পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : উন্নয়ন ও ভূ-রাজনীতিতে চীন যে ভূমিকা রাখছে, বাংলাদেশ তার পাশে থাকবে- বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের একথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকের পর বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে বিমানবন্দর সড়কে লা মেরিডিয়ান হোটেলে চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে খালেদা জিয়ার সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। হোটেলের ১৪ তলায় প্রেসিডেন্ট স্যুটে ৪০ মিনিট স্থায়ী বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক সেনা প্রধান মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আসা কয়েকজন মন্ত্রী ও ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং উপস্থিত ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, চীনের মাননীয় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ সব সময় আশা করে, চীন তাদের উন্নয়ন কর্মকা-ে সবসময় সহযোগিতা করবে ও পাশে থাকবে। একই সঙ্গে চীনও আশা করে, চীনের যে উন্নয়ন কর্মকা- এবং ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে চীন যে ভূমিকা পালন করছে বিশেষ করে উন্নয়ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তীব্র সমর্থন যোগাবে।
চীনের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বৈঠকে খালেদা জিয়া উল্লেখ করেছেন যে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তা স্থাপিত হয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে। তারপর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অকৃত্রিম সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে। চীন বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অকৃত্রিম বন্ধু।
এর আগে দুপুরে এক বিবৃতিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশ সফরের জন্য স্বাগত জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, বিএনপি এবং বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বাস করে, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে অত্যন্ত নিবিড়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর বাংলাদেশের জনগণ চীনের অব্যাহত সহযোগিতার কথা স্মরণ করে। শি জিনপিংয়ের এই সফর নিঃসন্দেহে চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।