Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সার্বজনীন আদর্শ ও চারিত্রিক গুণাবলি

মুফতী হাবীবুল্লাহ মিছবাহ | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

(পূর্বে প্রকাশিতের পর) তিনি তাকে দুই পাল গাছলের মধ্য থেকে এক পাল দিয়ে দিলেন। সে লোক নিজ গোত্রে এসে বলল, হে গোত্রের লোকেরা! তোমরা মুসলমান হয়ে যাও। কেননা, মুহাম্মদ এমন ব্যক্তির ন্যায় দান করে, যে দারিদ্র্যের ভয় করে না।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪২৭৫)
রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বদান্যতার ব্যাপারে হযরত আব্বাস (রা.) এর উক্তিই যথেষ্ট। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মাঝে অধিকতর দানশীল। তিনি রামাজান মাসে অধিক দান করতেন যখন জিবরাইল তাঁর নিকট ওহী নিয়ে আসতেন, তাঁকে কুরআন শিক্ষা দিতেন। নি:সন্দেহে রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুক্ত বায়ুর চেয়েও অধিক দানশীল ছিলেন।” (সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৯০) বদান্যতা ও দানশীলতা একটি মহৎ গুণ। এর পুঙখানুপুঙ্খ প্রতিফলন মহানবী (সা.)-এর মাঝে ঘটেছিলো।
প্রিয়নবী (সা.) নিতান্তই দারিদ্র ও অসহায়ের ন্যায় দিনাতিপাত করতেন। তথাপি পৃথিবীর কোন রাজা-বাদশাহের দান-দক্ষিণা তাঁর ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি। এর প্রকৃষ্ট প্রমাণ মিলে জামি তিরমিযী শরীফের হাদীসে।
নবীজী (সা.)-এর কাছে একবার নব্বই হাজার দিরহাম আসলে তিনি একটি মাদুরের উপর বসে সেই সমূদয় দিরহাম বণ্টন করে দিলেন। বণ্টন শেষ হওয়ার পরক্ষণেই এক ভিখারী এসে হাজির হলো। নবী কারীম (সা.) বললেন, আমার কাছে এখন কিছুই নেই। তাই আমার নাম বলে কারো কাছ থেকে কিছু নিয়ে যাও। পরে আমি তা পরিশোধ করে দিবো। (খাসায়েলে নববী সা.)
(৩). ধৈর্য, সহনশীলতা যে ক্রোধ-সংবরণে রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন অনুপম আদর্শ। শত্রুদের শত নির্যাতন সত্ত্বেও কখনো তাঁর পক্ষ হতে মন্দ কথা ও মন্দ কর্ম প্রকাশ পায়নি। তাদের থেকে কষ্ট-অবিচারের শিকার হলেও কখনো প্রতিশোধ নেননি। কখনো কোন সেবক বা কোন স্ত্রীকে প্রহার করেননি।
আশিয়া (রা.) বলেন, “রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর নিষিদ্ধ সীমারেখা লঙ্গন না হলে কখনো নিজের প্রতি জুলুম-নির্যাতনের কোন প্রতিশোধ নিতে আমি দেখেনি। আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা ব্যতীত তিনি কখনো কাউকে স্বীয় হস্ত দ্বারা প্রহার করেননি। এবং তিনি কখনো কোন সেবক বা স্ত্রীকে প্রহার করেননি।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪২৯৬)
রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহনশীলতা সম্পর্কে কয়েকটি ঘটনা নিম্নে উল্লেখ করা হলÑ
* উহুদ যুদ্ধে রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখমন্ডল আঘাতপ্রাপ্ত হল। কয়েকটি দাঁত ভেঙে গেল। মাথায় পরিধেয় শিরস্ত্রান খণ্ড-বিখণ্ড হল। তারপরেও তিনি কুরাইশদের বিরুদ্ধে বদ-দু’আ করেননি। বরং তিনি বলেছেন : “হে আল্লাহ! আমার জাতিকে ক্ষমা করুন, কেননা তারা জানে না।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ৩২১৮)
* জনৈক বেদুইন রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চাদর শক্তভাবে টান দিলে তাঁর গলায় দাগ হয়ে গেল। এরপর বেদুইন বললো : “আল্লাহর যেসব মাল তোমার কাছে আছে আমার এই দুই উটের উপর আমার জন্য তো তুলে দাও। কেননা, তুমি আমার জন্য তোমার সম্পদ ও তোমার পিতা-মাতার সম্পদ তুলে দেবে না।”
রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে আচরণে সহনশীলতার পরিচয় দিলেন, তিনি শুধু বললেন : “মাল হচ্ছে আল্লাহর, আমি তাঁর বান্দা। হে বেদুইন! তোমার কাছ থেকে আমার সাথে কৃত অনাচারের কিসাস নেয়া হবে।” বেদুইন বলল : না। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : কেন? বেদুইন বলল : কেননা, তুমি তো খারাপের প্রতিশোধ খারাপ দিয়ে নাও না।’ একথা শুনে রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসলেন এবং এক উটের উপর গম এবং অন্য উটের উপর খেজুর বহন করে দেয়ার আদেশ প্রদান করলেন। (সুনানে আবু দাউদ, হা. ইং ৪১৪৫) মহানবী (সা.)-এর ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার আধিক্য এমন ছিলো যে, সমস্ত সাহাবায়ে কিরামের ধৈর্যও একত্রে তার সমকক্ষ হবে না।
