পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে চল্লিশ বিলিয়ন ডলারের অধিক টাকার চুক্তি হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে দুই দেশের মধ্যে এসব চুক্তি হয়।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান গতরাতে জিনপিংয়ের সম্মানে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন। নৈশভোজের পর তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের আড়াই হাজার কোটি থেকে ৩ হাজার কোটি ডলার অর্থাৎ দুই লাখ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে।
এদিকে গতকাল দুপুরে সোনারগাঁও হোটেলে চীনের ১৫টি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ১৯টি চুক্তি সই হয়েছে। বাংলাদেশ-চীন বিজনেস ফোরামের যৌথ বৈঠকে এসব চুক্তি সই হয়। এ চুক্তির অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৩শ’ ৬০ কোটি ডলার। বৈঠক শেষে এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মাতলুব আহমাদ বলেন, যদিও আমাদের মধ্যে ১৯টি চুক্তি সই হয়েছে, তারপরও আশা করছি, পরবর্তীতে এ সংখ্যা বেড়ে ৫০টির মতো হতে পারে। তাহলে তার পরিমাণ আরো কয়েক বিলিয়ন ডলার বাড়বে।
চীনের ১৫টি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মধ্যে ১ হাজার ৩শ’ ৬০ কোটি ডলারের ১৯টি চুক্তি সই হয়েছে। গতকাল, রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে বাংলাদেশ-চায়না বিজনেস ফোরামের যৌথ বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুনের উপস্থিতিতে এসব চুক্তি সই হয়।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে। এতে চীনের ১২০ কোম্পানির ১০০ নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ-চীনের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিক, লেদার খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। চীনের প্রতিনিধি দলের এই সফর সেই সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিবে। যদিও আমাদের মধ্যে ১৯টি চুক্তি সই হয়েছে। তারপরও আশা করছি, পরবর্তীতে এ সংখ্যা বেড়ে ৫০টির মতো হতে পারে। চীনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে নিশ্চই লাভবান হবেন। আমরা আশাবাদী, যদি উভয়দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৫০টি চুক্তি সই হয় তাহলে তার পরিমাণ কয়েক বিলিয়ন ডলার দাঁড়াবে। এ ছাড়া, সরকারি উদ্যোগে তো আলাদা চুক্তি হচ্ছেই।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার (বিসিআইএম) ও সিল্ক রুটের আওতায় চীনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের এ সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও দরিদ্র বিমোচনে ঢাকা- বেইজিংয়ের মধ্যকার এ বাণিজ্য চুক্তিগুলো বিশাল সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। আমার বিশ্বাস, চীনের ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগের উত্তম স্থান হিসেবে বাংলাদেশকেই বেছে নেবেন। বৈঠকে চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের (সিসিপিআইটির) ভাইস চেয়ারম্যান চেন ঝো বলেন, টেক্সটাইল, অটোমোবাইল, যন্ত্রাংশ, জাহাজ নির্মাণ, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে চীনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।