পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সরকারি দলের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, সম্প্রতি পূজামণ্ডপ ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অবিলম্বে তদন্ত ও বিচারসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে- হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে আয়োজিত ‘গণঅনশন ও অবস্থান’ কর্মসূচিতে সংগঠনের নেতারা এ দাবি তুলে ধরেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সারা দেশে এ কর্মসূচি পালন করে।
রাজধানীতে শাহবাগ অবরোধ করে তারা এ কর্মসূচি পালন করে, ফলে পুরো এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং জনগণকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এ কর্মসূচিতে সংহতি জানান রাজনৈতিক দলের নেতা, শিক্ষক, অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। ঐক্য পরিষদের নেতাকর্মীরা বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে কর্মসূচি শুরু করেন তা শেষ হয় দুপুর পৌনে ১টায়।
এদিকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে ১১ দফা দাবি পেশ করে অবিলম্বে তা বাস্তবায়নের দাবি জানান নেতারা। তা না হলে এসব দাবি আদায়ের জন্য আগামী ফেব্রুয়ারিতে সারাদেশ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার কর্মসূচি ঘোষণা করেন- হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। সমাবেশে হিন্দু সংগঠনের নেতারা সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন।
কুমিল্লার অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনসহ মোট ১১ দফা দাবি নিয়ে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণঅনশন, গণঅবস্থাান ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি শুরু হয় সকাল ৬টায়। সকাল ৭টায় কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত হন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের নেতা হাসানুল হক ইনু। এ সময় তিনি বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্মান্ধ, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা পরিকল্পিত ছিল। হামলাকারীরা হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগাতে চেয়েছিল। বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে দাঙ্গা লাগানো সম্ভব হয়নি।
অবস্থাান কর্মসূচিতে অংশ নেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার প্রমুখ। এসময় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে বক্তব্য প্রদান করেন মহিলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যসহ আরো অনেকে।
কর্মসূচিতে যে দাবিগুলো করা হয়েছে তা হলো- দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সহিংসতার তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন, হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সকল মন্দির, বাড়িঘর পুনঃনির্মাণ, গৃহহীনদের পুনর্বাসন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান ছাড়াও আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও নিহতদের প্রতিটি পরিবারকে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা প্রদান, বিকল্পে প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের একজনকে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োগের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান, হামলাকারী ও চক্রান্তকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে বিশেষ ক্ষমতা আইন-সন্ত্রাস দমন আইনের আওতায় এনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা, প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে যারা দায়িত্ব পালনে গাফেলতি ও অবহেলা করেছেন, তাদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধেও দ্রুত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ, বিভিন্ন সামাজিক গণমাধ্যম ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদিতে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছাড়াও সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে, যারা তাদেরকে চিহ্নিত করে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত, সন্ত্রাসীদের মোকাবিলায় যেসব জনপ্রতিনিধি এগিয়ে আসেননি তাদেরকেও চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ, ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ঘটনাবলি তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনায় গঠিত সাহাবুদ্দিন কমিশনের সুপারিশ সম্বলিত রিপোর্ট অনতিবিলম্বে জনসমক্ষে প্রকাশ ও এর সুপারিশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকারি দলের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রণয়ন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের দ্রুত বাস্তবায়নসহ ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর কাছে প্রদত্ত অঙ্গীকার দ্রুত বাস্তবায়ন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, পবিত্র কোরআন অবমাননার জের ধরে কুমিল্লা, রংপুরসহ দেশের কয়েকটি স্থানে ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদে সকালে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ব্যানারে নগরীতে ‘গণঅনশন ও অবস্থান’ কর্মসূচি থেকে এ ১১ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। সকাল ৬টায় কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেওয়া হলেও শুরু হয় কয়েক ঘণ্টা পর। নগরীর আন্দরকিল্লা সিটি কর্পোরেশন ভবনের পাশে জে এম সেন হল চত্বরে অদূরে এ সমাবেশ চলাকালে আশপাশের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। সরকারকে দেশে-বিদেশে চাপে ফেলার