পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিশিষ্ট ব্যক্তি ও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ছাত্রীদের ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস এবং অন্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পর্নোগ্রাফি প্রচারের অপরাধে ডেসপারেটলি সিকিং আনসেনসরড (ডিএসইউ) নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের তিন এডমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার দুপুর ৩টার দিকে গ্রিন রোডের একটি বাসা থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- জুবায়ের আহম্মেদ, তৌহিদুল ইসলাম অর্নব ও আসিফ রানা। এ সময় তাদের কাছ থেকে কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।
পুলিশ কর্মকতা জানান, এই ফেসবুক গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রুপের এডমিন ও সদস্যরা মেয়েদের প্রতি তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সাইবার অত্যাচার চালিয়ে আসছিল। গ্রুপটি দেখার জন্য ১৮ থেকে ২০ জন এডমিন রয়েছে। তবে মোহাম্মদ রাহুল চৌধুরী নামের এক যুবক মূলত এই ফেসবুক গ্রুফটি পরিচালনা করেন। তিনি মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। অবাধে ব্যক্তিগত আক্রমণ, লাইভ পর্নোসহ যৌনতার বিকৃত বহিঃপ্রকাশ চলে। তারা যে কোনো অপরিচিত মানুষের ছবি গোপনে ধারণকৃত ভিডিও লিংক ফেসবুকে শেয়ার করে তাতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এদের দ্বারা সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি, অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ অনলাইনে লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, এই কাজে তাদের একটি বিশাল ওয়েবসাইট রয়েছে। ইদানিং এই গ্রুপটি ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়–য়া এক মেয়ের ব্যক্তিগত ভিডিও অনলাইনে ফাঁস করে দেয়। মেয়েটির পরিচয় ও তার ভিডিও লিংক এক লাখ বাইশ হাজার সদস্যের এই বিশাল গ্রুপ থেকে একের পর এক শেয়ার হয়ে ফেসবুকে মূহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। গ্রুপটির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে কাউন্টার টেরোরিজম। একপর্যায়ে এই তিন এডমিনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো বলেন, ফেসবুক পেজটি বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিএসইউর মূল ওয়েবসাইট বন্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।