পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের আগরতলার মেয়ে দীপা কর্মকার। তাকে বলা হচ্ছে অলিম্পিক জিমন্যাস্টিকসে ভারতের এ যাবত কালের মধ্যে সেরা। অলিম্পিক থেকে ফেরার পর পুরস্কার হিসেবে পেয়েছিলেন ৪৯ লাখ টাকা দামের বিএমডব্লিউ গাড়িটি।
আর ভারতীয় ক্রিকেট তারকা সচিন টেন্ডুলকারের হাত থেকে পেয়েছিলেন দামী ওই পুরস্কারটি। কিন্তু বিড়ম্বনায় পড়ে এবার শেষ পর্যন্ত তা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দীপা। অলিম্পিকসে পদক পাওয়ার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি ত্রিপুরার মেয়ে দীপার। তবুও রিও অলিম্পিকসে যারা পদক পেয়েছেন অথবা পাননি, সবাইকেই বিএমডব্লিউ গাড়ি উপহার দিয়েছিল হায়দ্রাবাদ ব্যাডমিন্টন অ্যাসোসিয়েশন। ওই অ্যাসোসিয়েশনেরই সদস্য- পিভি সিন্ধু মেয়েদের ব্যাডমিন্টনে রৌপ্য পদক জয় করেন।
দীপা বলছেন কেন তাকে গাড়িটি ফেরত দিতে হচ্ছে।
‘একটা কাঁচ ভেঙ্গে গেলে বা টায়ার পাংচার হয়ে গেলেও গাড়িটা নিয়ে যেতে হবে কলকাতায়। আগরতলা কেন আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতেও বিএমডব্লিউ’র কোনও সার্ভিস সেন্টার নেই’- বিবিসি-কে বলছিলেন দীপা।
মিজ. কর্মকার পরিবার এবং কোচ বিশ্বের নন্দী তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, গাড়িটি তারা ফেরত দিয়ে দেবেন। পরিবর্তে টাকা নিয়ে নেওয়ার ব্যাপারেও বিএমডব্লিউর সঙ্গে কথা হয়েছে। অবশ্য প্রথমে ভেবেছিলেন বিএমডব্লিউ বদলে কোনও ছোট গাড়ি যদি পাওয়া যেত! কিন্তু পরে সে ভাবনাটি বাদ দেন। দীপা বলছিলেন, ‘আমি অবশ্য গাড়ি কেন, স্কুটিও চালাতে জানি না। যদি অ্যাকসিডেন্ট করি, তাহলে তো আমার জিমন্যাস্টিকস শেষ হয়ে যাবে’।
আগরতলায় একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে দীপা রিও অলিম্পিকসে সারা পৃথিবীর নজর কেড়েছিলেন তার প্রদুনোভা ভল্টের জন্য। জিমন্যাস্টিকসে দীপার পারফরম্যান্সই এখনও পর্যন্ত ভারতের সেরা। অলিম্পিকস থেকে ফেরার পরে কিছুদিন বিশ্রাম আর অনেক সংবর্ধনার শেষে ইতোমধ্যেই আবারও প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছেন দীপা। -সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।