পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট অফিস : বদরুল আলম ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। বর্তমানে তার নামের সাথে যোগ হয়েছে বিভিন্ন বিশেষণও। কেউ নাম দিয়েছেন ‘বদ’ বদরুল, আবার কেউবা দিয়েছেন ‘চাপাতি’ বদরুল আবার নাম হয়েছে ‘বর্বর’ বদরুলও। এসব বিশেষণের পেছনের ঘটনা কারো অজানা নয়।
প্রেমে প্রত্যাখ্যান হয়ে সে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছিল সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে। ধিকৃত এই বদরুলের চাপাতির একেকটি কোপে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল মানবতা। এই ঘটনার পর থেকেই সে হয়েছে ঘৃণার পাত্র।
তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে চলছে প্রতিবাদসহ নানা কর্মসূচিও। এবার তার প্রতি ঘৃণা থেকে তাকে ধিক্কার জানিয়ে সিলেটে করা হয়েছে ‘থুথু স্তম্ভ’। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নগরীর চৌহাট্টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অস্থায়ীভাবে ‘থুথু স্তম্ভ’র বানিয়ে সেখানে ‘থুথু নিক্ষেপ’ কর্মসূচি পালন করা হয়। বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক কমিশন (বামাসাক)-এর উদ্যোগে বদরুলের শাস্তির দাবিতে এবং জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যেই এটি স্থাপন করা হয়েছে। স্থাপিত এই স্তম্ভে স্বতঃস্ফূর্তভাবে থুথু নিক্ষেপের মাধ্যমে বদরুলের প্রতি ঘৃণা এবং ধিক্কার জানাচ্ছেন সর্বস্তরের জনসাধারণ। এর আগে সকালে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া, দুই ভাই শাহিন ও সালেহ আহমদসহ সিলেটের সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর খাদিজা এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় কলেজের পুকুর পাড়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাবির অর্থনীতি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। খাদিজা বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।