পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতকে গুঁড়িয়ে ১০ উইকেটে পাকিস্তানের দুর্দান্ত জয়ে উল্লসিত চট্টগ্রামবাসী। বিশ^কাপের শুরুতে রেকর্ড ভাঙা জয়। ভারতীয়দের দর্প চূর্ণ করে বাবর আজমদের এমন শুভ সূচনায় আনন্দে ভাসছে সবাই। এবারের বিশ^কাপে যারা ভারতকে দুর্ধর্ষ দল হিসাবে দেখছিলেন তাদের বোকা বানিয়ে দিল পাকিস্তান। মাটিতে নামিয়ে আনলো ভারতকে। ভারতীয়দের এমন অধঃপতনে উচ্ছ্বসিত বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের ক্রিকেটপ্রেমী সাধারণ জনতা। সবার মুখে মুখে পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের প্রশংসা।
রোববার রাতে মরুর দেশে ভারতীয়দের নাস্তানাবুদ করে পাকিস্তানের বিজয় উল্লাসের ঢেউ যেন আছড়ে পড়ে এই অঞ্চলের ঘরে ঘরে। বাসা-বাড়ি, চায়ের দোকান, ক্লাব, পার্টি অফিস, পাড়া, মহল্লায় যারা বড় পর্দায় খেলা দেখছিলেন তারাও উল্লাসে ফেটে পড়েন। ঘরে ঘরে আনন্দ, উল্লাস। কোথাও আবার মিষ্টি বিতরণ। সব মিলিয়ে উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয় সর্বত্রই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ অব্যাহত আছে। নেটিজেনরা বাবর আজমদের অভিনন্দিত করছেন অকাতরে। লজ্জাজনক হারে ভারতীয়দের নিয়ে তীর্যক মন্তব্যও চলছে ফেইসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামে।
ভারত-পাকিস্তানের খেলা মানে অন্যরকম উত্তেজনা। এ উত্তেজনা দুই দেশের সীমানা ছাড়িয়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। খেলার শুরুর আগেই টিভি সেটের সামনে বসে পড়েন সবাই। নগরীর জামালখান, চকবাজার, আগ্রাবাদ, হালিশহর, পতেঙ্গা, বাকলিয়াসহ অনেক এলাকায় বড় পর্দায় খেলা উপভোগের আয়োজন ছিলো।
পাড়া, মহল্লার ক্লাবগুলোতে দলবেধে খেলা দেখতে বসেন কিশোর, যুবকেরা। বাসা বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঐতিহাসিক এ ক্রিকেট ম্যাচ উপভোগ করেন নগরবাসী। শ^াসরুদ্ধকর খেলায় ভারতীয়দের ধরাশায়ী হওয়ার দৃশ্য অন্যরকম এক আবহ সৃষ্টি করে। জয়ের উল্লাসের ফেটে পড়েন সবাই। ছেলে বুড়ো থেকে কিশোর-কিশোরী সকলে সামিল এ আনন্দে। আনন্দে কোন কোন এলাকায় বাদ্য বাজানো হয়। বিতরণ করা হয় মিষ্টি।
টানা ১২ ম্যাচের পর বিশ^কাপের প্রথম সাক্ষাতে ভারতকে এমন তুলোধুনো করবে তা অনেকের প্রত্যাশা ছিলো। তাই এমন প্রত্যাশিত জয়ে অন্য রকম উচ্ছ্বাস। ক্রিকেট দুনিয়ায় ভারতীয়দের আধিপত্য নিয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষের অন্ত নেই। অতীতে বাংলাদেশ দলসহ বিশে^র অনেক দেশের সাথে মোড়লীপনা দেখিয়েছে ভারতীয়রা। এবারের বিশ^কাপের শুরুতে এমন শোচনীয় পরাজয় তাদের দাদাগিরির অবসানের সূচনা বলছেন অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।