পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার আধ্যাত্মিক রাজধানী পুণ্যভূমি সিলেট নগরীতে হাজার হাজার মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘মুবারক র্যালি’। সুন্নী ছাত্র কাফেলা বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এ ‘মুবারক র্যালি’তে অংশগ্রহণের জন্য সকাল থেকেই সোবহানীঘাটস্থ হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াকুবিয়া কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে সিলেট বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা জমায়েত হন।
সকাল ১১টা থেকে যোহরের পূর্ব পর্যন্ত প্রিয়নবী (সা.) এর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও অতিথিবৃন্দ। বাদ যোহর শুরু হয় র্যালি। প্রিয়নবীর শানে রচিত কালজয়ী নানা কবিতার শ্লোক অঙ্কিত রঙ-বেরঙের ফেস্টুন ও প্লেকার্ড র্যালিতে শোভাবর্ধন করে। আশিকে রাসূল ছাত্রজনতার সুরে সুরে ধ্বনিত হয় প্রিয়নবীর প্রশংসাগীতি। র্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) হলেন বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত। তার সার্বজনীন শান্তির বার্তা দুনিয়ার দিকে দিকে ছড়িয়ে দিতে হবে। সমাজে সাম্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় তাঁর আদর্শের কোনো বিকল্প নেই। প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বমানবতার এক ক্রান্তিলগ্নে দুনিয়ার বুকে তাশরীফ এনেছিলেন। তখন মানুষে মানুষে ছিল হানাহানি। চারিদিকে ছিল অসত্য আর অন্যায়ের জয়জয়কার। দুঃশাসনের যাতাকলে নিষ্পেষিত ছিল মানব সমাজ। এমনি সময়ে মানুষকে প্রকৃত মানবিক মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে দুনিয়ার বুকে তাশরীফ এনেছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে কিছু কুচক্রীমহল দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। মুসলমান ও হিন্দুদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টির পায়তারা করছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ইসলাম কখনো অশান্তি সৃষ্টি ও সংঘাতকে সমর্থন করে না। ইসলামের নবী দুনিয়াতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নমুনা প্রদর্শন করেছেন এর নজীর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই প্রিয়নবীর আদর্শ অনুসরণে সংঘাত নয় বরং শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। কুমিল্লায় যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তা কোনো গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।
র্যালি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক সুলতান আহমদ এর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান ফরহাদ ও সদস্য সচিব এস এম মনোয়ার হোসেন এর যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত র্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আল্লামা ফুলতলী ছাহেব কিবলাহ (র.) এর সুযোগ্য ছাহেবজাদা হযরত আল্লামা মুফতি গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ দুলাল আহমদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে র্যালিতে নেতৃত্ব দেন আনজুমানে আল ইসলাহর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা একেএম মনোওর আলী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি এডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, আনজুমানে আল ইসলাহর সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাহফিলে মীলাদুন্নবী (সা.) বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ হাসান চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আবু ছালেহ মো. কুতবুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান, মুসলিম হ্যান্ডস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ম্যানেজার মাওলানা গুফরান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজতবা হাসান চৌধুরী নুমান প্রমুখ।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং মাহফিলে মীলাদুন্নবী (সা.) বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, পাঠাগার সম্পাদক হাফিয মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা বেলাল আহমদ, অফিস সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. আলমগীর হোসাইন, তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আখতার হোসাইন জাহেদ, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হুমায়ূনুর রহমান লেখন, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মুহাম্মদ মুহিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক জায়েদ আহমদ চৌধুরী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাফিজুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুর রহমান, আনজুমানে আল ইসলাহ’র সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সালেহ আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান তাজুল, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান সাহেদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।