এর নমুনা আবু হুরাইরা (রা.)-এর এক বর্ণনায় পাওয়া যায়। তিনি বলেন, এক মুর্খ বেদুঈন মসজিদে পেশাব করে দিলো। সাহাবীগণ তার এ কাণ্ড দেখে রাগে তেড়ে এলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তখন তাঁদেরকে থামিয়ে বললেন, তাকে তোমরা যা করছে করতে দাও। এরপর যেখানে সে পেশাব করেছে, তাতে পানি ঢেলে দাও। স্মরণ রেখো, তোমাদের আসানকারী হিসেবে পাঠানো হয়েছে। দুর্ষিসহ বিড়ম্বনা সৃষ্টিকারী হিসেবে নয়।
(এরপর তার পেশাব শেষ হলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে ডেকে বুঝালেন।) (সহীহ বুখারী, কিতাবুল উজু)
(৪) ক্ষমা প্রদর্শন :
প্রতিশোধ নেয়ার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সীমা-লঙ্গণকারীকে মার্জনা করা একটি উদার ও মহৎ গুণ। রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিম্নোক্ত আল্লাহর আদেশ মান্য করত: এ গুণে সর্বাপেক্ষা অধিক গুণান্বিত ছিলেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন : “আপনি ক্ষমাপরায়ণতা অবলম্বন করুন, সৎ কর্মের আদেশ দিন এবং অজ্ঞদেরকে এড়িয়ে চলুন। (সুরাহ আ’রাফ : ১৯৯) রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্র্তৃক ক্ষমা প্রদর্শনের অনেক ঘটনাবলির বিবরণ বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। নীচে দু’টি ঘটনা উল্লেখ করা হল-
* রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কা বিজয় করলেন, কুরাইশের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিবর্গকে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় নতশিরে উপবিষ্ট পেলেন। তিনি তাদেরকে বললেন : হে কুরাইশ ব্যক্তিবর্গ! আপনাদের সাথে এখন আমার আচরণের ধরন সম্পর্কে আপনাদের ধারণা কী? তারা বলল : আপনি উদারমনা ভাই ও উদারমনা ভাইয়ের ছেলে। রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : “যান, আপনারা মুক্ত।” একথা বলে তিনি ইতোপূর্বে তাঁর ও সাহাবায়ে কিরামের বিরুদ্ধে ঘটানো তাদের সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করে দিলেন। (তাবরানী-তারীখ, ৩য় খণ্ড, ৬০ পৃষ্ঠা)
* রাসূলুল্লাহকে হত্যার উদ্দেশ্যে এক লোক আসল, কিন্তু তা ফাঁস হয়ে গেল। সাহাবীগণ বললেন : হে আল্লাহর রাসূল! এই লোক আপনাকে হত্যা করার মনস্থ করেছে। একথা শুনে লোকটি ভীত হয়ে অস্থির হয়ে পড়ল।
রাসূলুল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন : ভয় করো না, ভয় করো না, যদিও তুমি আমাকে হত্যা করার ইচ্ছা করেছ, কিন্তু তুমি আমাকে ইনশায়াল্লাহ হত্যা করতে পারবে না। কেননা, আল্লাহ তা‘আলা অবহিত করেছেন যে, তিনি আমাকে মানুষের কাছ থেকে রক্ষা করবেন।
(৫) রাসূলুল্লাহ (সা.) সততা :
সততা উত্তম চরিত্রের সোপান। সততা উত্তম আদর্শ। সততার মাঝেই নিহিত আছে যাবতীয় কল্যাণ ও সাফল্য।
জন্ম হতে মৃত্যু অবধি রাসূলুল্লাহ (সা.) হলেন সততার মুর্ত প্রতীক। যার দরুণ মক্কার কাফির-মুশরিক সকলের নিকট তিনি ‘আস-সাদিক’ তথা সত্যবাদী নামে পরিচিতি লাভ করেন। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায়, মক্কার কাফের-গোষ্ঠী ছিলো তাঁর ঘোরতর শত্রু। তাঁকে হত্যা করে ইসলামের বিলুপ্তি জন্য সদা অধীর আগ্রহে প্রহর গুনতো। এতদসত্ত্বেও তাদের ধন-সম্পদ গচ্ছিত রাখার সর্বাধিক বিশ্বস্ত বলে তাকেই জ্ঞান করতো।
এভাবে রাসূলুল্লাহ (সা.) সততার পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেই মানুষ দলে দলে ইসলামে প্রবিষ্ট হয়েছিলো। তাঁর এ সততা থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ অপরিহার্য।
