পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাছিম উল আলম : গত মধ্যরাত থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের উপকূলভাগের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকার মূল প্রজনন ক্ষেত্রে সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি সারা দেশেই ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ করা হলেও বাংলাদেশ নৌ-সীমানায় ভারতীয় জেলেদের অবাধ অনুপ্রবেশ নিয়ে শংকিত জেলেসহ মৎস্যজীবীরা। বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণÑপশ্চিম উপকূলে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতীয় জেলেদের অনুপ্রবেশ নিয়ে অভিযোগ আমাদের মৎস্যজীবীদের। এমনকি বাংলাদেশী কতিপয় অসাধু এজেন্টের সহায়তায় ভারতীয় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীর দল সাগর পথে দীর্ঘদিন ধরে ইলিশ পাচারে জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে।
২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথমভাগে ভারতে বৈধপথে রফতানি বন্ধের পর থেকে সাগর পথে অবৈধ পন্থায় ইলিশ পাচার বেড়ে যায়। এমনকি ভারত-বাংলাদেশের একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ইলিশ পাচারের সাথে জড়িত বলেও অভিযোগ রয়েছে। ইতোপূর্বে প্রতিবছর ৮-১০ হাজার টন ইলিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রফতানি করে দেশ প্রায় ৮শ’ থেকে হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে। কিন্তু দেশের বাজার অস্থিতিশীল হবার কারণে ২০১২-এর আগস্ট থেকে সরকার ইলিশ রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, সরকার অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কারণেই ইলিশ রফতানি বন্ধ করেছিল। কিন্তু তখন দেশে যে পরিমাণ ইলিশের উৎপাদন ছিল, এখন তা প্রায় দেড়গুণ অতিক্রম করেছে। ফলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিষয়টি পুনঃ বিবেচনারর দাবি রাখে। মৎস্য অধিদপ্তরও সম্প্রতি ইলিশ রফতানির পক্ষে একটি মতামত মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেছে বলে জানা গেছে।
তবে বৈধপন্থায় ইলিশ রফতানিকালীন সময়ে ভারতীয় আমদানীকারকরা এক কেজি সাইজের ইলিশ ৬-৮ ডলার মূল্যে আমদানি করত। যা আমাদের অভ্যন্তরীণ বাজারের চেয়েও অনেক কম ছিল। দাম কম পাবার কারণে আমাদের রফতানিকারকগণও এক সময়ে ভারতে ইলিশ পাঠাতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তবে এ সুযোগে সাগর পথে ইলিশের চোরাচালান যথেষ্ট বেড়ে যায়। ভারতীয় জেলেদের বাংলাদেশের নৌ-সীমা অতিক্রম উদ্বেজনক পর্যায়ে বেড়ে গেছে বলে পাথরঘাটা, হরিনঘাটা, আলীপুর-মহীপুর ও পাড়ের হাটসহ খুলনা মৎস্য বন্দরের একাধিক জেলে ও মৎস্যজীবী অভিযোগ করেছেন।
এরই মধ্যে গত মধ্যরাত থেকে ইলিশের মূল প্রজনন ক্ষণ শুরু হওয়ায় মৎস্য বিজ্ঞানীদের সুপারিশের আলোকে উপকূলের ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় ইলিশসহ সব মাছের আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এমনকি এ সময়ে সব নদ-নদীতেই ইলিশ আহরণ বন্ধসহ সারা দেশে তা পরিবহন ও বিপণনও বন্ধ করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ এই প্রজনন এলাকাটি কোস্টগার্ডসহ সব ধরনের আইন-শৃংখলা বাহিনী নিরাপত্তার ঘেরাটোপে মুড়ে ফেলেছেন। কিন্ত মৎস্যজীবীদের আশংকা প্রজনন এলাকা নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে সাগর সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতীয় জেলে ও পাচারকারীরা বাংলাদেশের নৌ-সীমানায় প্রবেশ করে ইলিশ তুলে নিয়ে যেতে পারে। তবে এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড ও নৌ-বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।