পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান রাষ্ট্রধর্ম মানি না বলে সংবিধানের শপথ ভঙ্গ করেছেন । তাঁর উচিত পদত্যাগ করা। আর আওয়ামী লীগের উচিত তাকে বহিষ্কার করা। গতকাল সোমবার দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে দলের টাঙ্গাইল জেলার নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে আওয়ামী লীগই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম রেখেছে। তাই আওয়ামী লীগের উচিত দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ওই প্রতিমন্ত্রীকে বহিষ্কার করা। প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে ওই প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন।
তিনি বলেন, দেশের ৯২ ভাগ মুসলমানের মনের আশা পূরণ করতেই পল্লীবন্ধু এইচ এম এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করেন। এর বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র দেশের মানুষ মেনে নেবে না। মরহুম প্রেসিডেন্ট এরশাদকে কটূক্তি করে জঘন্য কাজ করেছেন ওই প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে কটূক্তি করে গর্হিত কাজ করেছেন। অবশ্যই তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতি এখন নীতি হয়ে গেছে। কেউ দুর্নীতি না করলে তাকে সবাই পাগল মনে করে। যারা ঘুষ খায়, পণ্যে ভেজাল দেয়, কালোটাকার মালিক তারাই রাজনীতিতে এখন এগিয়ে যাচ্ছে। তারা দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। ভালো মানুষ রাজনীতিতে টিকতে পারছে না। তাই দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সমালোচনা করে জিএম কাদের বলেন, এ দুটি দল দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। মানুষ এক বুক আশা নিয়ে জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। দলকে আরও শক্তিশালী করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেন জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক। তিনি বলেন, শক্তি থাকলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করে দেখান। আমাদের শক্তি থাকলে আমরা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রাখব। জাতীয় পার্টি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম নিয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, লিয়াকত হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা নুরুচ্ছফা সরকার, মোজাম্মেল হক, ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। এর আগে টাঙ্গাইলের নেতারা জাপা চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।