পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট মিখাইল গরবাচেভ বলেছেন, সিরিয়া ইস্যুতে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনার কারণে বিশ্ব এখন বিপজ্জনক পর্যায়ে চলে গেছে।
৮৫ বছর বয়সী গরবাচেভ রাশিয়ার বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি মনে করি বিশ্ব এখন বিপজ্জনক অবস্থার দিকে চলে গেছে। আমি বিশেষ কোনো পরিকল্পনার কথা বলব না তবে আমি বলতে চাই- আমাদের থামা উচিত।”
তিনি বলেন, “আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে সংলাপ শুরু করা দরকার। সংলাপ বন্ধ করা বড় ধরনের ভুল।”
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে সম্পর্ক এরই মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে। ১৯৯১ সালে শীতল যুদ্ধ অবসানের পর এত বেশি খারাপ সম্পর্ক দুদেশের মধ্যে কখনো ছিল না। ইউক্রেন ইস্যুর পাশাপাশি যোগ হয়েছে সিরিয়া সঙ্কট। দু জায়গায়ই আমেরিকা সক্রিয়ভাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাশাপাশি সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়েছে আমেরিকা; এর বিপরীতে সিরিয়ার নির্বাচিত বৈধ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে মস্কো। এর মধ্যে গত সপ্তাহে আমেরিকা সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া, সিরিয়ার সরকারি সেনা অবস্থানে হামলার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ওয়াশিংটন।
অন্যদিকে, সিরিয়ায় মোতায়েন নিজেদের সম্পদ রক্ষার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এরই মধ্যে সিরিয়ায় এস-৩০০ এবং এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে মস্কো এবং মার্কিন সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে রুশ সামরিক বাহিনী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। সিরিয়ার তারতুসে স্থায়ী ঘাঁটি প্রতিষ্ঠারও ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এছাড়া, সিরিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সেনা মোতায়েন রাখার বিষয়ে আইন পাস করেছে রুশ সংসদ। রুশ সীমান্তের কাছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সেনা মোতায়েনের বিরুদ্ধে রাশিয়াও সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে। কালিনিনগ্রাদে পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ইস্কান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে মস্কো। রুশ-মার্কিন উত্তেজনার ভেতরে রাশিয়া কয়েকদিন আগে পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি ও প্লুটোনিয়াম ধ্বংসের চুক্তি স্থগিত করেছে।
এ অবস্থায় গরবাচেভ বলছেন, “এখনই জরুরিভাবে মূল কাজে ফিরে আসা দরকার। সেগুলো হচ্ছেÑ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ, সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াই এবং জলবায়ু ও পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকানো।” এসব কাজের তুলনায় অন্যগুলো খুবই ক্ষীণ ও অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।