পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : আমেরিকান সঙ্গীতে পরম্পরায় অভূতপূর্ব কাব্যিক বহিঃপ্রকাশের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর সাহিত্যে নোবেল পেলেন বব ডিল্যান (৭৫)। নোবেল ইতিহাসে প্রথম গীতিকার হিসেবে তিনিই এই পুরস্কার পেলেন।
১৯৯৩ সালে সাহিত্যে নোবেল জিতেছিলেন মার্কিন ঔপন্যাসিক টোনি মরিসন। এরপর এই বিভাগে আর কোনও আমেরিকান নোবেল পাননি। সেই হিসেবে দুই দশক পার করে ফের কোনও আমেরিকান সাহিত্যে নোবেল জিতলেন। পুরস্কার প্রাপক সম্পর্কে স্টকহোমে নোবেল ফাউন্ডেশনের সচিব সারা ড্যানিয়াস জানিয়েছেন, ‘ইংরেজি ভাষায় তিনি একজন অসামান্য কবি। গত ৫৪ বছর ধরে তিনি নিজেকে বার বার আবিষ্কার করে চলেছেন। ক্রমাগত নিজের নয়া ভাবমর্যাদা সৃষ্টি করেছেন’।
প্রসঙ্গত, এর আগে বেশ কয়েক বার নোবেল পুরস্কারের জন্য ‘গানের কবি’ বব ডিলানের নাম সাব্যস্ত হয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, সুইডিশ অ্যাকাডেমি কোনও ফোক রক সঙ্গীতশিল্পীকে কখনও পুরস্কৃত করবেন না। সেই ধারণা এবার চুরমার হল।
১৯৪১ সালে রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যান পরিচয়ে এই বিশ্বখ্যাত সঙ্গীতশিল্পীর জন্ম। ১৯৫৯ সালে আমেরিকার মিনেসোটা শহরের কফি হাউসগুলোতে তিনি সঙ্গীত পরিবেশন করা শুরু করেন। কবি ডিল্যান টমাসের নামানুসারে মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করেন বব ডিল্যান নামে। আমেরিকার সমসাময়িক রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর সমালোচনায় গিটার ধরলে ষাটের দশকে মার্কিন যুবসমাজে তার জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের সময় তরুণদের মুখে মুখে ফিরতে থাকে ‘ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড’ ও ‘দ্য টাইমস দে আর আ-চেঞ্জিং’-এর মতো ডিল্যানের কালজয়ী রচনা।
চিরাচরিত লোকসঙ্গীতের রচনাধারা ছাড়ার জন্য এবং ইলেকট্রিক মিউজিকের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত অনুরাগের কারণে একদা তাকে ঘিরে যেমন বিতর্ক সৃষ্টি হয়, তেমনই ডিল্যানের নয়া ঘরানার সঙ্গীতে বুঁদ হয় নবীন মার্কিনীরা। তার বহুল জনপ্রিয় অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত ‘হাইওয়ে ৬১ রিভিজিটেড’, ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত ‘ব্লন্ড অন ব্লন্ড’, ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত ‘ব্লাড অন দ্য ট্র্যাকস’-এর মতো আরও বেশ কয়েকটি অবিস্মরণীয় সঞ্চয়ন।
আশির দশকে বিশ্বভ্রমণে বের হন ডিল্যান। দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে সঙ্গীতের মূর্চ্ছনা বিস্তার করতে শুরু হয় তার ‘নেভার এন্ডিং ট্যুর’।
আগামী ১০ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী অ্যালফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিনে অন্য ৫ নোবেলজয়ীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বব ডিল্যানের হাতে তুলে দেয়া হবে নোবেল পুরস্কার। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।