কৌশল হিসাবে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, ইসকনসহ বিভিন্ন সংগঠন এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাথায় গেরুয়া কাপড় বাধা বিপুলসংখ্যক যুবক উস্কানিমূলক, উগ্র ও আপত্তিকর স্লোগান দিতে থাকে। বিতর্কিত ‘জয় শ্রী রাম’ ছাড়াও ‘কুরক্ষেত্রের হাতিয়ার-গর্জে উঠুক আরেক বার’, ‘হর হর মহাদেব’, মৌলবাদের আস্তানা-জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও’, একটা দুইটা জঙ্গি ধর-ধরে ধরে গুলি কর’, মৌলবাদের আস্তানা- বাংলাদেশে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে সমাবেশজুড়ে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ভারতে সাম্প্রদায়িক বিজেপির ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগানে চাপা পড়ে মঞ্চে হিন্দু নেতাদের বক্তব্য। এতে অনেককে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নিকট অতীতে দেশের কোনো সমাবেশে এমন উগ্র স্লোগান দিতে দেখা যায়নি। এতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদাও ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কারণ এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নজিরবিহীন।
সমাবেশে ইসকনের পক্ষ থেকে ব্যাপক শো-ডাউনের হম্বিতম্বি করা হলেও তাদের উপস্থিতি ছিল কম। তবে ইসকনের সাথে হিন্দুদের নানা বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও এই কর্মসূচিতে তারা একসাথে যোগ দেয়। নগরী এবং জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে যানবাহনে করে লোকজন আনা হয়। বিভিন্ন সংগঠন এবং মঠ, মন্দির কমিটির ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে তারা সমাবেশে যোগ দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক রণজিৎ কুমার দে। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল আন্দরকিল্লা থেকে শুরু হয়ে নিউমার্কেট মোড়ে শেষ হয়। সমাবেশে হিন্দু সংগঠনের প্রতিনিধিরা সম্প্রতি বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতার জন্য দুষ্কৃতকারী আর দুর্বৃত্তদের বাদ দিয়ে সরাসরি মুসলমানদের দায়ী করেন। তারা সরকারের তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেওয়ারও আবদার করেন। কেউ কেউ দেশের উপজেলা পর্যায়ে মডেল মসজিদ নির্মাণের সমালোচনা করেন।
সমাবেশে রানা দাশগুপ্ত দাবিনামা উপস্থাপন করেন। রানা দাশগুপ্ত বলেন, দাবি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় রেখে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ‘চল চল ঢাকায় চল, স্লোগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হবে। ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর প্রতিটি সংগঠনকে পৃথক অথবা ঐক্যবদ্ধভাবে জনসংযোগ ও প্রতিবাদী কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের ঘোষিত ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব বর্জন, সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত মুখে কালো কাপড় বেঁধে নিজ নিজ মন্দিরে নীরবতা পালন এবং মন্দির ও মণ্ডপের ফটকে সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী স্লোগান সম্বলিত কালো কাপড়ের ব্যানার টাঙানোর কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি ও সমর্থন ঘোষণা করেন রানা দাশগুপ্ত।
সমাবেশে সংহতি জানান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক রণজিৎ কুমার দে, ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদক চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ। চট্টগ্রাম জেলা যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি রুবেল পালের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা শ্যামল কুমার পালিত, নিতাই প্রসাদ ঘোষ, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, নগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্য, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের নেতা চন্দন তালুকদার।
রাজশাহী ব্যুরো : দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে গতকাল শনিবারও রাজশাহীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার সকালে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রাজশাহী জেলা ও মহানগর গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করে। এতে একাত্মতা ঘোষণা করে যোগ দেয়- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, মহিলা ঐক্য পরিষদ, ছাত্র ঐক্য পরিষদ, ইসকন রাজশাহী ও রাজশাহীর সকল পূজামণ্ডপের নেতৃবৃন্দ। তারা গণঅবস্থান, গণঅনশন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের রাজশাহী মহানগরের সভাপতি ড. সুজিত সরকার। বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলার সভাপতি অনিল সরকার, সাধারণ সম্পাদক অসিত কুমার ঘোষ, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ, সহ-সভাপতি দেবাশীষ প্রামানিক দেবু প্রমুখ।
বগুড়া ব্যুরো : বগুড়ায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ গণঅনশন কর্মসূচি পালন করেছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত শহরের সাতমাথায় এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
হিন্দু ঐক্যজোটের সভাপতি ডা. এনসি রাড়ই এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণঅনশন কর্মসচিতে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, জাসদ বগুড়া জেলা সভাপতি ও সাবেক এমপি রেজাউল করিম তানসেন, সিপিবি সভাপতি জিন্নাতুল ইসলাম জিন্নাহ, মাহফুল হক দুলু, পূজা উদযাপন পরিষদ বগুড়ার সভাপতি দীলিপ কুমার দেব, পরিমল প্রসাদ রাজ, গোপাল তেওয়ারী প্রমুখ।
খুলনা ব্যুরো : খুলনায় সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। শনিবার সকাল থেকে খুলনা মহানগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনটি।
