পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশী নির্যাতনে সিলেটে নিহত রায়হান আহমদের মৃত্যুর এক বছর পার হলো গতকাল। নির্মম এ হত্যাকান্ডের একবছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শুরু হয়নি বিচার কাজ। করোনা সংক্রমণ ভয়াবতার কবলে পড়ে এ মামলার কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। সর্বশেষ গেল ৩০ সেপ্টেম্বর আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন।
এছাড়া এই ঘটনায় দায়ের করা পুলিশের বিভাগীয় মামলার তদন্তও শেষ হয়নি। মামলা আর তদন্ত কার্যক্রমে এই ধীরগতিতে হতাশ রায়হানের পরিবার। এদিকে, গত রোববার বিকেলে রায়হানের মা ও স্ত্রী এই হত্যাকান্ডের বিচার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এসময় রায়হানের মা সালমা বেগম বলেন, আসামিরা গ্রেফতার হলেও মামলার চার্জশিট দিতে অনেকে দেরি হয়েছে। প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা হস্তান্তর করে মামলার বিচারকাজ শেষ করার দাবি তার।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, রায়হান হত্যার প্রধান আসামি এসআই আকবরের বন্ধু আবদুল্লাহ আল নোমান পাড়ি জমিয়েছে পর্তুগালে। ভারত হয়ে আলবেনিয়া তারপর শেষ ঠিকানা এখন তার পর্তুগাল। সেখানে বসে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশে।
এদিকে, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কোতয়ালী মডেল থাকার অর্ন্তগত বন্দরবাজার ফাঁড়িতে হেফাজতে রায়হান আহমদ হত্যা তোলপাড় করেছিল সারাদেশ। গেল বছরের ১০ অক্টোবর রাতে তুলে নিয়ে নগরর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে ওই ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। সংকটময় পরিস্থিতিতে তাকে নেয়া হয় হাসপাতালে। পরদিন ১১ অক্টোবর সকালে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান রায়হান। রায়হান সিলেট নগরের স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারি হিসেবে কাজ করতেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এ ব্যাপারে বলেন, পুলিশের বিভাগীয় তদন্ত কার্যক্রম ফৌজাদারি মামলার মধ্যে নেই। এর মাধ্যমে পুলিশের অভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো আসছে, সেগুলো বিশ্লেষণ ও তদন্ত করা হচ্ছে। এরইমধ্যে কয়েকজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে পুলিশ ও সাধারণ মানুষও রয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্যও নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ বিভাগেই পাঠানো হবে। পরে বিভাগীয় আইন অনুযায়ী শাস্তি দেয়া হবে জড়িতদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।