পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম ইতিহাসের পাতায় একজন খুনী ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
আগামী ১৮ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, কারবালার প্রান্তরেও শিশু ও নারীদের হত্যা করা হয়নি। কিন্তু ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট শিশু, নারী, অন্ত:সত্ত্বা নারীকেও হত্যা করা হয়েছে। শিশু শেখ রাসেলকেই শুধু নয়, ৪ বছরের শিশু সুকান্ত বাবু, ১২ বছরের বেবি সেরনিয়াবাত, ১৪ বছরের আরিফ সেরনিয়াবাত এবং অন্ত:সত্ত্বা আরজু মনিকেও ঘাতকেরা হত্যা করেছে। আসলে বঙ্গবন্ধুর ছায়াকেও খুনীরা ভয় পেতো।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেনাপ্রধান, উপপ্রধান বা যেকোনো সেনা অফিসারের দায়িত্ব নিজের জীবন বিপন্ন করে হলেও প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করতে ছুটে যাওয়া। আর জিয়াউর রহমানকে যখন প্রেসিডেন্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার খবর দেয়া হয়, তখন সে বলেছিল, ‘সো হোয়াট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার’। অর্থাৎ সে আগে থেকেই জানতো। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কর্নেল ফারুক-রশীদ বলেছে, তাদের কাছে হত্যা পরিকল্পনা শুনে জিয়া বলেছিল, ‘গো এহেড’। সেকারণে জিয়া শুধু বঙ্গবন্ধু হত্যায় নয়, শেখ রাসেল হত্যায়ও যুক্ত।
‘জিয়া যে হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করেছে, তাদের পরিবারের সদস্যরা সম্প্রতি মিলিতভাবে জিয়ার বিচার চেয়েছে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য কুশীলবদের বিচার এবং ক্ষমতা নিষ্কন্টক করতে জিয়া পরিচালিত হত্যাযজ্ঞের বিচারের জন্য কমিশন গঠন করা প্রয়োজন। জিয়াউর রহমানের মুখোশ তাতে আরো উন্মোচিত হবে এবং আজকে যারা তার দল করে, তারা সেদিন লজ্জিত হবে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে. এম. শহিদ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের উপদেষ্টা তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন ও মো. আলাউদ্দিন সাজু বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।