(৬). ইয়াতীম-অসহায়ের প্রতি দয়া : রাসূলুল্লাহ (সা.) ইয়াতীম ও অসহায়দের প্রতি অপরিসীম দয়া-অনুকম্পা ও অনুগ্রহ প্রদর্শন করতেন। দু:স্থ-নিপীড়িতদের মুখে তিনি মধুর হাসি ফুটাতেন। একবার ঈদগাহে যাওয়ার পথে ইয়াতীম এক শিশুকে কাঁদতে দেখে প্রিয় নবীজী তাকে আদর দিয়ে তার কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলেন। সব শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে এলেন। গোসল করিয়ে সুন্দর কাপড় পরিয়ে ঈদগাহে নিয়ে গেলেন। অনন্তর তাকে বললেন, হে বৎস! আমি যদি তোমার বাবা হই, আয়েশা (রা.) যদি তোমার মা হয় আর ফাতেমা যদি তোমার বোন হয়, তাহলে কি তুমি সন্তুুষ্ট? ছেলেটি সমস্বরে জবাব দিলো হ্যাঁ, অবশ্যই। এবার তার রসনায় আনন্দের হাসি বিকশিত হলো।
(৭). অমুসলিমদের প্রতি সদাচার :
রাসূলুল্লাহ (সা.) মুসলমানদের প্রতি যেরূপ সদাচারণের পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করতেন, তন্দ্রুপ অমুসলিম বা অন্য ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গেও উত্তম আচরণ করতেন এবং সর্বদা তাদের প্রতি সৎ মনোভাব প্রকাশ করতেন।
একবার এক ইয়াহুদী আল্লাহর হাবীবকে কষ্ট দিতে তাঁর মেহমান হলো। রাতে রাসূলুল্লাহ (সা.) যথাসাধ্য আপ্যায়ন করে তার শোয়ার ব্যবস্থা করে দিলেন। কিন্তু সে শয়নকক্ষে প্রবেশ করে বিছানায় পায়খানা করে চলে গেলো।
সকালে রাসূলুল্লাহ (সা.) তার কোনো সন্ধান পেলেন না। এতে তাঁর চেহারা মুবারক মলিন হয়ে গেলো। আফসোস ও আক্ষেপ করে বলতে লাগলেন, হায়! আমি বুঝি তার যথাসাধ্য আপ্যায়ন করতে পারিনি। রাতে তার মনে হয় অনেক কষ্ট হয়েছে।
(৮). জীবজন্তুুর প্রতি সদাচার : প্রিয়নবী (সা.) শুধু মানুষের প্রতিই সদাচারণ করেছেন, এমন নয়। বরং তিনি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সৃষ্ট অন্যান্য প্রাণী ও জীবজন্তুুর প্রতিও অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত সদাচারণ প্রদর্শন করতেন।
একবার এক সফরে দু’জন সাহাবী একটি পাখির বাসা থেকে দু’টি পাখির ছানা নিয়ে এলেন। মা পাখিটি তার বাচ্চার সঙ্গে সঙ্গে উড়ে করুণ সুরে মুক্তির আবেদন জানাতে লাগলো। প্রিয় নবীজী (সা.) এ অবস্থা দেখে বললেন, এ পাখিটিকে ধরে কেনো এই মা পাখিটাকে অধীর করে তুলেছো? বাচ্চা দু’টিকে ছেড়ে দাও। তখন তারা বাচ্চা দু’টিকে ছেড়ে দিলেন। (সীরাতুন্নবী সা., ৬ষ্ঠ খণ্ড, ২৪১ পৃষ্ঠা) অনুরূপ জীবজন্তুুর ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) উম্মতকে উত্তম আচরণের জন্য বিস্তারিত নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি জীবজন্তুুর প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শন, তাদের দানা-পানির ব্যবস্থা করা এবং তাদেরকে সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা দিয়ে কষ্ট না দেয়ার হুকুম দিয়েছেন।
(৯). শ্রেণী ও বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ : পৃথিবীর বুকে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হচ্ছে, মানবজাতির মধ্যে শ্রেণী ও বর্ণবৈষম্য। এর ফলে মানুষ হারিয়ে ফেলে ভ্রাতৃত্ববোধ, বিলীন হয়ে যায় তাদের মধ্যকার পারস্পরিক মায়া-মমতা, বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপুর্ণ মধুর সম্পর্ক। তাদের জীবনে নেমে আসে বিভেদের ঘোর অন্ধকার।
বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত প্রিয়নবী (সা.)-এর আগমনের পূর্বে গোটা পৃথিবী শ্রেণী ও বর্ণবৈষম্যের অতল তলে নিমজ্জিত ছিলো। এর ফলে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ছিলো চরম অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, দেশ ও রাষ্ট্র পর্যায়ে যুদ্ধংদেহী মনোভাব, এমনকি এর ফলে সামান্য কোনো তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রতিহিংসার কারণে বছরের পর বছর ধরে চালিয়ে যেত তারা ধ্বংসাত্বক যুদ্ধ (চলবে)।
লেখক : আরবী প্রবাষক, কড়িহাটি ফাযিল মাদ্রাসা, চাটখিল, নোয়াখালী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