পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : নওগাঁ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বিগত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের প্রচেষ্টাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বর্তমান কমিটির সভাপতিসহ পরিচালকবৃন্দ। তার এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল।
অভিযোগে জানা গেছে, চেম্বারের বিগত কমিটির কাছ থেকে বর্তমান কমিটি দায়িত্বভার গ্রহণ করে গত ১ অক্টোবর। দায়িত্বভার অর্পণের সময় সংগঠনের মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব নং-০১০৮১২১০০০১৫৭১৩-এর এসবিএ/এ নং-৬৫৭৪০৯৯ হতে ৬৫৭৪১১০ পর্যন্ত মোট ১২টি চেকের পাতা এবং ঐ হিসাবে ২ লাখ ৬০ হাজার ৭৫৮ টাকা ও হাতে নগদ ৫১ হাজার ১১৫ টাকা বুঝে দেয়া হয়। ব্যাংক স্টেটমেন্টে উল্লেখিত টাকা থাকলেও দায়িত্ব বুঝে দেয়ার পরও উক্ত হিসাবের এসবিএ/এ চেক নং-৬৫৭৪০৯৫ মোতাবেক ৪৪,৯১০ টাকা, এসবিএ/এ চেক নং-৬৫৭৪০৯৬ মোতাবেক ৬,২০০ টাকা এবং এসবিএ/এ চেক নং-৬৫৭৪০৯৭ মোতাবেক ২০,৫০০ টাকা সর্বমোট ৭১,৬১০ টাকা উত্তোলনের চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে বিষয়টি জানতে পেরে বর্তমান কমিটির আপত্তির মুখে উক্ত টাকা উত্তোলন করতে ব্যর্থ হয়। এই টাকা উত্তোলিত হলে দায়িত্ব বুঝে দেয়ার সময় ব্যাংক হিসাবে যে ২ লাখ ৬০ হাজার ৭৫৮ টাকা জমা দেখানো হয়েছে তা থেকে উত্তোলিত ৭১ হাজার ৬১০ টাকা কম থাকতো।
অপরদিকে, চেম্বারের ব্যাংকিং লেনদেন কমিটির সভাপতি এবং সচিবের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়ে থাকে। নওগাঁ চেম্বারের সচিব কামরুজ্জামান প্রায় দেড় বছর পূর্বে এখানকার চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চাকরি করছেন। কিন্তু ঐ কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরে পূর্বের কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী দ্বীন তার মেয়াদের শেষ দিন গত ১ অক্টোবর পর্যন্ত যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব লেদদেন করে গেছেন। এমন কি তাদের যৌথ অগ্রিম স্বাক্ষরে আরও চেকের পাতা বিদ্যমান রয়েছে। প্রায় দেড় বছর আগেই চেকের পাতাগুলোতে উক্ত সচিবের অগ্রিম স্বাক্ষর নেয়া হয়েছিল্।
এ ছাড়াও চেম্বারের একজন কর্মচারীকে দু’টি পৃথক পদে দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই ব্যক্তিকে প্রতিমাসে দুইজনের বেতন প্রদান করা হচ্ছে। চেম্বারের কর্মচারী মোঃ মাসুদ রানার নির্ধারিত পদবী অফিস সহকারী। তিনি অফিস সহকারী হিসেবে প্রতি মাসে বেতন, বাড়িভাড়া, চিকিৎস্ াভাতা ও কল্যাণভাতা মিলিয়ে ৮ হাজার ৯শ’ ১৫ টাকা উত্তোলন করেন। এ ছাড়াও এ একই ব্যক্তিকে হিসাবরক্ষক পদ দেখিয়ে প্রতি মাসে নির্ধারিত ২ হাজার ৫শ’ টাকা প্রদান করা হয়ে আসছে। এ ব্যাপারে চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ কোন পরিচালক কিছুই জানেন না। কমিটির কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই দীর্ঘদিন এই একই ব্যক্তিকে অবৈধভাবে দুইটি পদের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে।
এসব অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরে নওগাঁ চেম্বারের সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল বলেছেন, ব্যবসায়ীদের একটি সংগঠনে এরকম অনিয়ম অনাকাক্সিক্ষত। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।