালয়ে ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮৬টি সরকারি পদশূন্য। এর মধ্যে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শূন্য রয়েছে- ৩ হাজার ৮৫৪টি পদ। সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্যপদ পূরণের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত পরিপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোতে পাঠানো হয়েছে। পরিপত্র অনুযায়ী, শূন্যপদ পূরণের ক্ষেত্রে অহেতুক বিলম্ব ও সময়ক্ষেপণ ও বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক জটিলতা এড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ইনকিলাবকে বলেন, সরকারি চাকরির শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্রের বিধান থাকায় জটিলতা তৈরি হয়। এই জটিলতা এড়াতে নতুন নির্দেশনায় নিয়োগ সহজীকরণ করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও এর অধীনস্থ দপ্তর/পরিদপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থা/ স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার/ কর্পোরেশনগুলো বিদ্যমান রাজস্ব খাতভুক্ত সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্যপদ পূরণের পূর্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র গ্রহণের বিধান প্রচলিত ছিল। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বরের পরিপত্রে রাজস্ব খাতের শূন্যপদ পূরণ দ্রুততর করার লক্ষ্যে কিছু শর্তসাপেক্ষে শূন্যপদ পূরণের জন্য ছাড়পত্র প্রদানের দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে স্ব স্ব প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্য পদের ১০ শতাংশ পদ সংরক্ষণ করতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৫ সালের ২৮ মে’র পরিপত্র অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছয় মাসের মধ্যে সংরক্ষিত শূন্যপদে উদ্ধৃত্ত কর্মচারীকে আন্তীকরণের মাধ্যমে নিয়োগ প্রদান না করে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে উক্ত শূন্যপদে জনবল নিয়োগ করতে পারবে। তবে সংরক্ষিত শূন্যপদ পূরণের পূর্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে। পরিপত্রে বলা হয়, ছাড়পত্র প্রদানের পর শূন্যপদ পূরণে অহেতুক বিলম্ব ঘটে ও অহেতুক সময়ক্ষেপণে বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হয়। প্রশাসনিক জটিলতা এড়ানোর জন্য এবং প্রশাসনকে গতিশীলকরণের স্বার্থে রাজস্ব খাতভুক্ত সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্য পদগুলো পূরণার্থে ছাড়পত্র আদেশ সংগ্রহের পর যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে আবশ্যিকভাবে শূন্য পদসমূহ পূরণ করতে হবে। সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ের মাধ্যমে পূরণীয় পদসমূহের ক্ষেত্রে ছাড়পত্রের বৈধতার মেয়াদ সর্বোচ্চ দুই বছর হবে। তবে সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয় যদি কোনো কারণে সুবিধাজনক সময়সীমার মধ্যে সুপারিশ পাঠাতে অসমর্থ হয়, তবে সুপারিশ পাঠানোর পর থেকে এক বছরের মধ্যে পদসমূহ পূরণ করতে হবে।

মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও অধীনস্থ দপ্তর/পরিদপ্তর/অধিদপ্তর/বিভাগ/জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং কর্পোরেশনের মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্রের বৈধতার মেয়াদ সর্বোচ্চ এক বছর। ছাড়পত্রের বৈধতার মেয়াদের মধ্যে নিয়োগ প্রদানের সকল প্রকার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে চূড়ান্ত নিয়োগ প্রদান করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শূন্যপদ পূরণে অসমর্থ হলে নতুন করে ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হবে। তবে এক্ষেত্রে সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের সুপারিশ পুনরায় গ্রহণের প্রয়োজন হবে না। মন্ত্রণালয়/ বিভাগ ও অধীন দফতর/ অধিদফতর/ পরিদফতর/ সংস্থা/ স্বায়ত্তশাসিত/ আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা এবং কর্পোরেশনের রাজস্ব খাতের সরাসরি নিয়োগযোগ্য শূন্যপদে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে ছাড়পত্র প্রদানের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পদ পূরণে অসমর্থ হলে এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকলে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলমান নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ছাড়পত্র প্রদানকারী প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ ছাড়পত্রের মেয়াদ ছয় মাসের পরিবর্তে এক বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে পারবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