পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বদরুলের প্রতি ঘৃণা কর্মসূচি অব্যাহত
স্টাফ রিপোর্টার : ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা বেগম নার্গিসের শারীরিক অবস্থা। চিকিৎসকরা বলেছেন, গুরুতর অবস্থা থেকে উন্নতির প্রথম সিঁড়িতে রয়েছে খাদিজা। এদিকে, ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের বিচার দাবিতে এখনো বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি চলছে। বদরুলের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হচ্ছে এসব কর্মসূচিতে।
হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের অ্যাসোসিয়েট মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. মির্জা নাজিমউদ্দিন গতকাল সাংবাদিকদের জানান, গত সোমবার খাদিজার ভেন্টিলেশনের জন্য ছোট একটি চেকলিস্টেন অস্ত্রপচার হয়েছে। ভেন্টিলেশনের এ অস্ত্রপচার সফল হয়েছে। শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য আগে মুখে টিউব ছিল, সেটি সরিয়ে গলার সামনের অংশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবস্থা পুরোপুরি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত এভাবে রাখতে হবে। তিনি বলেন, এগুলো স্বাভাবিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া। অন্য অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তবে ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। সবাই দোয়া করবেন।
স্কয়ার হাসপাতালে নার্গিসের পাশে থাকা খাদিজার মামা বাসেত বলেন, গতকাল সকালে চিকিৎসকরা দেখে গিয়েছেন। অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। গুরুতর অবস্থা থেকে উন্নতির প্রথম সিঁড়িতে রয়েছে সে। ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে।
গত শনিবার স্কোয়ার হাসপাতালে প্রেস ব্রিফিংয়ে খাদিজার চিকিৎসক এ এম রেজাউস সাত্তার বলেন, খাদিজার সারভাইবালের চান্স আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ৯৬ ঘণ্টা পর আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো আমরা ওকে বাঁচাতে পারলাম। হয়তো সে বেঁচে যাবে। তবে রিকভারী কতটুকু হবে তা এখন আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর বিকেলে খাদিজাকে কুপিয়ে আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রথম দফা অস্ত্রোপচারের পর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজধানীর স্কোয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ৪ অক্টোবর বিকেলে খাদিজার মাথায় অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকেরা। ৯ অক্টোবর তার শরীরে আরো একটি অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পরে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।