পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরি ফিড তৈরির অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ সয়াবিন মিলের রফতানি আজ বৃহষ্পতিবার থেকে বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ সিদ্ধান্তে খামারি, উদ্যোক্তা ও ফিড প্রস্তুতকারকদের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে।
রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রসঙ্গে গত ১২ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জারিকৃত এক প্রজ্ঞাপনে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের দু’টি পত্রের উল্লেখ করে বলা হয়েছে- ‘সয়াবিন মিল রফতানি অব্যাহত থাকলে, এর প্রভাবে ডেইরী ও পোল্ট্রি খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে যার ফলশ্রুতিতে ডেইরী ও পোল্ট্রি খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। এতে দেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
আর সে কারনেই ডেইরী ও পোল্ট্রি সেক্টরের স্বার্থ রক্ষার্থে আজ থেকে সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। তবে, গতকাল পর্যন্ত যেসব এলসি/টিটি সম্পন্ন হবে উক্ত পণ্যসমূহ আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে রফতানি করা যাবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তে স্বস্তি প্রকাশ করে ফিড ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এফআইএবি) এর সভাপতি এহতেশাম বি. শাহজাহান বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কে আমরা ধন্যবাদ জানাই, দেরিতে হলেও এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার জন্য। এফআইএবি সাধারন সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান বলেন, সয়াবিন মিল রফতানির সিদ্ধান্তে দেশীয় পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরী খাতের অভাবনীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, রফতানি বন্ধ হওয়া ও ভারতে সয়াবিন মিলের সঙ্কট কমে যাওয়ায় সয়াবিন মিলের স্থানীয় মূল্য অবশ্যই কমবে বলে আমি আশা করি।
সয়াবিন মিল রফতানি বন্ধে আপাত এক ধরনের স্বস্তি নেমে এলেও পোল্ট্রি ও ডেইরী খামারিরা অবশ্য বলছেন, রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্তই যথেষ্ঠ নয় বরং সয়াবিন মিলের দাম পূর্বের অবস্থায় আনাও অত্যন্ত জরুরি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।