পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। তাদের মধ্যে বনানী চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক নারীসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- সাইদুল ইসলাম ও অজ্ঞাতপরিচয় নারী। গত শনিবার দিবাগত রাতে কমলাপুরগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
ঢাকা রেলওয়ে থানার এএসআই সাকলাইন জানান, নিহত পুরুষের পরিচয় পাওয়া গেলেও নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তিনি আরও জানান, নিহত সাইদুল ইসলাম পেশায় একজন রিকশাচালক ছিলেন। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার আন্দার মানিক গ্রামের জালাল হাওলাদারের সন্তান। বর্তমানে মহাখালী সাততলা বস্তি এলাকায় থাকতেন। তবে মৃত নারীর পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান এএসআই সাকলাইন।
এদিকে, রাজধানীর নিকুঞ্জ-২ এলাকার একটি বাসা থেকে এক চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম জয়দেব চন্দ্র দাস। খিলক্ষেত থানার ওসি মুন্সি সাব্বির আহমেদ জানান, গত শনিবার রাতে দুর্গন্ধের উৎস ধরে নিকুঞ্জ-২ এর ১৫ নম্বর সড়কের নরেন নিবাস নামে একটি বাড়ির ফ্ল্যাট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ওসি বলেন, ফ্ল্যাটের একটি কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে- এমন খবরে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। দরজা ভেঙে খাটে শোয়া অবস্থায় একজনের লাশ উদ্ধার করি। ওসি সাব্বির বলেন, নিহত চিকিৎসক সিলেট ওসমানি মেডিকেল থেকে পাস করেছেন। ঢাকায় কোনো হাসপাতালে চাকরি করছিলেন কি না তা প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। যে ফ্ল্যাট থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে চিকিৎসকরা মেস করে থাকতেন। তিন দিন আগে জয়দেব বাসায় প্রবেশ করেছেন। এরপর আর বের হননি বলে জানান ওসি।
এছাড়া সবুজবাগ থানার কদমতলা এলাকায় শ্রাবণী জামান নিপা নামে এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টায় পুলিশ দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
সবুজবাগ থানার এসআই রুবিনা আউয়াল বলেন, খবর পেয়ে কদমতলায় তার বাসায় গিয়ে দরজা ভেঙে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন, তার ৭ বছরের ছেলে ও তার এক ভাতিজিকে নিয়ে এই বাসায় থাকতেন। বাসার পাশে তার কাপড়ের দোকান আছে। দুই মাস আগে তার শ্বশুর মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। পরে তিনি আর বাড়ী থেকে আসেনি। স্বামীর সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে ঝামেলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসআই রুবিনা আরও বলেন, তার বাড়ী বরিশালের মুলাদী থানার ব্রজমোহন গ্রামে। তিনি ওই এলাকার মৃত আনিসুজ্জামানের মেয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।