পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে তৈরি পোশাক খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৬৬৬ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৫২ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ কম আয় হয়েছে। তবে গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এবার এ খাতের পণ্য রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়েছে। চলতি অক্টোবর মাসে প্রকাশিত বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইপিবির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩৪০ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। একই সময়ে ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩২৬ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৩৩৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই বছরের প্রথম ৩ মাসে আয় হয়েছিল ৩২৫ কোটি ১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আলোচ্য খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪১৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে নিটওয়্যার পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। আলোচ্য সময়ের মধ্যে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৩৪০ কোটি ৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ৭৩ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য খাতের রপ্তানি আয় ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ৮৭ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে ওই অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় হয়েছিল ৩১৮ কোটি ৯১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আলোচ্য খাতে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬২১ কোটি মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৯১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে এই খাতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৩২৬ কোটি ৫১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য খাতের রপ্তানি আয় ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।