পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, একটি চিহ্নিত মহল হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কুমিল্লার নানুয়া দিঘীর ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, অতীতে যারা পদ্মাসেতু নিয়ে নানা ধরণের গুজব রটিয়েছে, সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বিনষ্ট করে দেশ ও মানুষের কল্যাণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, সেই একই মহল এবারের ঘটনা ঘটিয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে এবং একে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে গুজব রটনা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। হিন্দু স¤প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলবো, আপনারা নির্ভয়ে নির্বিঘেœ উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পূজা উদযাপন করুন, জনগণ ও সরকার আপনাদের পাশে আছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি বাংলাদেশে স্থাপিত হয়েছে এটি অনেক দেশের জন্য উদাহরণ। এদেশ রচিত হয়েছে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে। একটি অসা¤প্রদায়িক দেশ রচনা করার জন্যেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ রচিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু একটি মহল আমাদের এই দেশ রচনার বিরুদ্ধাচারণ করেছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এই প্রয়াসের বিরুদ্ধে যারা প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা বাংলাদেশের সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি থাকুক সেটি চায় না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, গত কয়েক বছরের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এগুলোর পেছনে হীন উদ্দেশ্য ছিল যেগুলো সরকার কঠোর হস্তে দমন করেছে। কুমিল্লায় নানুয়া দিঘীর পাড়ে যে মন্দিরে কোরআন শরীফ পাওয়া গেছে বলে বলা হচ্ছে আমি সেখানকার অনেকের বক্তব্য দেখেছি। সেখানে অত্যন্ত শান্ত একটি পরিবেশে হিন্দু, মুসলিম ভাইরা মিলে শান্তিপূর্ণভাবে যুগ যুগ ধরে বসবাস করছেন। সেখানে রাতের বেলায় মন্দির বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, কোনো মানুষ ছিল না, বাতিও বন্ধ ছিল। সেই পরিস্থিতিতে কে বা কারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে সেটি পুলিশ তদন্ত করছে। আমি নিশ্চিত যে, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে সেটি খুব সহসা বের হবে এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে সরকারের তৎপরতার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, সারাদেশে এটির প্রেক্ষিতে গত বুধবার যে উত্তেজনা ছড়ানো হয়েছিল, পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেটি কঠোর হস্তে দমন করেছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। আমি জনগণকে অনুরোধ জানাবো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরণের গুজব ছড়ানো হয়, গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না। আর যারা গুজব ছড়ানোর চিন্তা করছেন বা করেছেন সবাইকে চিহ্নিত করা হবে এবং সবাইকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।