পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সকল স¤প্রদায়ের মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। কেউ কেউ এই সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির বেদীমূলে আঘাত করতে চায়, দেশ ও মানুষের কল্যাণে সম্মিলিতভাবে তাদের প্রতিহত করতে হবে বলেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘ আয়োজিত দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীতে শুভেচ্ছা জানাতে এসে তিনি একথা বলেন। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সনাতন সংঘের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার মজুমদারসহ পূরোহিত, পূজারী এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ধর্মকে মুখ্য করা হয়েছিল। কিন্তু আবহমান বাংলার সংস্কৃতি হচ্ছে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ হিসেবেই বড় পরিচয়। সেকারণে পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করেছিলেন ধর্মের ভিত্তিতে রচিত পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আমাদের মুক্তি লাভ সম্ভব নয়। জাতির পিতা অসা¤প্রদায়িক চেতনায় স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতে অর্জিত লাল-সবুজ পতাকার স্বাধীন বাংলাদেশে সা¤প্রদায়িক অপশক্তির কোনো স্থান নেই। অসা¤প্রদায়িকতার বেদীমূলে যারা আঘাত হানতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। সেই মতে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতির অনন্য নজির। কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ধর্মের মানুষ বাংলাদেশে একটি ফুলের বাগানের মতো রয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকুক, দুর্গাদেবীর কাছে সেই প্রার্থনা আমাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।