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা : কুড়িগ্রামে গণঅনশন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ গণঅনশন কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ সময় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মো. জাফর আলী, বীর মুুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ লাল, বিশিষ্ট আইনজীবী আব্রাহাম লিংকন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রবি বোস, সাধারণ সম্পাদক বাবু দুলাল চন্দ্র রায়, নারী নেত্রী ফাল্গুনী তরফদার প্রমুখ।
মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : সকাল ৬টা থেকে মানিকগঞ্জ কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকের পাশে গণঅনশন- অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি গুরু দাস রায়ের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বাদরুল ইসলাম বাবলু, জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপক ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসাইন, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু প্রমুখ। গণঅনশন ও গণঅবস্থান কর্মসূচিতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
নাটোর জেলা সংবাদদাতা : নাটোরে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে নাটোর প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পূজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি ও নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রসাদ কুমার তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক সুব্রত সরকারসহ নেতৃবৃন্দ।
শেরপুর জেলা সংবাদদাতা : শনিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত জেলা শহরের ডিসি গেইট মোড়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে গণঅনশনে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি রাজিয়া সামাদ ডালিয়া, জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম হিরু, জেলা সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আখতারুজ্জামান, জেলা জাসদের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার প্রমুখ।
রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ীতে গণঅনশন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখা। শনিবার সকাল ৬টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজবাড়ী রেলগেট চত্বরে ওই এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখা সভাপতি অ্যাডভোকেট গনেশ নারায়ণ চৌধুরীর সভাপতিত্বে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধা চেয়ারম্যান ফকির আব্দুল জব্বার, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উজির আলী শেখ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখা সাধারণ সম্পাদক জয়দেব কর্মকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গনেশ মিত্র প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা : ঝালকাঠিতে গণঅনশন, গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদ যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
কর্মসূচি পালনকালে বক্তব্য দেন- জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডা. অসীম কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক তরুণ কর্মকার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিল। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অমল চন্দ্র দাস অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।
মধুখালী (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : মধুখালী কেন্দ্রীয় ঈদগাহর সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রেলগেট এলাকায় মধুখালী উপজেলা শাখার সভাপতি বিপ্লব চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রায় ঘণ্টাব্যাপি গণঅনশন ও অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মধুখালী হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা মাধাই পোদ্দার, যামিনী সিংহ রায়, সুনিল সরকার, স্বপন রায়, সহ-সভাপতি মুকুল দে, যুগ্ম সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রবির সাহা, মধুখালী পূজা উদযাপন পরিষদের প্রকাশনা সম্পাদক সুভাষ বিশ্বাস, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত কুমার দাস, লিটন কুমার ভৌমিক, সুমন কুমার সরকার, স্বপন রবি দাস, শংকু কুমার বসু, সঞ্জিত কর্মকার, শ্যামল কুমার মজুমদারসহ প্রমুখ।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : সাম্প্রদায়িক সহিংসতার প্রতিবাদে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গণঅনশন, গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১০টায় বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ মহিপুর থানা শাখার উদ্যোগে শেখ রাসেল সেতুর ওপর এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, মহিপুর হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা অনন্ত মূখার্জী ও নিতাই কৃপা সিন্দু প্রমুখ।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : নীলফামারীর সৈয়দপুরে গণঅনশন, গণঅবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য দেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক যোগেন্দ্র নাথ রায়, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক গোপাল চন্দ্র রায়, পূজা উদযাপন পরিষদ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক শিল্পপতি রাজকুমার পোদ্দার রাজু, সদস্য সচিব ক্ষিতিশ চন্দ্র রায়সহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।